জানুয়ারি ১২, ২০২৪ ১৬:৩১ Asia/Dhaka
  • নাসের কানয়ানি
    নাসের কানয়ানি

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়েমেনে ইঙ্গো-মার্কিন সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নাসের কানয়ানি তাদের হামলাকে স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ, ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করেন।

আমেরিকা এবং ব্রিটেন আজ (শুক্রবার) ভোররাতে ইয়েমেনের উত্তর এবং পশ্চিমের আনসারুল্লাহর অন্তত ১২টি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনের প্রতিরোধ ফ্রন্টের ঘোষণা অনুযায়ী সানআ, আল-হুদাইদা, সা'দা এবং জুমার শহরে ওই হামলা হয়েছে।

নাসের কানয়ানি আরও বলেছেন: ফিলিস্তিনি জাতি বিশেষ করে গাজা উপত্যকার অবরুদ্ধ ও নিপীড়িত জনগণের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ব্রিটেনের পূর্ণ সমর্থনে ইহুদিবাদী ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধ চলাকালে ইয়েমেনে ওই সামরিক হামলা চালানো হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন: এই হামলা এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোন ফল বয়ে আনবে না। ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যায় মদদ অব্যাহত রেখে আমেরিকা এবং ব্রিটেন চাচ্ছে বিশ্বদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে। সে কারণেই ইয়েমেনে এই হামলা চালিয়েছে তারা।

ওই নির্বিচার হামলার পুনরাবৃত্তি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কানয়ানি। সে কারণে তিনি বিশ্ব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুদ্ধ বিস্তার বন্ধে যেন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখে।

এরইমধ্যে রাশিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি ইয়েমেনে ইঙ্গো-মার্কিন হামলা বিষয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানিয়েছেন।

ইয়েমেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে: রিয়াদ উদ্বেগের সঙ্গে ওই সামরিক অভিযানের প্রতি নজর রাখছে। একইসঙ্গে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাসহ উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের হামাস ইয়েমেনে ইঙ্গো-মার্কিন বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে এই হামলা থেকে প্রমাণ হয় গাজায় ইসরাইলি জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে আমেরিকার পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল।#

পার্সটুডে/এনএম/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ