আগস্ট ০৩, ২০২১ ১৭:৫৬ Asia/Dhaka

অন্তঃসত্ত্বা এবং সন্তানকে বুকের দুধ পান করাণ এমন মায়েদের করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে সরকার গঠিত জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ)।

গতকাল সোমবার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কমিটির সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ। তিনি বলেন, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চায় টিকা দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, আমরা মত দিয়েছি, গর্ভবতী এবং সন্তানকে দুধ পান করানো এমন মায়েদের করোনার টিকা দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিলে তার পরেই তারা অন্তঃসত্ত্বা এবং  দুধ পান করানো মায়েদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা প্রদানের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সরকারকে তা জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দেওয়া তথ্যে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তঃসত্ত্বাদের ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গতকাল (২ আগস্ট) থেকে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে।

দুই ডোজ টিকা নিয়েও গাইনি চিকিৎসকের মৃত্যু

পুর্নাঙ্গ দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাকিয়া রশীদ (৪৬)- এর মৃত্যুতে টিকার কার্যকরীতা নিয়ে প্রশ্ন  দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য গবেষকদের মাঝে।

গত কাল সোমবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসক জাকিয়া রশীদের মৃত্যু হয়। তিনি সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল কোরের ব্রিগেডিয়ার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

প্রায় এক সপ্তাহ আগে জাকিয়া রশীদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর তিনি ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে রবিবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান।

সম্প্রতি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ ছাড়া যারা আক্রান্ত হয়েছেন তন্মধ্যে ৩ শতাংশ রোগীর মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে টিকা গ্রহণকরেও পরবর্তী আক্রান্ত  হয়েছেন এমন রোগীদের দের মধ্যে ১ জন (০.৩ শতাংশ) রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন।

চলতি বছরের মে ও জুন মাসে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, কোভিড-১৯ রোগে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের তুলনায় টিকা না নেওয়া আক্রান্তদের মধ্যে অধিকহারে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা, অধিক হাসপাতালে ভর্তি ও অধিক মৃত্যু ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/ ৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

 

 

ট্যাগ