বহু বিশ্লেষকের মতে ইরানের ইসলামী বিপ্লব বিগত এক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ও নজিরবিহীন বিপ্লব। আধুনিক যুগে ধর্ম-ভিত্তিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন ঘটা সমাজ-বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্র-বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল কল্পনাতীত বিষয়। পাশ্চাত্যে ধর্ম কেবলই ব্যক্তি-জীবনে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছিল।

ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বয়স ৪২ বছর পূর্ণ হল। বিস্ময়করভাবে এ বিপ্লবের অগ্রযাত্রা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং তা এখনও বিশ্বের চিন্তাশীল মহলে ও সংবাদের জগতে শীর্ষস্থানীয় আলোচ্য বিষয় হিসেবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বে ইরানে ইসলামী বিপ্লব ঘটায় ইরান পররাষ্ট্রনীতিসহ সব ক্ষেত্রে স্বাধীন নীতির অনুসারী হতে সক্ষম হয়।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবকে একটি বড় ধরনের বিপ্লব বা মহাবিপ্লব বলা যায় এ কারণে যে এ বিপ্লব নানা ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে এবং এই পরিবর্তনগুলোকে দীর্ঘ সময়ের জন্য বজায় রেখেছে যা প্রচলিত অন্য বিপ্লবগুলোতে দেখা যায় না।

সাম্রাজ্যবাদী শিবির ও তাদের অনুচর সরকারগুলো যে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বদনাম করার জন্য শিয়া মুসলিম মাজহাবের সঙ্গে সুন্নি মুসলিম মাজহাবের মতপার্থক্যকে অপব্যবহারের চেষ্টা করছে তা আমরা গত পর্বের আলোচনায় জেনেছি।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের আরেকটি বড় সাফল্য হল মুসলিম বিশ্বের জন্য সর্বোচ্চ জরুরি বিষয় হিসেবে ইসলামী ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরা।

গত পর্বের আলোচনায় বলেছিলাম ইরানের ইসলামী বিপ্লব বর্তমান শতাব্দীতে ইসলামের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রবল উত্থানকে বিশ্বের চিন্তাশীল ও মুক্তিকামী জাতির কাছে অনেকাংশে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব বর্তমান শতাব্দিতে ইসলামের রাজনৈতিক ও আধ্যত্মিক শক্তির প্রবল উত্থানকে বিশ্বের চিন্তাশীল ও মুক্তিকামী জাতির কাছে অনেকাংশে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

ইরানের ইসলামী বিপ্লব আধুনিক যুগে বস্তুবাদী শক্তির ওপর ইসলামের আধ্যাত্মিক শক্তির বিজয়ের এক উজ্জ্বলতম নিদর্শন।

গত পর্বের আলোচনায় আমরা শুনেছি যে কেন ও কিভাবে ইরানের ইসলামী বিপ্লব আজও বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণের মাঝে আশার আলো হয়ে বিরাজ করছে।