ভ্যাটিক্যানের গির্জা জানিয়েছে, বিশ্বের মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। পশ্চিমা সরকারগুলোর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা সেখানকার জনগণকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার অন্যতম কারণ। এভাবে শত বাধা সত্ত্বেও ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়ছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝে দ্রুত গতিতে।

সাবেক পপ-তারকা ক্যাট স্টিভেন্স-এর ধর্মান্তরিত হওয়ার কাহিনীসহ তার কিছু বক্তব্য, ধ্যান-ধারণা এবং কিছু তৎপরতার কথা তুলে ধরার প্রয়াস পাব।

জাপানি নও-মুসলিম মাসায়ো ইয়ামাগুচি পড়াশুনা করেছেন টোকিও’র বহির্বিশ্ব স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফার্সি সাহিত্যের ওপর পড়াশুনা বদলে দিয়েছে তার জীবন। জাপানের মতো একটি দেশে আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় ঝোঁক-প্রবণতাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। কিন্তু এমন একটি দেশেও কেউ কেউ আছেন যারা নিজ অন্তরে মানবীয় মূল্যবোধের প্রতি দরদ অনুভব করেন এবং ব্যাপক গবেষণার পর ইসলামকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

ভারতীয় নও-মুসলিম ‘জাহরা সুজা খানি'-এর ধর্মান্তরিত হওয়ার কাহিনীসহ তার কিছু বক্তব্য, ধ্যান-ধারণা এবং কিছু ততপরতার কথা তুলে ধরা হল:

ইউরোপে ইসলাম-বিদ্বেষী মহলগুলোর ততপরতা দিনকে দিন জোরদার হওয়া সত্ত্বেও সেখানে ইসলামে দীক্ষিতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

ব্র্যান্ডস ফিউচার গ্রুপ নামের একটি পশ্চিমা গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে: পশ্চিমা নাগরিকরা, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা আধুনিক ও জীবনধারায় নতুনত্বের ছোঁয়া লাগানোর প্রত্যাশী তারা ধর্মের দিকে ঝুঁকছেন। এমনকি পশ্চিমের প্রতিভাবান ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর মধ্যেও অনেকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার নওমুসলিম মিসেস নার্গিস বালদাচিনের ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, “আমি প্রথমে সূরা এখলাস পড়ি। এ সূরার মাত্র কয়েকটি আয়াত পড়ে আমি খ্রিস্টান ধর্মের বিশ্বাস বা চিন্তাগত বহু সমস্যার সমাধান পেয়ে যাই এবং বুঝতে পারি, জীবনের পূর্ণতায় পৌঁছার জন্য ইসলাম ধর্মই একমাত্র অবলম্বন হতে পারে।”

“যারা মনোযোগ দিয়ে নানা বক্তব্য বা দৃষ্টিভঙ্গি শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।”(সুরা জুমার-১৭)

আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাই তিনি জানেন কোন কোন বিধান মানুষের জন্য সবচেয়ে কল্যাণকর বা উপযোগী এবং কিসে রয়েছে তার অকল্যাণ ও অমঙ্গল। আর যেহেতু ইসলাম মহান আল্লাহর মনোনীত সর্বশেষ ঐশী ধর্ম। তাই সবচেয়ে পরিপূর্ণ ও জীবনের সব দিকের বিধানে সমৃদ্ধ এবং সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ এ ধর্মের বিধানগুলোকে সব ক্ষেত্রে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সমাজগুলো শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে যেত। একইসঙ্গে মানুষের হতো গুণগুলোরও সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটত এবং তাদের মর্যাদাও সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হতো।

আইভান রাইডলি ইউরোপের একজন বিখ্যাত মুসলমান। ইসলামের পক্ষে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখার জন্য তিনি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তার জন্ম ১৯৫৯ সালে। তিনি ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মিরর-এর সাংবাদিক হিসেবে ২০০১ সালে আফগানিস্তান সফর করেন।