ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টা: ব্যর্থতার দায় নিয়ে সিক্রেট সার্ভিস পরিচালকের পদত্যাগ
(last modified Wed, 24 Jul 2024 04:38:35 GMT )
জুলাই ২৪, ২০২৪ ১০:৩৮ Asia/Dhaka
  • কিমবার্লি চিটল
    কিমবার্লি চিটল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালক কিমবার্লি চিটল।

কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে একজন বন্দুকধারী কিভাবে ট্রাম্পের এত কাছে পৌঁছালো- তা নিয়ে কংগ্রেসনাল কমিটির তদন্ত এবং সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে পদত্যাগের জোরালো দাবির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল (মঙ্গলবার) পদত্যাগের ঘোষণা দেন কিমবার্লি চিটল। কিম্বারলি চিটল ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

স্থানীয় সময় সোমবার (২২ জুলাই) সকালে মার্কিন কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেন সিক্রেট সার্ভিসের ডিরেক্টর কিমবার্লি। এ সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে বন্দুকধারীর হামলার বিষয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে না পারায় নিজের ওপর সব দায় নেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি জানিয়েছে, সিক্রেট সার্ভিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এক ইমেইল বার্তায় কিমবার্লি চিটল বলেছেন, "নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটির জন্য সব দায়ভার আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আপনাদের পরিচালক হিসেবে পদত্যাগের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

গুলিতে আহত  ট্রাম্পকে সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা ঘিরে রেখে গাড়িতে তুলছেন। (ফাইল ফটো: ১৩ জুলাই, ২০২৪)

 ট্রাম্পের প্রাণহানি এই প্রচেষ্টাকে তিনি সিক্রেট সার্ভিসের কয়েক দশকের মধ্যে 'সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যর্থতা' বলে অভিহিত করেছেন। 

চিটল স্বীকার করেছেন যে, "সমাবেশে গুলির আগে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে দুই থেকে পাঁচবার সিক্রেট সার্ভিসকে সতর্ক করা হয়েছিল। যে ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়েছি সেটিকে সমাবেশের কয়েকদিন আগে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।" তবে, সেদিন কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে বহু প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। ওই ছাদে কেন কোনও এজেন্টকে মোতায়েন করা হয়নি, তারও সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন কিমবার্লি চিটল।

গত ১৩ জুলাই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তাদের তৎপরতায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

ওই হামলায় ট্র্রাম্প প্রাণে বেঁচে গেলেও দর্শক সারিতে থাকা একজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হন। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের পাল্টা গুলিতে নিহত হন সন্দেহভাজন হামলাকারীও।#

পার্সটুডে/এমএআর/২৪

 

ট্যাগ