অক্টোবর ১৬, ২০২২ ১৮:২৬ Asia/Dhaka
  • শনিবার রাতের আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হলেও পশ্চিমা গণমাধ্যম ওই অগ্নিকাণ্ডকে \'ভয়াবহ\' রূপ দেয়ার চেষ্টা করে
    শনিবার রাতের আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হলেও পশ্চিমা গণমাধ্যম ওই অগ্নিকাণ্ডকে \'ভয়াবহ\' রূপ দেয়ার চেষ্টা করে

ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে চুরি ও আর্থিক অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত অপরাধীরা নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের জের ধরে কারাগারের কাপড় তৈরির কারখানায় আগুন লেগে যায় এবং তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শত শত বন্দি ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পায়।

ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার রাতের ঘটনায় চুরির অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামী অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া, এ ঘটনায় ৬১ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৫১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং মাত্র ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মাত্র চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কিন্তু ইরানের সাম্প্রতিক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ও গুজব রটনাকারী পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এভিন কারাগারের এই ঘটনাকে তাদের গুজব ছড়ানোর জন্য মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।  তারা দাবি করে, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নৈরাজ্যের সঙ্গে এভিন কারাগারের ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে। এসব গণমাধ্যম কোনো তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই দাবি করে, কারাগারের গতরাতের ঘটনায় প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি যা সরকারি সূত্র গোপন রেখেছে।

এভিন কারাগারের মূল ফটক

এর আগে মাহসা আমিনির দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে ব্যবহার করে সাম্প্রতিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হলেও এরপর যে সারা ইরানে লাখ লাখ নারী রাস্তায় নেমে হিজাবের পক্ষে স্লোগান দিয়েছেন সে খবর এসব বিদ্বেষী গণমাধ্যম প্রচার করেনি।  

ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের সময় বেশ কয়েকজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ও দাগী আসামী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পালানোর পথ বন্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করার কারণে এবং সেগুলো তাদের জানা না থাকার কারণে তারা ধরা পড়ে যায়।

বিচার বিভাগ আরো জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতের পর থেকে এভিন কারাগারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং আজ (রোববার) সকাল থেকে বন্দিদেরকে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে যাতে সবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়।

এদিকে, তেহরানের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আলী সালেহি বলেছেন, ইরানের কোনো কোনো শহরে সম্প্রতি যে দাঙ্গা ছড়ানো হয়েছে তার সঙ্গে এভিন কারাগারের শনিবার রাতের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। গতরাতের ঘটনা ঘটেছিল চুরি ও আর্থিক অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত অপরাধীদের সেলে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক দাঙ্গায় জড়িত থাকার দায়ে আটক ব্যক্তিদের কিছুটা দূরে অন্য সেলে রাখা হয়েছিল যেখানে কোনো সমস্যা হয়নি। #

পার্সটুডে/এমএমআই/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

ট্যাগ