শহীদ কমান্ডাররা ছিলেন ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের গর্বিত ছায়াপথের উজ্জ্বল নক্ষত্র’
শহীদদের রক্ত ইসরাইল নামক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারকে অপসারণ করবে: আইআরজিসি
-
হামাস যোদ্ধারা
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি বলেছে, হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের কমান্ডারদের রক্ত ইসরাইল-বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামের ভবিষ্যত পথকে আলোকিত করবে।
গাজা উপত্যকায় বিগত ১৫ মাসের ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধে কাসসাম ব্রিগেডের চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ দেইফসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডারের শাহাদাতের খবর ঘোষণা করার পর এক শোকবার্তায় আইআরজিসি এ মন্তব্য করেছে। বার্তায় শহীদদের পরিবারবর্গসহ ফিলিস্তিনি জাতিকে শোক ও অভিনন্দন জানানো হয়।
শোকবার্তায় বলা হয়, শহীদ কমান্ডারদের রক্ত চূড়ান্তভাবে ইসরাইল নামকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারকে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল থেকে অপসারণ করবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পর হামাসের পক্ষ থেকে গোটা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের পর সংগঠনটির সামরিক মুখপাত্র আবু ওবায়দা বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদ দেইফসহ শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন কমান্ডারর শাহাদাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দেইফের সরাসরি নির্দেশে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরু করা হয়েছিল।
আইআরজিসির শোকবার্তায় দেইফসহ শহীদ কমান্ডারদেরকে ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের গর্বিত ছায়াপথের উজ্জ্বল নক্ষত্র’ বলে অভিহিত করা হয় যারা অপরাধী ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে ত্যাগ, প্রতিরোধ এবং নিরলস সংগ্রামের একটি অনুপ্রেরণাদায়ক ও স্থায়ী উপাখ্যান তৈরি করেছেন।
শোকাবার্তায় বলা হয়, তাদের নাম ইহুদিবাদী অপরাধীদের পাশাপাশি তাদের সমর্থকদের হৃদয়ে ভীতি ও আতঙ্ক জাগিয়ে তুলেছে এবং যারা তাদের পথ অব্যাহত রেখেছে তারা প্রমাণ করবে যে, তাদের নাম এখনও জীবিত আছে। #
পার্সটুডে/এসআই/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।