জুলাই ২৭, ২০২১ ১৭:৫৬ Asia/Dhaka
  • করোনা আমাকে ভিখারি করেছে, কেঁদে কেঁদে বললেন এক বাবা

শ্রোতা/পাঠক!২৭ জুলাই মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • আফগানিস্তানের অর্ধেক এলাকা কীভাবে দখল করল তালেবান -প্রথম আলো
  • যত টাকা লাগে ভ্যাকসিন কিনব, ভবিষ্যতে দেশে উৎপাদনও করব''-কালের কণ্ঠ
  • করোনা আমাকে ভিখারি করেছে, কেঁদে কেঁদে বললেন এক বাবা-যুগান্তর
  • কক্সবাজারে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাসহ নিহত ৬ -ইত্তেফাক
  • লকডাউনে কারখানা খোলার বিষয়ে শিল্পপতিদের অনুরোধ রাখা যাচ্ছে না'–মানবজমিন
  • বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • শান্তি চাই, কিন্তু এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না, মিজো-সংঘর্ষে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী-আনন্দবাজার
  • কংগ্রেস সংসদ চালাতে দিচ্ছে না, ওদের মুখোশ খুলুন’‌, বিজেপি সাংসদদের বললেন মোদি-আজকাল
  • Pakistan থেকে সরে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে লস্কর, ভারতকে জানাল কাবুল-সংবাদ প্রতিদিন

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. করোনা মোকবেলার জন্য মৌখিক পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই চার হাজার চিকিৎসক ও চার হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে বাংলাদেশের  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
২. ইরাকে ‘যুদ্ধ সমাপ্তির’ ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিন্তু মোতায়েন করা সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে না। তাহলে যুদ্ধের সমাপ্তি হবে কীভাবে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

আফগানিস্তানের অর্ধেক এলাকা কীভাবে দখল করল তালেবান -প্রথম আলো

আফগানিস্তানে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান। কিন্তু সেই তালেবান এখন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের অর্ধেক এলাকা এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।

গত দুই মাসে আফগানিস্তানের অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান, যা ২০০১ সালে পর যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। বিবিসির আফগান সার্ভিসের গবেষণা উঠে এসেছে, গজনি, মাইদান ওয়ার্দাকসহ আফগানিস্তানজুড়ে এখন সরব উপস্থিতি তালেবান যোদ্ধাদের। এ ছাড়া কুন্দুজ, হেরাত, কান্দাহার ও লস্কর গাহসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে তালেবান।

তালেবানের কোনো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অর্থ হলো, সেখানকার প্রশাসনিক কেন্দ্র, পুলিশ দপ্তর ও সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকা।

আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনসহ জঙ্গিসংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়েছিল তালেবান। আর আল-কায়েদা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। এ হামলার জেরেই আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাহিনী, তাদের সামরিক জোট ন্যাটো ও আঞ্চলিক মিত্রদের হামলার মুখে ২০০১ সালের নভেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান।

তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক মহলের উপস্থিতি বাড়ে। আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শত শত কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যেও দেশটির প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় তালেবান আবার সংগঠিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে নিজেদের শক্তি বাড়াতে থাকে তারা।

আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের হেলমান্দ, কান্দাহার, উরুজগান, জাবুল প্রদেশে ঐতিহ্যগতভাবেই তালেবানের অবস্থান শক্তিশালী। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা ফারিয়াব ও বাদাখশানেও তাদের অবস্থান শক্তিশালী।

২০১৭ সালে বিবিসির এক গবেষণায় উঠে আসে, আফগানিস্তানে কিছুসংখ্যক জেলা তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। গবেষণায় এ-ও উঠে আসে, দেশটির আরও অনেক এলাকায় তালেবান সক্রিয়। তারা কিছু এলাকায় সপ্তাহ বা মাস ভিত্তিতে হামলা বাড়াচ্ছে। ওই সময়ই ইঙ্গিত পাওয়া যায়, পূর্বধারণার চেয়ে তালেবানের শক্তি বেশি।

কিন্তু সে অবস্থাও এখন বদলে গেছে। এখন নতুন নতুন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে তালেবান। কোনো কোনো এলাকা থেকে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী পালিয়েছে। কোনো কোনো এলাকা ছাড়তে সরকারি বাহিনী বাধ্য হয়েছে। আবার সরকার বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাহিনী বা মিলিশিয়া পুনরায় মোতায়েন করতেও সক্ষম হয়েছে। কিছু কিছু এলাকা আফগান বাহিনী নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়েছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় এখনো লড়াই চলছে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন মার্কিন বাহিনীর অধিকাংশ সদস্য আফগানিস্তান ছেড়ে গেছেন। শুধু কাবুলে নিরাপত্তার জন্য কিছু সেনা রয়ে গেছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ার প্রেক্ষাপটে কিছুদিন ধরে তালেবানের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বিমানবাহিনী।

এখন আফগান সরকারের নিয়ন্ত্রণে সেসব শহর ও জেলা রয়েছে, যেগুলো মূলত সমতলে ও নদীতীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। এসব এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ বাস করে। আর তালেবান যেসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, সেসব এলাকায় মানুষ কম। এমন অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে জনঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ৫০ জনের মতো। তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে আফগান সরকার বিপদে আছে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সব বড় শহরে সেনা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। তালেবান ঠেকাতে মাসব্যাপী রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের অনেক শহর তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার হুমকিতে আছে। যেমন: হেরাত ও কান্দাহার শহরের খুব কাছাকাছি তালেবানের চলে আসার খবর পাওয়া যায়।

তালেবানের অগ্রযাত্রা শুরুর পর দেশটিতে সহিংসতা বেড়েছে। বেড়েছে মৃত্যু। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আফগানিস্তানে সহিংসতায় রেকর্ডসংখ্যক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে সংঘাত-সংঘর্ষ-সহিংসতায় ১ হাজার ৬০০ জন মারা গেছে। এই প্রাণহানির জন্য তালেবান ও সরকারবিরোধীদের দায়ী করা হয়েছে।

যত টাকা লাগে ভ্যাকসিন কিনব, ভবিষ্যতে দেশে উৎপাদনও করব''-কালের কণ্ঠ

সবার সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনে যত টাকা লাগবে, যত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে আমরা কিনব। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন করব। যাতে মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়।'

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন এবং জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি- পরিবারে যারা.. ড্রাইভার থেকে শুরু করে বাড়িতে যারা কাজ করে তাদের জন্য ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবে। এর জন্য প্রয়োজনে যত টাকা লাগবে, যত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে আমরা কিনব। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরি করব। যাতে মানুষের কোনো অসুবিধা না হয়।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসবে। নতুন উদ্ভাবন হবে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা মানুষ ব্যাপকভাবে পাচ্ছে। আমরা দেশের মানুষকে যেসব সহযোগিতা করছি তার সব কিছুই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে। এতে আমাদের কাজ যথাযথ হচ্ছে, সময় বাঁচছে।

সরকার গঠন বা ক্ষমতায় আসা ভোগ-বিলাসের বিষয় নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছি বিধায় মহান কিছু হয়ে গেছি তা নয়। এটা একটা বিরাট দায়িত্ব। এখানে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ তো আপনাদের ভরণপোষণ-খাওয়ার জোগাড় সবই করে। কাজেই তাদের জন্য আমরা কতটুকু করতে পারলাম, তাদের কতটুকু দিতে পারলাম- এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। তাদের সার্বিক উন্নয়ন আমাদের সবার দায়িত্ব।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছি বলেই আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। সবাই যার যার জায়গায় কাজ করেছে বলেই মানুষ তার সুফল পেয়েছে, দেশের উন্নতি হয়েছে। না হলে কখনোই আমরা এত তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে পারতাম না।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসনে যারা আছেন তাদের জনগণের সেবা করা, দেশের সেবা করা- এটাই সবচেয়ে বড় কাজ। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই করোনার কারণে আমরা অনেকটা পিছিয়ে গেছি। এর মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি, এখানে জনপ্রশাসনের অবদান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই করোনার সময় সেবা দিতে গিয়ে প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই জীবন দিয়ে গেছে। আমাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সর্বক্ষণ সক্রিয় রয়েছে। তারাও জনগণের পাশে রয়েছে। করোনায় আমরাও আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হারিয়েছি।

'বাংলাদেশের ওপর অনেকবার আঘাত এসেছে। বারবার ঝড়-ঝাপটা গেছে। এবারের সরকারের সময় আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু একে একে সেগুলো আমরা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছি'- বলেন সরকারপ্রধান।  

করোনা আমাকে ভিখারি করেছে, কেঁদে কেঁদে বললেন এক বাবা-যুগান্তর

করোনায় পথের ভিখারি বানিয়েছে অনেক মানুষকে। তেমনি একজন ভারতের দিল্লির বাসিন্দা অনিল শর্মা। চোখের সামনে ২৪ বছরের তরতাজা যুবক ছেলের করুণ পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। খবর আলজাজিরার।

তাই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলে সৌরভকে ভর্তি করেছেন তিনি। কিন্তু গত দুই মাস ধরে ভ্যান্টিলেশনে থাকা ছেলের চিকিৎসার জন্য সহায় সম্বল সব কিছু বিক্রি করে হাসপাতালে ৫০ হাজার মাকিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দিয়েছেন। কেঁদে কেঁদে অনিল শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, করোনার কারণে আজ আমি পথে বসে গেছি। আমার তরতাজা যুবক ছেলেটা আজ ভ্যান্টিলেশনে।

আমার যা কিছু ছিল তা দিয়েই গত দুই মাস ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করেছি। আমার লাখ লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটাতে। নিজের জমানো টাকার পর বন্ধুবান্ধদের কাছ থেকে বিরাট অঙ্ক ধার নেন। এর পর তিনি ব্যাংক থেকেও ছেলের চিকিৎসার জন্য লোন তোলেন। এখন তিনি একেবারেই নিঃস্ব। অনলাইনে সাহায্যের হাত পেতেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। তার পরও এই বাবা চান তার ছেলে বেচে ফিরুক।

বিশাল ঋণের বোঝা আর ভ্যান্টিলেশনে চিকিৎসাধীন ছেলের চিন্তায় অনিল শর্মা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে, ঈশ্বর যেন একবার মুখ তুলে তার দিকে তাকান— এ আশায়। 

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাসহ নিহত ৬ -ইত্তেফাক

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৫-৬ জন। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বালুখালী ক্যাম্পে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামশুদ্দোজা নয়ন। তবে, নিহত ও আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তাদের উদ্ধার ও পরিচয় সনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত প্রত্যাবাসন কমিশনার নয়ন।

অপরদিকে, পৃথক পাহাড় ধসে মহেশখালীতে মারা গেছেন এক কিশোরী। পাহাড় ধসকালে ঘুমন্ত অবস্থায় এ কিশোরীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোররাতে ছোট মহেশখালী উত্তর সিপাহীর পাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরীর মোরশেদা আক্তার (১৪) স্থানীয় আনছার হোসেনের মেয়ে।

ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াদ বিন আলী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‌‘সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া অতিবৃষ্টির পানিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে পাহাড়ের মাটির আঘাতে আনছারের ঘরের দেয়াল ভেঙে ঘুমন্ত মেয়েটিকে চাপা দেয়। এতে তার মৃত্যু ঘটে।

লকডাউনে কারখানা খোলার বিষয়ে শিল্পপতিদের অনুরোধ রাখা যাচ্ছে না'–মানবজমিন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কারখানা খোলার বিষয়ে শিল্পপতিদের অনুরোধ রাখা যাচ্ছে না। ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এর মধ্যে শিল্পকারখানা খুলবে না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন। আগামী ৭ আগস্ট থেকে এ সুবিধা চালু হচ্ছে।

বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

দেশব্যাপী ২৩ জুলাই থেকে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলবে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। টানা এই ১৪ দিনের লকডাউনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হলেই করা হচ্ছে জেল জরিমানা। এমতাবস্থায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

আগামী ৫ আগস্টের পর লকডাউন তুলে নেয়া হবে কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ধীরে ধীরে সব খোলা হবে। একবারে না। ধাপে ধাপে সব খোলা হবে। এক সঙ্গে সব খোলা হবে না।

শান্তি চাই, কিন্তু এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না, মিজো-সংঘর্ষে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী-আনন্দবাজার

অসম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। এরই মধ্যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাফ জানিয়ে দিলেন, তাঁর সরকার সীমানায় শান্তি চায়। তবে তার জন্য এক ইঞ্চি জমিও তাঁরা ছাড়বেন না।

মঞ্চলবার শিলচর হাসপাতালে সংঘর্ষে আহতদের দেখতে যান হিমন্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘‘এই সংঘর্ষ দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হয়নি। হয়েছে দু’টি রাজ্যের মধ্যে। অসমে যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল তখনও সংঘর্ষ হয়েছে। আমরা শান্তি চাই। তার জন্য যা পদক্ষেপ করতে হবে করব। কিন্তু এক ইঞ্চি জমিও দেব না। ওদের এলাকা দখলও করতে যাব না।’’

দু’টি রাজ্যের মধ্যে থাকা বনাঞ্চল নিয়েই দীর্ঘ দিন ধরে এই সঙ্ঘাত চলে আসছে বলে দাবি করেছেন হিমন্ত। তিনি বলেন, ‘‘মিজোরামের মানুষদের সঙ্গে আমাদের লড়াই নয়। জমির জন্যও এই লড়াই নয়। অসম ও মিজোরামের মধ্যে থাকা বনাঞ্চল নিয়ে এই সঙ্ঘাত। অসম সরকার বনাঞ্চলের রক্ষা করছে। সেই লড়াই চলবে। তবে আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ওদের এক ইঞ্চি জমিও নিইনি। আগামী দিনেও আমরা ওদের এলাকায় যাব না। তবে ওরা এলে প্রতিরোধ করব।’’

কংগ্রেস সংসদ চালাতে দিচ্ছে না, ওদের মুখোশ খুলুন’‌, বিজেপি সাংসদদের বললেন মোদি-আজকাল

পেগাসাস নজরদারি নিয়ে উত্তাল সংসদ। বিরোধীদের প্রতিবাদে দিনের পর দিন মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে অধিবেশন। এই নিয়ে এবার বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বললেন, কংগ্রেস সংসদ চালাতে দিচ্ছে না। বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‌জনগণ আর সংবাদ মাধ্যমের সামনে কংগ্রেসের মুখোশ খুলে দিন’‌। 

প্রধানমন্ত্রী মোদি

এদিন বিজেপি–র সংসদীয় দলের বৈঠকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই তিনি সাংসদদের এই নির্দেশ দিলেন। তিনি এও বললেন, কংগ্রেস ইচ্ছাকৃত এই বাদল অধিবেশনে কোনও কাজ করতে দিচ্ছে না। গত সপ্তাহে কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেয়নি তারা। বাকি বিরোধী দলকেও যোগ দিতে দেয়নি। ১৯ জুলাই সংসদে নতুন মন্ত্রীদের পরিচয় করাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদদের স্লোগানে তা মাঝপথে থামাতে হয়। সেই নিয়েও নাম না করে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছিলেন মোদি। বলেছেন, দেশে মহিলা, অনগ্রসর শ্রেণীর প্রতিনিধিরা মন্ত্রী হয়েছেন। অনেকেই তা ভালোভাবে দেখছে না। তারাই তাই নতুন মন্ত্রীদের পরিচয় করাতে বাধা দিচ্ছেন। 

Pakistan থেকে সরে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে লস্কর, ভারতকে জানাল কাবুল-সংবাদ প্রতিদিন

মার্কিন (US) সেনা সরতে না সরতেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নিতে শুরু করেছে তালিবান (Taliban)। তাদের সঙ্গে আফগান সেনাদের সংঘর্ষ অব্যাহত। এরই মধ্যে জানা গেল পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা (LeT) তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তানের ভিতরে। ভারতকে এমনটাই জানিয়েছে আফগান সরকার।

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত ছাড়াও উদ্বিগ্ন ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, চিনের মতো বহু দেশ। যেভাবে দেশের কিছু অংশ সরকারের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে তাতে অচিরেই সেই জায়গাগুলি জঙ্গিদের অবাধ বিচচরণভূমি হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলছে ইতিমধ্যেই লস্কর সেদেশে ঘাঁটি গড়ে ফেলার পরে। কেবল লস্করই নয়, জইশ-ই-মহম্মদও ঘাঁটি গেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।#

পার্সটুডে/ বাবুল আখতার /২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ