সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, অসমে পুলিশের ছুটি বাতিল
(last modified Thu, 29 Feb 2024 11:43:28 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১৭:৪৩ Asia/Dhaka
  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, অসমে পুলিশের ছুটি বাতিল

ভারতে বহুলালোচিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ/ক্যা) কার্যকর হলে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ।

‘সিএএ’ কার্যকর হলে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে সারা অসম ছাত্র সংস্থাসহ বিভিন্ন দল সংগঠন। এদিকে সম্ভাব্য ‘সিএএ’-আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। আগামী ১০ মার্চ থেকে রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ‘সিএএ’ বিরোধী  আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে পুলিশ কীভাবে এর মোকাবিলা করবে সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলায়  মহড়া চলছে বলে জানা গেছে।  

সম্প্রতি অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের এক বৈঠকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ‘সিএএ’ কার্যকর হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রত্যেকটি জেলা কমিটিকে নির্দেশ জারি করেছে। অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের সভাপতি পলাশ চাংমাই, সাধারণ সম্পাদক রাতুল বরগোহাই, মুখ্য উপদেষ্টা প্রতাপ বরুয়া এক নির্দেশ জারি করে বলেছেন, আগামী ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ কার্যকর করার সম্ভাবনা আছে। ফলে, এক্ষেত্রে প্রস্তুত হয়ে থাকার জন্য প্রত্যেক জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।    

এদিকে, আজ (বৃহস্পতিবার) অসমে বিরোধীদের সংযুক্ত  বিরোধী ফোরাম  ‘সিএএ’ যাতে কার্যকর না হয় সেজন্য রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়ার মাধ্যমে  রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি  দিয়েছে। কংগ্রেস, আম আদমি  পার্টি, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, অসম জাতীয় পরিষদ (এজেপি) সহ ১৬ দলীয় সংযুক্ত বিরোধী ফোরাম অসমের রাজ্যপালের  মাধ্যমে  রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে একটি  স্মারকলিপিতে ‘সিএএ’ বাতিলের জন্য তার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।    

অসমের কংগ্রেসের সভাপতি ভূপেন কুমার বোরা বলেছেন, সিএএ সংবিধান বিরোধী এবং অসমের জনগণ ‘সিএএ’ মেনে নেবে না। ভূপেন বোরা  বলেন, সরকার যদি অসমের জনগণের কথা না শোনে, তবে ১৬ টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হবে এবং অসমে সিএএ-এর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন শুরু করবে। 

তৃণমূলের অসমের সভাপতি রিপুন বোরা এবং এজেপি সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেছেন, অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে অসমের পরিস্থিতি দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা, তাই  সরকারের ‘সিএএ’ বাস্তবায়নের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।   
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ/ক্যা তৈরি করেছে। কিন্তু এতদিনেও তার বিধি তৈরি না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই ওই আইন কার্যকর হবে।  বিতর্কিত ওই আইনে ‘মুসলিমদের বাদ’  দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।