বাজেট অধিবেশনের আগে সংসদ চত্বরে লক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব মোদির
এবারের বাজেটে বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
-
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ভারতে আজ ৩১ জানুয়ারি থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। ১৪ এপ্রিল শেষ হবে। আগামীকাল (শনিবার) মোদি সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগে আজ সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের সামনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে কোনও ধরনের বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করি। আজও আমি সেটাই করতে চাই। মা লক্ষ্মী গরিব এবং মধ্যবিত্তদের উপর সদয় হন, এটাই প্রার্থনা।” এরপরই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লক্ষ্মী স্তবের পর মোদি বলেন, 'দেশবাসী আমাকে তৃতীয়বারের জন্য তাঁদের স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্য়ে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, তাতে আমি আপ্লুত। আগামী ২৫ বছর সমৃদ্ধ ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার শতবর্ষে বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের সংকল্প নিয়েছে এই সরকার।
এবারের বাজেট সেই সংকল্প পূরণের লক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। রিফর্ম, পারফর্ম, ট্রান্সফর্ম, এটাই আমাদের লক্ষ্য। এবারের বাজেট নতুন ভারতের স্বপ্নপূরণের বাজেট হতে চলেছে।'
মোদি বলেন, এবারের বাজেট দেশবাসীর জন্য নতুন বিশ্বাসের সোপান হতে চলেছে।
এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী সংসদে প্রবেশের আগে বলেছিলেন, ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম বাজেট অধিবেশন হতে যাচ্ছে যেখানে কোনও বিদেশি ইন্ধন নেই।’ তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কোনও না কোনওভাবে ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর এখানে বসে কিছু মানুষ সেই ইন্ধনে মদত জোগান।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বিদেশি ইন্ধন’ সম্পর্কিত মন্তব্য নিয়ে রাজনীতিকদের অনেকেই মনে করছেন, তিনি পরোক্ষভাবে বিরোধীদের টার্গেট করেছেন।

আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট
কমবে আর্থিক বৃদ্ধির গতি! জিডিপি থাকতে পারে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে
এদিকে, ভারতের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে-দেশটির আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হবে। জিডিপির হার ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামীকাল সংসদে বাজেট পেশ করার আগেই আজ ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বার্ষিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে এই তথ্য উঠে এসেছে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫-’২৬ অর্থ বছরে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের বা জিডিপির হার নিম্নমুখী হওয়ার হতে পারে। এর পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন কমেছে বলে জানিয়েছে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট।
একইসাথে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি যে যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল, তা আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/জিএআর/৩১