মে ৩০, ২০২৩ ১৪:২৯ Asia/Dhaka

চীনের শেনচৌ-১৬ মহাকাশযান আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে সফলভাবে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। জিং হাই ভেং, চু ইয়াং সু এবং কুই হাই ছাও—এই তিনজন নভোচারী এবারের মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে কুই হাই ছাও প্রথম বেসামরিক নভোচারী। তিনি বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিক্সের অধ্যাপক।

স্থানীয় সময় আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে ২-এফ রকেটে তারা যাত্রা করেন। জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টারের পরিচালক জু লিপেং বলেছেন, রকেট উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। নভোচারী ভালো অবস্থায় আছেন।
মিশনের কমান্ডার জিং হাই ভেং বলেছেন, শেনচৌ-১৬ মিশনের ক্রুদের মধ্যে পাইলট, প্রথম স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রথম পেলোড বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তার মানে- এবার মহাকাশে গিয়ে আরো জটিল, আরো বেশি এবং আরো কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। 

তিন নভোচারী

স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার চু ইয়াং চু বলেন, তিনি মহাকাশ স্টেশন কমপ্লেক্স মেইনটেইন এবং মেরামত কাজ করবেন, প্রযুক্তিগত পরীক্ষা করবেন, মহাকাশ স্টেশনের কার্যকারী, স্থিতিশীল, নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিচালনা নিশ্চিত করবেন।

মহাকাশে প্রবেশ করা চীনের প্রথম পেলোড বিশেষজ্ঞ কুই হাই ছাও বলেন, চীনের মহাকাশ স্টেশনের মাধ্যমে মহাকাশ মিশনের নতুন ভূমিকা শুরু হতে পারে, চীনের মহাকাশ বিজ্ঞান খাতে উন্নয়নের নতুন সুযোগ আসতে পারে।

এদিকে, টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক সোমবার এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, চীনের মহাকাশ কর্মসূচির অধিকাংশ মানুষ ধারনার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।

তিন নভোচারী

চীনের চন্দ্র অভিযান কর্মসূচির প্রধান ডিজাইনার উ ওয়েইরেনকে উদ্ধৃত করে সিজিটিএনের একটি রিপোর্ট পুনঃটুইট করেন একজন অবসরপ্রাপ্ত কানাডিয়ান মহাকাশচারী ক্রিস হেডফিল্ড। তার জবাবে ইলন মাস্ক এ মন্তব্য করেন।

সিজিটিএনের ওই রিপোর্টে উ বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের মানুষ নিশ্চিতভাবে চাঁদে পা রাখবে। এটা কোন ব্যাপার না।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০

ট্যাগ