জানুয়ারি ১৭, ২০২০ ১৭:১৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম: 

  • সৌদি আরবে ধরপাকড় চলছেই-১৬ দিনে ফিরেছেন ১৬১০ বাংলাদেশি-দৈনিক মানবজমিন
  • ‘উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও সম্মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ’-দৈনিক ইত্তেফাক
  • ইসি চাইলে ভোট পেছাতে পারে: কাদের-দৈনিক যুগান্তর
  • শেয়ারবাজারের ধস কি অপ্রত্যাশিত-দৈনিক প্রথম আলো
  • খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল-দৈনিক সমকালদশকে অর্থনৈতিক মন্দার রেকর্ড গড়েছে
  • ২০১৯ -দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • ‘যাঁরা ঝান্ডা তুলেছিলেন তাঁরাই এখন রাজনীতি করছেন’, ফাঁসিতে বিলম্ব নিয়ে তোপ নির্ভয়ার মায়ের -দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন    
  • ফের পারমাণবিক অস্ত্র প্রযুক্তি চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও পাকিস্তান -দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকানির্ভয়া
  • ধর্ষণ মামলা:‌‌ ‌প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ রাষ্ট্রপতির, অপেক্ষা ফাঁসির -দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা! এবারে চলুন, বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

ইরানের কুদস প্রধান জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা। ইরানের পাল্টা জবাব-ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা। সে সময় ইরানের অভ্যন্তরে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুলবশত ফেলে দেয়া। ইরানের সাথে ট্রাম্পের নিশর্ত আলোচনায় বসার ঘোষণা। পরমাণু সমঝোতা থেকে ইউরোপের শক্তিশালী তিন দেশের বেরিয়ে যাওয়া এবং হুঁশিয়ারি ইরানের পাল্টা হুঁশিয়ারি একইসাথে নতুন করে পরমাণু এনরিচের ঘোষণা সর্বশেষ ৮ বছর পর আজ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা জুমা নামাজের খোতবা দিয়েছেন। সেখানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মার্কিনিদের দম্ভে আঘাত বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তো সামগ্রিক বিষয় এখনও টক অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। এ সম্পর্কে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদেনের একটা শিরোনাম এরকম,  

চিকিৎসা চলছে জার্মানিতে-ইরানি হামলায় মস্তিষ্কের সমস্যায় ভুগছে মার্কিন সেনারা-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

 ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মার্কিন সেনাদের মাথায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে

ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার সুর পাল্টেছে পেন্টাগন। মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত সপ্তাহে চালানো ইরানের হামলায় ১১ মার্কিন সেনা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিউ ইয়র্ক পোস্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।

ইরাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন জোটের কর্মকর্তারা সিএনএনে এক বিবৃতিতে বলেন, হামলার পর সেনাদের মস্তিষ্কে সমস্যা (কনকাশন সম্পর্কিত লক্ষণ) দেখা দিয়েছে। এখনো তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে হামলায় কোনো মার্কিন সেনা নিহত হয়নি। সেনাদের জার্মানিতে চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হওয়ার পর তারা ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ফিরে যাবেন। 

গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিনীদের স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি নির্দেশে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হামলার পর ইরান ওই হামলা চালায়। সোলাইমানি ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতার ব্যক্তিি হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।

‘ইরাক না ছাড়লে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা হবে' দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন

Image Caption

বাংলাদেশ প্রতিদিনের আরেকটি খবরের শিরোনাম-ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়া শুরু, ১০০ আইনপ্রণেতার শপথ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে সিনেটের ১০০ আইনপ্রণেতা শপথ নিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসেডিন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসেনর মূল বিচার প্রক্রিয়া শুরু

বৃহস্পতিবার এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত। ‘নিরপেক্ষ বিচারের জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস তাদেরকে শপথ বাক্য পড়ান। অভিশংসনের জন্য মূল বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিনেটররা সিদ্ধান্ত নেবেন, শপথ ভঙ্গের কারণে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে কিনা। ২১ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে এই বিচার। জুরি হিসেবে শপথ নেওয়া সিনেটরদের মধ্যে ৫৩ জন রিপাবলিকান, ৪৫ জন ডেমোক্রেট ও দুজন স্বতন্ত্র।

সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল শপথের পর ট্রাম্পের কাছে সমন পাঠানোর উদ্যোগ নেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ট্রাম্পকে সমনের জবাব সিনেট বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে পাঠাতে হবে।

ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে জুরিদের দুই তৃতীয়াংশের ভোট লাগবে। তবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে তার প্রতি সমর্থনটাই বেশি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এমনকি এর জন্য তিনি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বন্ধেরও হুমকি দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

সৌদি আরবে ধরপাকড় চলছেই-১৬ দিনে ফিরেছেন ১৬১০ বাংলাদেশি-দৈনিক মানবজমিন

সৌদি আরব থেকে ফিরে আসছে হতভাগ্য শ্রমিকরা শূন্য হাতে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ধরপাকড় চলছেই। গতবছর থেকে শুরু হওয়া এ ধরপাকড় নতুন বছরেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১৬দিনে ফিরেছেন ১৬১০ জন বাংলাদেশি। গত বছর অর্থ্যাৎ ২০১৯ সালে ফেরত আসা বাংলাদেশির সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৮৯ জন। ফেরত আসা এসব কর্মীদের এক কাপড়েই ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের কেউ মানসিকভাবে অসুস্থ। ফিরে আসাদের বেশিরভাগেরই অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। নিয়মিত ফেরত আসার ধারাবাহিকতায় গতরাতেও দেশটি থেকে ফিরেছেন ১০৯ জন।

রাত ১১টা ২০মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০৪ বিমানযোগে তারা দেশে ফেরেন। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এসব কর্মীদের জরুরি সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। গতকাল দেশে ফেরেন সিলেট জেলার তালেব (৩০)। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না। রাতেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে হস্তান্তর করেছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম। পাঁচ বছর পূর্বে শ্রমিক হিসাবে সৌদি আরর গমন করেন তালেব। কিন্তু গত দুই মাস পূর্বে সেখান মানসিক ভারসাম্য হারান।

মাত্র দুই মাস আগে দেশটিতে গিয়েছিলেন নোয়াখালীর আজিম হোসেন। তাকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে। তার অভিযোগ, পাসপোর্টে তিন মাসের ভিসা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বলেন, বাজার করার জন্য মার্কেটে যাওয়ার পথে আটক হন তিনি। গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের সঙ্গে নিয়োগকর্তা (কফিল) কথা বলার পরও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জের রুহুল আমিন, কুমিল্লার ফিরোজ হোসেন ও মানিক, শরিয়তপুরের মিলন, যশোর জেলার মোসলেম উদ্দিন, বগুড়ার মেহেদি হাসান, গাজীপুরের রাজিবসহ ১০৯ বাংলাদেশি অধিকাংশের অবস্থা-ই এমন।

দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, আকামা তৈরীর জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকা প্রদান করলেও কফিল আকামা তৈরি করে দেয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর কফিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও গ্রেপ্তারকৃত কর্মীর দায়দায়িত্ব নিচ্ছে না।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০১৯ সনে ২৫ হাজার ৭৮৯ বাংলাদেশিকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন বছরের শুরুর ১৬ দিনে এক হাজার ৬১০ জন বাংলাদেশি ফিরলেন দেশটি থেকে। ফেরত আসাদের বর্ণনা প্রায় একই রকম। প্রায় সবাই খালি হাতে ফিরেছেন। কয়েকমাস আগে গিয়েছিলেন এমন লোকও আছেন। তারা সবাই ভবিষ্যত নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায়।

শরিফুল হাসান গত বছরের পুরো পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার ৭৮৯ জন, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব-আমিরাত থেকে ছয় হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে ৭ হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে ২ হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে ২ হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে ১ হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন শূণ্য হাতে ফিরেছেন- যাদের পরিচয় ডিপোর্টি।

তিনি বলেন, এই মানুষগুলোর পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত। ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবেও পাশে থাকতে চাই। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে।

পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে। দূতাবাস ও সরকারকেও বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষ করে ফ্রি ভিসার নামে প্রতারণা বন্ধ করা উচিত।

‘ধর্ষণ প্রতিরোধে নজরদারির অভাব রয়েছে’-দৈনিক মানবজমিন

Image Caption

মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট সালমা আলী বলেছেন, নারী যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছে, তারা ভোগ্যপণ্য নয়। তারপরও কিছুসংখ্যক পুরুষ এখনও নারীকে মানুষ হিসেবে না দেখে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখে। পুরুষের এই ধরনের মানসিকতার কারণেই সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য সরকারের যে ধরণের নজরদারি দরকার তার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে ধর্ষণ মামলাগুলোর তদন্তের পদ্ধতি পুরানো আমলের, ফরেনসিক থেকে শুরু করে কোনকিছুই যুগোপযোগী করা হয়নি। আমাদের আইনে বলে দেয়া আছে যদি আসামী ধরা পড়ে, পনের দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে দেবে। আমাদের অনেক কড়া আইন আছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আদালতে যাওয়ার জন্য যে সার্পোট, মানসিকতা, জবাবদিহিতা থাকার কথা সেই জিনিসগুলো নেই। সেজন্য সব মিলিয়ে আমরা রেজাল্ট দেখি না।

সালমা আলী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সাহস করে এগিয়ে আসে না। যারা আসে একটা পর্যায়ে তারা আপোষ করে ফেলে। তিনি বলেন, হাইকোর্ট একটি ভালো আদেশ দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কোর্ট তিনজনের সমন্বয়ে একটি নজরদারি কমিটি হবে- যারা পুলিশকে জবাবদিহির ভেতরে রাখবে এবং সেখানে ধর্ষণের মামলাগুলোর মাসে মাসে রির্পোট আসবে। কোন মামলা দেরি হলে কেনো দেরি হলো তার জন্য পুলিশ জবাবদিহি করবে।

এই মানবাধিকার আইনজীবী আরও বলেন, আদালতে নারীবান্ধব একটা পরিবেশ থাকবে, যেখানে ক্যামেরা ট্রায়াল থাকবে। একজন ভুক্তোভোগীকে ঘিরে সবধরণের সুরক্ষা বলয় থাকবে। তাহলে ভুক্তভোগী শেষ পর্যন্ত মামলাটি চালিয়ে যেতে পারে।

সালমা আলী বলেন, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট শুধু জেলা শহরগুলোতে দিলে হবে না, সবখানে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, যতদ্রুত সম্ভব সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তন করা প্রয়োজন। আমাদের আইন আছে প্রয়োগ নেই। অপরাধ যা-ই হোক তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হতে হবে।

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সাবেক এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিচার না করে বিনা বিচারে গুলি করে মেরে ফেলবো- এই কথা যদি জাতীয় সংসদে বলা হয়, তাহলে তো ভয়াবহ। এগুলো বলার অর্থ হচ্ছে, ঘটনা থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে দেয়া।

‘উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেও সম্মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ’-দৈনিক ইত্তেফাক

'বিশ্বে এখন বাংলাদেশ শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাতেই রোল মডেল নয়, উন্নয়নেরও রোল মডেল হিসেবে আলাদা একটা সম্মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ', বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে নিজ ফেসবুক ওয়ালে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন তিনি। একই সঙ্গে ওই পোস্টে দুর্যোগ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়নকাণ্ডও তুলে ধরেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের অর্থনীতি বিষয়ক খবরের শিরোনাম'বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবো, বাংলাদেশের অর্থনীতি আর দরিদ্র নয়'-পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এ খবরে লেখা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্র্যান্ডিং করতে কাজ করছি আমরা। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সরকারের অর্জন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরে বলবো, বাংলাদেশের অর্থনীতি আর দরিদ্র নয়।

তবে দৈনিকটির অন্য একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম এরকম-এক দশকে অর্থনৈতিক মন্দার রেকর্ড গড়েছে ২০১৯।

এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ছিল ২.৩ শতাংশ যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে ঝামেলা, বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগে মন্দার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে এ বছর বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হার বেড়ে ২.৫ হতে পারে এবং ২০২১ সালে এ হার ধরা হয়েছে ২.৭ শতাংশ। 

তবে হঠাৎ বাণিজ্যিক, অর্থিনৈতিক কিংবা ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে গেলে এ অর্থনৈতিক মন্দা আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ১.৮ শতাংশ। এ মন্দা দারিদ্র্য দূরীকরণ, জীবনমান উন্নয়ন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো চাকরির সুযোগ তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ঢাকা সিটি নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন খবর

দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম-ইসি চাইলে ভোট পেছাতে পারে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

এ খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটের তারিখ নিয়ে বিদ্যমান বিতর্কের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে ভোটের তারিখ পেছাতে পারে। এতে সরকারের আপত্তি নেই। এদিকে দৈনিক মানবজমিনের একটি খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল আজ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইচ্ছাকৃতভাবে ৩০শে জানুয়ারি পূজার দিন ভোট দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা আপিল বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছি।

অন্যদিকে দৈনিক মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ৩০ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। তিনি অভিযোগ করেন, আমরা গণসংযোগে ব্যস্ত আর তারা গুজব নিয়ে ব্যস্ত।

শেয়ারবাজারের ধস কি অপ্রত্যাশিত-দৈনিক প্রথম আলো

শেয়ারবাজারে দরপতনের ধারা অব্যাহত থাকায় আবারও হায় হায় রব উঠেছে। এক দশকের মধ্যে শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন কমেছে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারের এই দুর্দশাকে অবশ্য দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় একটি ব্যতিক্রম বা বিচ্যুতি হিসেবে তুলে ধরার একটা চেষ্টা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। ভাবটা যেন এমন যে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছে, শুধু শেয়ারবাজারটাই ঠিক করা যাচ্ছে না। এই বিচ্ছিন্ন সংকট নিয়ে উৎকণ্ঠার কিছু নেই।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

নির্ভয়া ধর্ষণ মামলা:‌‌ ‌প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ রাষ্ট্রপতির, অপেক্ষা ফাঁসির-দৈনিক আজকাল

Image Caption

২২ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকর করার রায় এখনও বহাল। কিন্তু তিহাড় জেল আবার নতুন করে ফাঁসির দিনক্ষণ নির্ধারণ করার আর্জি জানিয়েছে। সব মিলিয়ে নির্ভয়া কাণ্ডে চার অপরাধীর ২২ তারিখ ফাঁসি হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তার মধ্যেই সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংহের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতকাল রাতেই মুকেশের আর্জি খারিজ করার সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতিকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

 ‘যাঁরা ঝান্ডা তুলেছিলেন তাঁরাই এখন রাজনীতি করছেন’, ফাঁসিতে বিলম্ব নিয়ে তোপ নির্ভয়ার মায়ের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

আশাদেবী

চার অভিযুক্তের ফাঁসি নিয়ে বিজেপি ও আপ রাজনীতি শুরু করেছে বলে দাবি করেন নির্ভয়ার মা। নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়েছে বিজেপি এবং আপ। তাতে এ বার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল নির্ভয়ার মা আশাদেবীর। তাঁর মেয়ের মৃত্যু নিয়ে কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। 

নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি নিয়ে ঢিলেমির জন্য একে অপরকে দুষছে কেন্দ্রের বিজেপি ও দিল্লির আপ সরকার। তাতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেন আশাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েকে যারা শেষ করে দিল, তাদের হাজারটা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আমাদের কি অধিকার বলে কিছু নেই?এত দিন রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করিনি।

ফের পারমাণবিক অস্ত্র প্রযুক্তি চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও পাকিস্তান-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

Image Caption

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ নতুন নয়। এ বার আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও পাকিস্তানের পাঁচ ব্যবসায়ী। রাওয়ালপিণ্ডির একটি সংস্থা ‘বিজনেস ওয়ার্ল্ড’-নামে ওই সংস্থার পাঁচ কর্তাকে আমেরিকা গ্রেফতার করার পর কূটনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য। উদ্বেগ বেড়েছে ভারতেরও।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭


 

ট্যাগ