শ্রোতাদের মতামত
ইরান-সৌদি মৈত্রী সম্পর্ক দীর্ঘ ও চিরস্থায়ী হোক; দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান হোক।
সালাম ও শুভেচ্ছা রইল আপনাদের সকলের জন্যে। আশা ও প্রার্থনা করি আপনারা সকলে ভালো ও সুস্থ আছেন।
রেডিও তেহরানের অনলাইন সংস্করণ পার্সটুডে ওয়েবসাইট থেকে একটি খবর পড়ে বেশ ভালো লাগল। খবরটি হলো- ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটা একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করি। সম্প্রতি রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট রায়িসি এ শুভেচ্ছা জানালেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক এ অঞ্চলের শান্তি আর নিরাপত্তার জন্যে হুমকি বলে মনে করি। সেখানে এ ধরনের মৈত্রী সম্পর্ক নিঃসন্দেহে গুরুত্ব বহন করবে!
উল্লেখ্য যে, বর্তমান সৌদি রাজা সালমানের পিতা আব্দুলআজিজ আলে সৌদি ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে সৌদি আরবে ২৩ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রখ্যাত সৌদি শিয়া আলেম শেখ নিমর বাকির আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালে তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ। দীর্ঘ বিরতির পর গত মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতায় নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয় ইরান ও সৌদি আরব। বেইজিং-এ এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর দু’দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে পরস্পরের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।
ইরান-সৌদি মৈত্রী সম্পর্ক দীর্ঘ ও চিরস্থায়ী হোক; দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান হোক। আশা করি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি গুলোর নাগপাশ থেকে বেরিয়ে সৌদি আরব স্বাধীন ও সার্বভৌম্য রাষ্ট্র হিসেবে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান-এর সাথে কাধে কাঁধ মিলিয়ে মজলুমের স্বার্থে, ইসলামী উম্মাহর ঐক্য গড়ে তোলায় সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে বলে মনে করি।
শুভেচ্ছান্তে,
এস এম নাজিম উদ্দিন,
ইন্টারন্যশনাল ডি এক্স রেডিও শ্রোতা ক্লাব,
বারুইপাড়া, মুর্শিদাবাদ
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।