জুলাই ৩১, ২০২১ ১৮:২৮ Asia/Dhaka
  • তেল ট্যাংকারে হামলার পর ইরানের ড্রোন শক্তি নিয়ে রিপোর্ট করল ইসরাইলি পত্রিকা

ইহুদিবাদী ইসরাইলের ধনকুবের আইয়াল অফারের কোম্পানির একটি তেলবাহী জাহাজে হামলার পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ক্রমবর্ধমান ড্রোন শক্তি নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইসরাইলি পত্রিকা ‘জেরুসালেম পোস্ট’।

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ জাহাজে হামলার জন্য ইরানের দিকে আঙুল তুলেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওমান উপকূলের কাছে ইসরাইলের ওই জাহাজে হামলা হয়।

নাম উল্লেখ না করে দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, হামলায় জাহাজের দুই ক্রু নিহত হয়েছেন এবং মনে হচ্ছে কয়েকটি ইরানি ড্রোন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। ড্রোনগুলো জাহাজের কমান্ড সেন্টারের নিচে অবস্থিত ক্রুদের ঘুমানোর কক্ষগুলো বা ব্রিজে আঘাত করে।

জেরুসালেম পোস্ট বলছে, "এই ঘটনা মনে হচ্ছে অত্যন্ত মারাত্মক জটিল হামলা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি নিতান্তই ইরানের ড্রোন প্রযুক্তির নতুন ব্যবহার।"

কয়েকটি ইরানি ড্রোন

পত্রিকাটি বলছে, "মারসার স্ট্রিট জাহাজের বিরুদ্ধে কয়েকটি ড্রোনের এই হামলার বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুগের সূচনা করলো এবং জাহাজের বিরুদ্ধে ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি একটি রেড লাইন হয়ে উঠল। জাহাজের ব্রিজ অথবা ঘুমানোর কক্ষগুলোর মতো সুনির্দিষ্ট অংশে নিখুঁতভাবে হামলার মধ্যদিয়ে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ইরানি ড্রোনের উন্নত নজরদারি এবং গোয়েন্দা শক্তি রয়েছে।"

পত্রিকাটি আরো বলেছে, "ইরানের ড্রোনগুলো গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন থেকে উড্ডয়ন করা হয়েছে। ফলে এটি পরিষ্কার নয় যে, এই ড্রোনগুলো পাইলট পরিচালিত ছিল নাকি মনুষ্যবিহীন ছিল। তার অর্থ হচ্ছে জাহাজে হামলার বিষয়টি অনেক জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ জাহাজ চলমান, সে কারণে এটি পরিষ্কার হচ্ছে না যে, কিভাবে ইরানের ড্রোন থেকে নিখুঁতভাবে ওই জাহাজে হামলা করা সম্ভব হলো। এমনকি নোঙ্গর করা একটি জাহাজ সমুদ্রের ঢেউ অথবা বাতাসের কারণে নড়াচড়া করে। সেক্ষেত্রে ড্রোন থেকে জাহাজের সুনির্দিষ্ট অংশে কিভাবে হামলা করা সম্ভব হলো এটি জটিল হিসাবের ব্যাপার। যদি ইরান ড্রোন হামলার এইরকম নিখুঁত পর্যায়ে পৌঁছায় এবং সেগুলোকে জাহাজে প্রাণঘাতী হামলার কাজে ব্যবহার করে তাহলে সেটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।"

জেরুজালেম পোস্টের ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান তার ড্রোন সক্ষমতা বাড়ানোর কার্যক্রম চালিয়ে আসছে যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বহু সংখ্যক সামরিক ড্রোন তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে এটি পরিষ্কার হয় যে, কিভাবে লেবানন অথবা সিরিয়া, ইরাক এবং পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের যেকোনো দেশ কিংবা ওমান উপসাগর ও ইয়েমেন থেকে ইরানি ড্রোন প্রযুক্তি মারাত্মক উদীয়মান হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।"#

পার্সটুডে/এসআইবি/৩১

ট্যাগ