কথাবার্তা: ট্রাম্প সমর্থকদের ফের হামলার আশঙ্কায় গোয়েন্দা সতর্কতা, অভিশংসনের পথে!
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ট্রাম্পের অভিশংসনের আর্টিকেল মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন -দৈনিক ইত্তেফাক
- ট্রাম্প সমর্থকদের ফের হামলার আশঙ্কা, গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কতা -দৈনিক সমকাল
- কলাবাগানের ঘটনা একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম: আইজিপি -কালের কণ্ঠ
- ঢাবিতে পিএইচডি থিসিস সংরক্ষণ হয় কীভাবে, জানতে চান হাইকোর্ট -মানবজমিন
- বিপুলসংখ্যক ভোটার বাদ পড়ার শঙ্কা -যুগান্তর
- তাপসএবং সাঈদ খোকন- দু'জনের অভিযোগই গুরুতর -বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- কেবল দু’টি প্রতিষেধককেই কেন বাছা হল? মোদীকে প্রশ্ন মমতার -আনন্দবাজার পত্রিকা
- বাংলা চালাবেন দিলীপ ঘোষই, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ নিয়ে অবশেষে ‘রহস্যভেদ’! -সংবাদ প্রতিদিন
- ‘কৃষকরাই দেশের নায়ক’, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ফের সোচ্চার মুখ্যমন্ত্রী মমতা -দৈনিক আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
তাপসএবং সাঈদ খোকন- দু'জনের অভিযোগই গুরুতর-বাংলাদেশ প্রতিদিন

তাপস এবং সাঈদ খোকন- পরষ্পরের বিরুদ্ধে কতোগুলো অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগগুলো তারা তুলেছেন এবং তুলছেন প্রকাশ্যে, সেগুলো মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। দু'জনের অভিযোগই গুরুতর। এই অভিযোগগুলোর কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তা আমরা আমজনতা জানি না। অভিযোগকারী দুজনই রাজনীতিক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। একজন বর্তমান মেয়র, আরেকজন সাবেক মেয়র। তারা দায়িত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সের যে ঘোষণা, সেটি এখনো বহাল থাকলে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই দুই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্তের উদ্যোগ নেবে।
সরকার যে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না- জনগণের মধ্যে সেই বার্তা এবং বিশ্বাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই দুইজনের অভিযোগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
ঢাবিতে পিএইচডি থিসিস সংরক্ষণ হয় কীভাবে, জানতে চান হাইকোর্ট-মানবজমিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণা কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নে কোনো সফটওয়ার কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাবি কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছে। আদালত ঢাবি কর্তৃপক্ষকে আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। তবে ইউজিসি প্রতিবেদন দিয়েছেন। সে প্রতিবেদন দেখে আদালত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পিএইচডি গবেষণা কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নে কোনো সফটওয়ার কিংবা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা-তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ স্বীয় আইন, বিধি, প্রবিধি, সংবিধি ও নীতিমালা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এমফিল ও পিএইচডিসহ উচ্চতর ডিগ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে।এ বিষয়ে কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। এছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের ব্যপারে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে সরকার অনুমোদিত ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কমিশন থেকে অদ্যাবধি কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি গ্রোগ্রাম পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়নি।
গত বছর জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ শিরোনামে প্রকাশিত খবর যুক্ত করে পিএইচডি থিসিস অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র (এনওসি) নেয়া বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।
ট্রাম্পের অভিশংসনের আর্টিকেল মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন-দৈনিক ইত্তেফাক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন সংক্রান্ত আর্টিকেলটি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় সোমবার সকালে এটি উত্থাপন করা হয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা উন্মত্ত জনতাকে 'অভ্যুত্থানে প্ররোচনা' দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি অভিশংসন প্রক্রিয়া পরিকল্পনা মাফিক এগোয়, তাহলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দু'বার অভিশংশিত হওয়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক বলে পরিচিত ক্যাপিটল হিলের ভেতরে গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা যেভাবে সহিংসতা চালিয়েছে, তাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসনের জোরালো দাবি উঠেছে। স্থানীয় সময় সোমবারের মধ্যেই তা নিয়ে ভোট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক দলীয় হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন। যদিও জানুয়ারির ২০ তারিখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার শেষ দিন। এজন্য অভিশংসন অভিযোগ হাউজে ভোটে পাস হতে হবে। তারপর বিষয়টি সিনেটে যাবে যেখানে প্রেসিডেন্টকে অপসারণ করতে দুই তৃতীয়াংশ ভোট দরকার হবে। তবে কেবল মাত্র ডেমোক্র্যাট নয়, রিপাবলিকানদেরও অনেকেই তার বিরুদ্ধে সেদিন সমর্থকদের উস্কে দেয়ার অভিযোগ করছেন।
ট্রাম্প সমর্থকদের ফের হামলার আশঙ্কা, গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কতা-দৈনিক সমকাল
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের আগে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প সমর্থকরা আরও সশস্ত্র বিক্ষোভ করতে পারেন বলে সতর্ক করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা কঠোর করার মধ্যে এ সতর্কতা।
সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারির আগে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটলসহ ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র গ্রুপগুলো সমবেত হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া এফবিআইয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সমর্থক একটি গোষ্ঠী অঙ্গরাজ্য, স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় আদালতগুলোতে ঢুকে পড়ার ডাক দিচ্ছে। খবর বিবিসির
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান চাদ ওলফ জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশেষ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শপথ অনুষ্ঠানটির নিরাপত্তায় এবং ৬ জানুয়ারির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েন করা হবে।
গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের দিনে ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালান ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ৫ জন। ট্রাম্পের উসকানিতেই এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ডেমোক্র্যাটরা।
আগামী ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনের বাইরে জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে সোমবার জো বাইডেন সাংবাদিকদের জানান, ক্যাপিটলের বাইরে শপথ নিতে কোনো ভয় পাচ্ছেন না তিনি। আশা করা হচ্ছে তিনি এবং নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভবনের বাইরেই শপথ নেবেন।
খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিনগুলোতে আরও সহিংসতা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্প সমর্থক একটি উগ্র ডানপন্থী অনলাইন নেটওয়ার্ক আগামী ১৭ জানুয়ারি বিভিন্ন শহরে সশস্ত্র বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এছাড়া শপথের দিনে ওয়াশিংটন ডিসি অভিমুখে মিছিলেরও ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
কলাবাগানের ঘটনা একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম: আইজিপি-কালের কণ্ঠ
কলাবাগানের ঘটনাটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম (অপরাধ) হিসেবে দেখছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘কিশোরদের বিপথগামী হতে দেওয়া যাবে না। কিশোর গ্যাং নামে কোনো দৌরাত্ম্য চলতে পারে না। আমাদের এ ধরনের যেকোনো দৌরাত্ম্য মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের একটি প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে তা আমরা চাই না। আর এ জন্য দায়িত্ব্ব নিতে হবে মা-বাবা, পরিবার ও সমাজকেও। মা-বাবাকে সন্তানের খোঁজখবর রাখতে হবে। তাদের মধ্যে নীতি-নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে।
বিপুলসংখ্যক ভোটার বাদ পড়ার শঙ্কা-যুগান্তর
বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ছাড়াই ২০২০ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৭ জানুয়ারি সারা দেশে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ওই খসড়ার ওপর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ২ মার্চ।
২০১৯ সালে যেসব নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে গত ১ জানুয়ারি যারা ভোটার যোগ্য হয়েছে তাদের নাম থাকছে এ ভোটার তালিকায়। ভোটার তালিকা আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বিধান রয়েছে। প্রসঙ্গত বর্তমানে দেশে ভোটার রয়েছেন কমবেশি ১১ কোটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কয়েকটি জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ না করায় বিপুলসংখ্যক নতুন ভোটার বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে অনেক মৃত ভোটারও থেকে যাবেন ভোটার তালিকায়। তারা বলেন, ২০১৯ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ২৩৬ জন মৃত নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
ঘুষ নিয়ে ভারতীয়কে পাসপোর্ট, ৪ জনকে দুদকে তলব-দৈনিক সমকাল
পাসপোর্ট অধিদফতরের দুই পরিচালকসহ চার কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক উপ-পরিচাপলক মো. আবুবকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের আগামী ১৭ ও ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ঘুষ নিয়ে ভারতীয় নাগরিক হাফেজ আহমেদকে পাসপোর্ট প্রদান ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।তাদের কাছে পাঠানো চিঠিতে জিজ্ঞাসাবাদের দিন জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, টিআইএন সার্টিফিকেট সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কেবল দু’টি প্রতিষেধককেই কেন বাছা হল? মোদীকে প্রশ্ন মমতার-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ এখনও চলছে। অভিযোগ, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়নি কোনও বিজ্ঞান-জার্নালেও। চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগে এমন কোনও সংস্থার প্রতিষেধক কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠকে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ প্রশ্নও তুললেন, কেন এ ভাবে কেবল মাত্র দু’টি প্রতিষেধককেই বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র?
শনিবার থেকে দেশ জুড়ে গণটিকাকরণ শুরু করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে জন্য দু’টি প্রতিষেধককে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। একটি অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতে যা তৈরি করছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। অন্যটি হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। মানবদেহে এখন তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালু রয়েছে কোভ্যাক্সিনের। বিদেশে শেষ হলেও এ দেশে এখনও তৃতীয় দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালু রয়েছে কোভিশিল্ডেরও। তা সত্ত্বেও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রশ্নে ওই দুই প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। আর তা নিয়েই আজ প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, কোনও প্রতিষেধক নিরাপদ ও কার্যকর— এই ছাড়পত্র বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের পরেই দেওয়া উচিত।
বাংলা চালাবেন দিলীপ ঘোষই, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ নিয়ে অবশেষে ‘রহস্যভেদ’!-সংবাদ প্রতিদিন
একুশের নির্বাচনে কে হবেন বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী? এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ নিয়ে মুখে কুলুপ গেরুয়া শিবিরের সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরও। কিন্তু তারই মধ্যে মুখ খুললেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। জানিয়ে দেন, রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। সোমবার সৌমিত্র খাঁয়ের এহেন মন্তব্যের পর থেকে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। একুশের নির্বাচনে দু’শোর বেশি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি (BJP)। প্রচার মিছিলে বারবার এমন কথাই শোনা গিয়েছে নেতা-মন্ত্রীদের গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের হ্যাটট্রিক আটকাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। যে কারণে প্রায় প্রতি মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায় প্রচারের জন্য হাজির হচ্ছেন। কিন্তু এসবের মাঝেও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, সে নিয়ে জল্পনা জিইয়েই রেখেছে পদ্মশিবির। কখনও উঠে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম তো কখনও আবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াইয়ের ভাবনার কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি এখনও। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। বঙ্গ সফরে এসে শুধু জানিয়েছিলেন, বাংলার ভূমিপুত্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন, লড়বেন এবং জিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
আবার এও মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ঘোষণা না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (PM Modi) ‘মুখ’ করে এগোতে চাইছে বিজেপি। তবে এবার সৌমিত্র খাঁয়ের আচমকা দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এহেন দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি দলের অন্দরে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে? শুভেন্দু অধিকারী কি তবে সত্যিই তালিকায় নেই? উত্তর অবশ্য এখনও মেলেনি।
নতুন ৩ কৃষি আইনই স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট, রফার খোঁজে কমিটি-দৈনিক আনন্দবাজার
বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইনে ফের স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইনগুলি কার্যকর করা যাবে না। সরকার ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে রফাসূত্র বার করতে গড়া হয়েছে একটি বিশেষ কমিটিও।
আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ দফা বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তাতে কোনও সমাধানই বেরিয়ে আসেনি। কৃষকদের মতামত নিয়ে কেন্দ্র আইনে সংশোধন ঘটাতে রাজি হলেও, আন্দোলনকারীরা তাতে রাজি হননি। বরং সম্পূর্ণ আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা। তাই কমিটি গঠন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করাই শ্রেয় বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্তী মমতা বন্দোপাধ্যায় ফের বলেছেন,‘কৃষকরাই দেশের নায়ক। তিনি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জানান।
‘কৃষকরাই দেশের নায়ক’, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ফের সোচ্চার মুখ্যমন্ত্রী মমতা-দৈনিক আজকাল
ফের কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু দিবস। শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শাস্ত্রীজিই প্রথম এই ‘জয় জওয়ান, জয় কিসান’ স্লোগান তুলেছিলেন।’’
দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বলেন, ‘কৃষক ভাই ও বোনেদের জন্য সবাই গর্বিত। কৃষকরাই দেশের আসল নায়ক। অবিলম্বে কৃষক–বিরোধী আইন প্রত্যাহার করে নিতে হবে কেন্দ্রকে।’
প্রায় মাস তিনেক ধরে দিল্লিতে প্রতিবাদ–বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। আইন প্রত্যাহারে দাবি অনড় তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও সুরাহা মেলেনি। আইন বাতিল করে চায় না কেন্দ্র।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।