খালেদা জিয়া কেমন আছেন?
'সাধারণ মানুষ হিসেবে যেটা বুঝি খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৯ নভেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- এবার রাজধানীতে একসঙ্গে তিনবোন নিখোঁজ-ইত্তেফাক
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৪-প্রথম আলো
- গণঅনশনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে অংশ নেয়ার আহবান ফখরুলের- মানবজমিন
- সারা দেশে নদী দখলদার ৬৫ হাজার ১২৭ জন, উচ্ছেদে চলছে অভিযান- কালের কণ্ঠ
- খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা অনুমতি না পেলে বিএনপি এমপিদের পদত্যাগ!- যুগান্তর
ভারতের শিরোনাম:
- কোথাও মিষ্টি বিলি, কোথাও স্লোগান! কৃষি আইন প্রত্যাহারের খবরে সিঙ্ঘু-টিকরিতে উচ্ছ্বাসমমতার দিল্লি সফরে বড় চমক! -আনন্দবাজার পত্রিকা
- তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বরুণ গান্ধী, তুঙ্গে জল্পনা-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
- ক্ষমা চাইতে বিএসএফ শিবিরে গেলেন শুভেন্দু! ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের–আজকাল
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন তুলে নেয়া সম্পর্কিত খবর আজ বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকের প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে।
ভারতের এনডিটিভির বরাত দিয়ে ইত্তেফাক লিখেছে, ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রথম আলোর শিরোনাম-কৃষকদের কাছে মাথা নোয়ালেন মোদি। সাত বছরের রাজত্বে এই প্রথম কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কৃষকদের শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যকে পরাস্ত করল। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য কৃষকদের অভিনন্দন।’কৃষকদের জন্য এটি বড় বিজয়।
া

গণঅনশনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে অংশ নেয়ার আহবান ফখরুলের- এ শিরোনামের খবরে দৈনিক মানবজমিন লিখেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল শনিবার গণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল নয়টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ গণঅনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে অংশ নিয়ে একাত্মতা পোষণ করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, আপনারা জানেন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন করেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেছেন, এতে আইনের কোনো সুযোগ নেই তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। সরকার চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারেন, সরকার চাইলে তাকে বিদেশে পাঠাতে পারেন। কিন্তু তাদের লক্ষ্য একটাই বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক থেকে সরিয়ে দিয়ে এবং এ দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্যই তারা তাকে বিদেশ যেতে দিতে চাচ্ছে না।

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আমরা জানি না কতোটা গুরুতর অসুস্থ বেগম জিয়া। আমরা ডাক্তারদের ভাষা বুঝিনা। সাধারণ মানুষ হিসেবে যেটা বুঝি তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমি জানিনা পার্লামেন্টে যখন প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন কোন রাজনৈতিক ভাষায় তিনি কথা বলেন। কোন শিষ্টাচারের মধ্যে কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। তিনি এদেশের উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। একমাত্র অহংকার, প্রতিশোধ এবং দাম্ভিকতার কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
বিশ্ব শৌচাগার দিবস আজ-ইত্তেফাক
দেশের ৬১ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের বাইরে-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সেক্টরে যথেষ্ট উন্নতি করলেও এখনো দেশের ৬১ শতাংশ জনগণ নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের বাইরে। দেশের ২ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ এখনো অনুন্নত শৌচাগার ব্যবহার করছে। জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ উন্নত শৌচাগার ব্যবহার করলেও তা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মানদণ্ডের অনেক নিচে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনস্বাস্থ্য নির্ভর করে শৌচাগারের ওপর। শৌচাগার লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখে। তাই শৌচাগার নিয়ে আমাদের অনেক বেশি যত্নবান হতে হবে। কারণ, নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ছাড়া জীবন অনেক বেশি নোংরা, বিপজ্জনক ও অসম্মানের।
সারা দেশে নদী দখলদার ৬৫ হাজার ১২৭ জন, উচ্ছেদে চলছে অভিযান-কালের কণ্ঠের এ খবরে লেখা হয়েছে, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদকে জানিয়েছেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দেশের নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করেছে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ১২৭ জন অবৈধ নদী দখলদার রয়েছে। দখলদারদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে সারা দেশে অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে প্রায় ১৯ হাজার ৮৭৪ জন অবৈধ নদী দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
মোদীর নতি স্বীকার, আন্দোলনের চাপে তিন কৃষি আইনই প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর-আনন্দবাজার পত্রিকা

শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে কেন্দ্র। গত প্রায় এক বছর ধরে ওই আইন নিয়ে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। শুক্রবার জাতীর উদ্দেশে ভাষণে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার অর্থ, কেন্দ্রীয় সরকার তথা মোদী পিছু হঠলেন। সেই সঙ্গেই আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে মোদীর আক্ষেপ, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। গুরু নানকের জন্মদিবসে মোদীর এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। কারণ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক। আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট।

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘কৃষকবিরোধী ওই আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁদের আপনারা (বিজেপি)গুন্ডা, জঙ্গি এবং দেশদ্রোহীর তকমা দিয়েছিলেন। ছ’শো-সাতশো কৃষক শহিদ হওয়ার পরে এখন পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করছেন। কৃষকদের কাছে ক্ষমা চাইছেন।’’প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমার আনন্দ লাগছে, শেষ পর্যন্ত সরকার বুঝতে পেরেছে, এ দেশে কৃষকদের চেয়ে বড় কোনও শক্তি নেই।’’তবে সেই সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখেই কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের এই অবস্থান বদল।
মমতার দিল্লি সফরে বড় চমক! তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বরুণ গান্ধী, তুঙ্গে জল্পনা-সংবাদ প্রতিদিন

নিজের মাটিতে সর্বশক্তিশালী প্রমাণ করার পর এবার রাজ্যের বাইরে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে বাংলার শাসকদল। ভিন রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমোর সফর মানেই নতুন কিছু প্রাপ্তি। উত্তরপূর্বে ত্রিপুরা থেকে পশ্চিমে গোয়া, রাজধানী দিল্লি – তৃণমূলের রাজনৈতিক রথের চাকা চলছে গড়গড়িয়ে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা গোয়া, ত্রিপুরায় সংগঠন সাজাতে ব্যস্ত। বসে নেই স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীও। পুজোর পর গোয়া সফর সেরে ফিরে আবার আগামী সপ্তাহে দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর সেই সফরেও থাকছে চমক। দিল্লিতে মমতার উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন গান্ধী পরিবারের সদস্য! এক্ষেত্রে নাম উঠে আসছে বিজেপি নেতা বরুণ গান্ধীর।
ক্ষমা চাইতে বিএসএফ শিবিরে গেলেন শুভেন্দু! ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের-আজকাল
‘সস্তা নাটক’ করতেই শুভেন্দু অধিকারী বিএসএফ দপ্তরে গেছেন। বৃহস্পতিবার নিউটাউনে শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়াকে এভাবেই সমালোচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, “শুভেন্দু বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে সস্তা নাটক করছে।” একই সঙ্গে কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন, “ও আগে বলুক, ২০১২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি কেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছিলেন? কেন মোদিজি বলেছিলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত? এর জবাব না দিয়ে নাটক বন্ধ করুক বিজেপি।” তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও শুভেন্দুর সমালোচনা করে বলেন, “বিএসএফের দপ্তরে কী করে চলে গেল? ওটা কি রাজনীতি করার জায়গা?” সেইসঙ্গে বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলেই ব্যাখ্যা করেছেন সুখেন্দু। তিনি বলেন, “বিএসএফের পরিধি বৃদ্ধি রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বিএসএফকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসএফকে শাখা সংগঠন বানাতে চাইছে।”#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯