জুলাই ০২, ২০২৪ ০৯:৫০ Asia/Dhaka
  • এল অ্যালের বিমানকে জ্বালানি তেল দেননি বিমানবন্দর কর্মীরা
    এল অ্যালের বিমানকে জ্বালানি তেল দেননি বিমানবন্দর কর্মীরা

পার্সটুডে- অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের প্রতিবাদে একটি ইসরাইলি বিমানকে জ্বালানি তেল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তুর্কি শ্রমিকরা।

ইসরাইলি বিমান পরিবহণ সংস্থা এল অ্যাল (EL AL) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংস্থাটির একটি যাত্রীবাহী বিমান পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ’ থেকে তেলআবিবে ফিরে আসার সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুরস্কের একটি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। ত্রুটি সারানোর পর বিমানটি জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে চাইলে এটিকে জানানো হয় তাকে তেল দেয়া যাবে না। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, ইসরাইলি বিমানটি তুরস্কের আন্তালিয়া বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে এবং এক পর্যায়ে জ্বালানি তেল নেয়ার আবেদন জানায়। কিন্তু বিমানবন্দরের শ্রমিকরা ইসরাইলি বিমানটিকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানান।

বিমান পরিবহণ সংস্থা এল অ্যাল জানিয়েছে, তুর্কি শ্রমিকদের এই অস্বীকৃতির কারণে বিমানটি জ্বালানি তেল না নিয়েই আকাশ উড়তে বাধ্য হয় এবং জ্বালানী গ্রহণ করার জন্য গ্রিসে অবতরণ করে। সেখান থেকে তেল নিয়ে বিমানটি আবার তেলআবিবের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলতে থাকায় মুসলিম দেশগুলোতে তেল আবিবের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। মুসলিম বিশ্বের সাধারণ মানুষ তাদের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষপাতী।

ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। #

পার্সটুডে/এমএমআই/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন

 

 

ট্যাগ