ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও ইরানি জাতির সঙ্গে মার্কিন সরকারের শত্রুতা অব্যাহত রয়েছে। ছয় বৃহৎ শক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়ার পর আশা করা হচ্ছিল যে ইসলামী এই দেশটির সরকার ও জনগণের সঙ্গে মার্কিন সরকারের শত্রুতা কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

ইসলামী বিপ্লবত্তোর ইরান অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও সামরিক দিকসহ নানা ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে এবং এ ধারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও অব্যাহত রয়েছে।

হাজার বছরের বিস্ময় ইরানের ইসলামী বিপ্লব বিগত প্রায় ৪০ বছরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিকসহ নানা ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বিস্তারের ধারা অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়টি একটি ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে ইরানকে দিয়েছে কার্যকর রাষ্ট্র-ব্যবস্থা হওয়ার আন্তর্জাতিক সুনাম।

পশ্চিম এশিয়া বিশ্ব-রাজনীতির অন্যতম প্রধান মঞ্চ। এ অঞ্চলের কৌশলগত ভৌগলিক ও রাজনৈতিক-সামাজিক অবস্থান এবং জ্বালানী সম্পদের প্রাচুর্য এ অঞ্চলের বিশেষ গুরুত্বের কিছু প্রধান কারণ।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব জাতিগুলোর প্রতিরোধ সংগ্রামের ইতিহাসে রচনা করছে এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়।

ইসলামী ইরানের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ প্রযুক্তিতে এতোটা অগ্রসর হয়েছেন যে তাদের দৃঢ় ইচ্ছা ও সংকল্পের সুবাদে ইসলামী এই দেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।

বিশিষ্ট ফরাসি চিন্তাবিদ মিশেল ফুকো ইরানের ইসলামী বিপ্লব নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের উত্তাল গণ-বিক্ষোভ তিনি তেহরানে থেকেই পর্যবেক্ষণ করেছেন।

ইরানে ইসলামী বিপ্লব ছিল গত কয়েক শতকে সাম্রাজ্যবাদী ও শয়তানি শক্তিগুলোর ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত। আর তাই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো এই বিপ্লবের সঙ্গে সব সময়ই শত্রুতা করে আসছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। 

ইরানের ইসলামী বিপ্লব বিগত এক হাজার বছরের ইতিহাসের এক নজিরবিহীন বিপ্লব। বহু বিশ্লেষকের মতে এ বিপ্লব হাজার বছরের সেরা বিপ্লব।