অক্টোবর ১৮, ২০১৮ ১৮:৪৫ Asia/Dhaka

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের এক সমাবেশে সারা দেশের হাজার হাজার বিজ্ঞানী ও গবেষকদের তৎপরতাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইরানের অবস্থান সম্পর্কে মিথ্যা ও নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরা বর্তমানে শত্রুদের প্রধান লক্ষ্য এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছেন, শত্রুদের প্রচারণার বিপরীতে আল্লাহর রহমতে জ্ঞান-গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অনেক উঁচুতে অবস্থান করছি। তিনি দক্ষ মানবসম্পদকে বিরাট সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, "অন্যান্য বস্তুগত সম্পদের মতো মানবসম্পদও হাতিয়ে নেয়া সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর টার্গেট যাতে করে এ সম্পদ দ্বারা তারা লাভবান হতে পারে। এমনকি তারা জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপরও একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।"

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর একক আধিপত্য বিস্তার এবং এসবকে অন্য দেশের ওপর প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর প্রধান লক্ষ্য। বিশ্ব অঙ্গন থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন ও কোণঠাসা করার জন্য আমেরিকা বহু বছর ধরে ইরানের ওপর প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এখনো জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণা ক্ষেত্রে ইরানের অগ্রগতি থামিয়ে রাখার জন্য আমেরিকা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যেমনটি বলেছেন, গুটি কয়েক দেশের হাতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বন্দীদশাকে ভেঙে দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা ভূমিকা রাখতে পারে।

কিছুদিন আগেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আগামী ৫০ বছরে জ্ঞান-বিজ্ঞান উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইরানকে মডেল হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এমনভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে যাতে আগামী ২০৬৫ সাল নাগাদ প্রযুক্তি ও আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা পাঁচটি দেশের কাতারে ইরান জায়গা করে নিতে পারে। 

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, শত্রুর চাপিয়ে দেয়া সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা করে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নতি সাধন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। কিন্তু তারপরও ইরানের দক্ষ জনশক্তি এবং তরুণ বিজ্ঞানীরা শত্রুর সকল সীমাবদ্ধতা ভেঙে চুরমার করে দিয়ে অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা 'স্কোপাস'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আবিষ্কারে অগ্রগতির ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান বিশ্বে ১৬তম।

এ ব্যাপারে বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন 'সায়েন্স'র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিচার্ড স্টোন বলেছেন, "ইরানের জ্ঞান-গবেষণা ও আবিষ্কারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় রয়েছে।" আমি জোর দিয়ে বলতে চাই কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ইরান আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বহুদূর এগিয়ে গেছে এবং বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।

যাইহোক, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এক বছর আগেও এক ভাষণে বলেছিলেন, "স্বল্প উন্নতিতে খুশী হলে চলবে না কারণ এখনো আমাদেরকে বহুদূর যেতে হবে।"#     

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৮

 

ট্যাগ