'ডিএক্সার-শ্রোতাদের মহামিলনের আয়োজন করে দিয়েছে রেডিও তেহরান'
প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। সোমবার রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের শ্রোতাদের সুখের দিন, আনন্দের দিন, আড্ডার দিন। কেননা প্রতি সোমবারে রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ হতে প্রচারিত হয় শ্রোতাদের চিঠিপত্রের অনুষ্ঠান প্রিয়জন।
সারা সপ্তাহ অপেক্ষার পর সোমবারে প্রিয়জনের সাথে মিলিত হতে পেরে শ্রোতাদের আহ্লাদের আর সীমা থাকে না। এর প্রতিফলন ঘটে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ প্রিয়জনে। শ্রেতারা সোমবার সকাল থেকেই মতামত দিতে থাকে এ গ্রুপে। অনুষ্ঠান চলাকালীন নানা বিষয়ে কথা হয় তাদের মধ্যে। সেই মধুর আড্ডা চলতে থাকে গভীর রাত অবধি। অর্থাৎ রেডিও অনুষ্ঠান প্রিয়জন’র পাশাপাশি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ প্রিয়জনও শ্রোতা বন্ধুদের কাছে খুবই প্রিয়। যে কথা চিঠিতে লেখা যায় না, কিন্তু বলতে মন চায়, সেসব কথা অসংকোচে প্রকাশ করা হয় এ ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে। রেডিও ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- উভয় মাধ্যমেই রেডিও তেহরান শ্রোতাদেরকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।
অন্যভাবে বলা যায় যে, রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ বাংলাদেশ ও ভারতসহ দুনিয়ার সব হারানো ডিএক্সার ও বেতার শ্রোতাদেরকে একত্রিত করে মহামিলনের আয়োজন করে দিয়েছে। রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আমরা আনন্দও পেয়ে থাকি। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের আড্ডা আমাদের বাড়তি পাওনা। কোনদিন এ আড্ডায় থাকতে না পারলে মনটা খারাপ হয়ে যয়। আবার কোন কারণে মন খারাপ থাকলেও আড্ডায় যোগ দেয়ার পর মনটা ভালো হয়ে যায়।
ম্যাসেঞ্জার গ্রুপটাকে মনে হয়, নদীতে বয়ে চলা এক নৌকা। আমরা কতিপয় শ্রোতারা এর যাত্রী। ভেসে চলেছি যেন অজানা কোন উদ্দেশ্যে। এ নৌকার যাত্রীরা একেকজন একেক অঞ্চলের, তবে সবাই একই নৌকায় যাত্রা করায় সবার মধ্যে গড়ে উঠেছে চমৎকার সৌহার্দ্য।
ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ প্রিয়জন নামের এ নৌকার যাত্রীরা নিজেদের সব সুখ-দুঃখ পরস্পরের সাথে শেয়ার করেন অবলীলায়। ভালো লাগা, মন্দ লাগা, হাসি, আনন্দ, বেদনার মাঝে এগিয়ে চলে প্রিয়জন নামক নৌকা। মাঝে মাঝে নৌকার মাঝি নামক রেডিও তেহরানের কঠোর সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেন সবাই। মাঝি যে নৌকা ঠিকভাবে চালাচ্ছে না। শ্রোতা মানে যাত্রীদের জন্য কি করতে হবে, কোন অনুষ্ঠান ভালো হল, কোনটা খারাপ হল, শ্রবণমান কেমন, ওয়েবে সমস্যা কী, ফেসবুক লাইভ ঠিকমত শোনা যাচ্ছে কিনা- এসব বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলে অবলীলায়। রেডিও তেহরান কর্তৃপক্ষও এসব অভিযোগ মন দিয়ে শুনেন, সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হন। তাই ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ প্রিয়জন শ্রোতাদের শুধু মিলন মেলা নয়, অনুষ্ঠান মান উন্নয়নের অনস্বীকার্য প্লাটফরমও বটে।
'ধান ভানতে শিবের গীত' গেয়ে ফেললাম মনে হয়। বসেছিলাম আজকের (০৭/১২/২০২০, সোমবার) প্রিয়জন সম্পর্কে মতামত লিখতে। অথচ কথা বললাম প্রিয়জন ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ সম্পর্কে। এখন সংক্ষেপে হলেও মূল প্রসঙ্গে বলতে চাই। আজ রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে যেসব অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ছিল বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, প্রিয়জন ও কথাবার্তা। দারুণ উপভোগ্য হয়েছে প্রতিটি অনুষ্ঠান। তবে সব অনুষ্ঠানকে ছাড়িয়ে গেছে প্রিয়জন।
আজকের প্রিয়জনে ১০ জন শ্রেতার চিঠি ও মতামত পড়ে শোনানো হয়। আর আজকে যাদের চিঠি ও মতামত স্থান পেয়েছে, তারা হলেন- শাওন হোসাইন, প্রদীপ বসাক, সাইফ আহমেদ উৎস, হারুনুর রশিদ, শরিফা আক্তার পান্না, এস এম নাজিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মোঃ শাহাদত হোসেন ও মোঃ জুয়েল আহমেদ। প্রত্যেক শ্রোতা বন্ধুই গুরুত্বপূর্ণ সব কথা বলেছেন। তাদের মতামত ও সমালোচনা খুবই ভালো লেগেছে। এছাড়াও ৪ জন শ্রোতার চিঠি এবং ৭ জন শ্রোতার রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানোর প্রাপ্তিস্বীকারও করা হয়।
পরিশেষে, প্রতি সোমবারে শ্রোতাদের এমন জমকালো মিলনমেলা আয়োজন করার জন্য রেডিও তেহরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ধন্যবাদান্তে,
মোঃ শাহাদত হোসেন
সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ
বাংলাদেশ।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।