জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ ১৯:২৬ Asia/Dhaka

ইহুদিবাদী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে,পশ্চিম তীরে অবস্থিত ইহুদিবাদী বসতিগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের মন্ত্রীসভা। অধিকৃত কুদসে সশস্ত্র অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের রাজনৈতিক-নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা তিন ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠকের পর ওই সিদ্ধান্ত নেয়।

তেল আবিবের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অধিকৃত বায়তুল মোকাদ্দাসে সফল অভিযান পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনি যোদ্ধার বাড়িটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে অবিলম্বে ওই বাড়িটি সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, অভিযান পরিচালনাকারী ফিলিস্তিনিদের পরিবারগুলোকে তাদের বেতন, বীমাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।

ইহুদিবাদী নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বসতি স্থাপনকারীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স দেওয়ার গতিও ত্বরান্বিত করবে।  সেইসঙ্গে আরো ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার করতে এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার খুঁজে বের করার লক্ষ্যে অভিযান চালাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইহুদিবাদী মিডিয়াগুলো পুলিশ মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যাদের কাছে অস্ত্র বহনের লাইসেন্স আছে তারা যেন তা সঙ্গে রাখে। এর মানে হল ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের অস্ত্র এবং লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জেনিন ক্যাম্পে ব্যাপক সামরিক হামলার প্রতিশোধ হিসাবে ফিলিস্তিনি সংগ্রামীরা সশস্ত্র যে অভিযান চালিয়েছিল, তাকে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। তার মানে ইহুদি বসতি স্থাপনকালীদের অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই জেনিন ক্যাম্পে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।

সম্প্রতি ২১ বছর বয়সী এক তরুণসহ আরও এক ফিলিস্তিনীর দুটি অভিযানে ৯ জন ইসরাইলি নিহত এবং অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। ইসরাইলিদের হতাহতের এই সংখ্যা জেনিনে ইসরাইলি হামলায় হতাহতের সংখ্যার সমান। এই ঘটনা প্রমাণ করছে ফিলিস্তিনী প্রতিরোধ সংগ্রামীরা সমান সমান প্রতিশোধ নেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এটি ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের জন্য এই বার্তা দিচ্ছে যে, এখন থেকে বর্ণবাদী সেনারা যে কজন ফিলিস্তিনীকে হত্যা করবে, সমান পরিমাণ ইসরাইলিকেও হত্যা করা হবে। সুতরাং ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সশস্ত্র করা হলে তাদের হতাহতের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। কেননা, সমঝোতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার ফলে সশস্ত্র প্রতিরোধ ছাড়া ফিলিস্তিনীদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।#

পার্সটুডে/এনএম/২৯

 বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ