মে ৩০, ২০২৪ ২০:২১ Asia/Dhaka
  • তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ
    তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ির সঙ্গে তেহরানে সাক্ষাৎ করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রায়িসি'র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে তিনি তেহরানে এসেছেন।

সফররত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে দেয়া সাক্ষাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, এ অঞ্চলে সিরিয়ার রয়েছে বিশিষ্ট অবস্থান এর আত্ম-পরিচিতির কারণে এবং এই গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। সিরিয়ার এই বিশেষ অবস্থান গড়ে উঠেছে মরহুম হাফেজ আল আসাদ-এর শাসনামলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট গঠন ও পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মাধ্যমে। আর এই বিশেষ নীতি সিরিয়ার জাতীয় ঐক্য জোরদারে ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি। 

তিনি প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদেরও প্রশংসা করে বলেছেন, সবার উচিত সিরিয়া সরকারের বিশেষ সুবিধার দিকে লক্ষ্য করা-আর তা হল প্রতিরোধ। আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, পশ্চিমারা ও এই অঞ্চলে তাদের সহযোগীরা সিরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে উৎখাত করতে চেয়েছিল এবং দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে এটিকে আঞ্চলিক সমীকরণ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। এখন তারা একই কাজ করতে চায় অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে। এসবের মধ্যে রয়েছে এমনসব প্রতিশ্রুতি দেয়া যা তারা কখনও পূরণ করবেনা। তিনি মার্কিন ও ইউরোপীয় চাপগুলোর মোকাবেলায় তেহরান-দামেস্ক সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নানা ক্ষেত্রে সিরিয়া ও ইরানের সহযোগিতা জোরদারে 'প্রিয় মরহুম রায়িসি'র' ভূমিকা স্মরণ করে বলেছেন, এখন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট জনাব মোখবের সেই একই নীতি অব্যাহত রাখবেন এবং আমরা আশা করছি সব বিষয়ই এগিয়ে যাবে সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে। 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গাজায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিষয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন এবং মানামায় অনুষ্ঠিত আরব লিগের সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও গাজার বিষয়ে নানা ভুল করা হয়েছে যদিও কোনো কোনো দেশ বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে।

 এ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেছেন, 'ইরান ও সিরিয়ার সম্পর্ক কৌশলগত এবং তা এগিয়ে যাচ্ছে আপনার দিক-নির্দেশনায়। আর এই দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ছিলেন মরহুম প্রেসিডেন্ট রায়িসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী  হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।'  আসাদ রায়িসিকে 'বিনয়ী, বিজ্ঞ ও নীতিবান' বলে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাঁর এসব বৈশিষ্ট্যকে ইরানের অবস্থান ও ইসলামী বিপ্লবের শ্লোগানের সুস্পষ্ট প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছেন।

গত তিন বছরে ফিলিস্তিন ও আঞ্চলিক নানা বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রায়িসির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে আসাদ আরও বলেছেন, এই সময়ে সিরিয়া ও ইরানের সম্পর্কও আরও গভীর হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদ এ অঞ্চলে প্রতিরোধের বিবর্তনের কথা তুলে ধরে বলেছেন, ৫০ বছর পর প্রতিরোধ এখন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পদ্ধতির রূপ নিয়েছে। #   

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।   

ট্যাগ