জুন ১৪, ২০২০ ০৭:০২ Asia/Dhaka
  • গুতেরেসের (ডানে) সঙ্গে জারিফ (ফাইল ছবি)
    গুতেরেসের (ডানে) সঙ্গে জারিফ (ফাইল ছবি)

সৌদি আরবের দু’টি তেল স্থাপনায় হামলার কাজে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ‘ইরানি ছিল’ বলে জাতিসংঘ যে অভিযোগ করেছে সে সম্পর্কে এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন খোদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি বলেছেন, দুঃখজনকভাবে জাতিসংঘের সচিবালয় আমেরিকার হুমকির কাছে নতি স্বীকার করেছে।

ইয়েমেনের ওপর গত পাঁচ বছর ধরে চলা আগ্রাসনের জবাবে গত বছর ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা সৌদি আরবের দু’টি তেল শোধনাগারে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার পরপরই সৌদি আরব ও আমেরিকা পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে দাবি করে, ওই হামলার পাশাপাশি তার আগের কয়েকটি হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানে তৈরি এবং ইরানই এগুলো হুথি যোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সে সময় জাতিসংঘ কোনো মন্তব্য না করলেও এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে।

গত শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো এক প্রতিবেদনে দাবি করেছ্নে, সৌদি তেল স্থাপনা ও দেশটির আবহা বিমানবন্দর এবং তার আগের অন্তত দু’টি হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের উৎস ইরান।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস

গুতেরেসের ওই দাবির বিরুদ্ধে শুক্রবারই জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ শনিবার ইনস্টাগ্রামে এক লাইভ সাক্ষাৎকারে বলেন: এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনকভাবে জাতিসংঘের সচিবালয় মার্কিন হুমকিতে নত হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে; এখন অতীতের দিকে না তাকিয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোর উচিত ভবিষ্যত নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলো যদি একথা উপলব্ধি করত যে, মার্কিন সেনারা তাদেরকে রক্ষা করবে না বরং তাদের পকেট খালি করতেই আমেরিকা এ অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে; তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা অর্জন সম্ভব হতো। #
পার্সটুডে/এমএমআই/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ