এপ্রিল ২৩, ২০২৩ ১৯:২৪ Asia/Dhaka

পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পর মুসলমানদের প্রথম কিবলা তথা ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে আবারও আগ্রাসি তাণ্ডব শুরু করেছে ইহুদিবাদী দখলদাররা।

গতকাল শনিবার ঈদুল ফিতরের  দ্বিতীয় দিনের দুপুর বেলায় ইসরাইলি দখলদাররা আল-আকসা মসজিদের বাবুর রাহমা নামক প্রবেশ-তোরণে হামলা চালিয়ে এই তোরণ উপড়ে ফেলেছে! ফলে পরিস্থিতি আবারও উত্তেজনাময় হয়ে উঠেছে।

এর আগে পবিত্র রমজান মাসে মসজিদুল আকসায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি হানাদার ও দখলদাররা নৃশংস হামলা চালালে এর জবাবে ইসরাইলের ওপর দক্ষিণ লেবানন, সিরিয়ার গোলান ও ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ইসরাইলে শত শত রকেট হামলা চালানো হয়। ফলে পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ দিনে আল-আকসা মসজিদে ইহুদিবাদীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বাধ্য হয় নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য ওই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছিল কট্টর ফিলিস্তিনি-বিদ্বেষী উগ্র ইহুদিবাদী  স্বরাষ্ট্র তথা পেটোয়া-মন্ত্রী বেনগুইয়ির এবং রমজানের শেষ দিনেও আল-আকসা মসজিদে হামলা চালাতে অবৈধ ইহুদি বসতির অধিবাসীদের অনুমতি দেয়া হয়েছিল বলে ঘোষণা দেয়া হয়। 

এটা স্পষ্ট রমজান মাস শেষ হওয়ায় অধিকৃত ফিলিস্তিনে এখন আবারও সংঘাতময় পরিস্থিতি ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চায় সেই একই দখলদার ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী চক্র। গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোসহ সিরিয়া ও লেবাননের প্রতিরোধ গোষ্ঠীও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে থাকায় ইসরাইল আল-আকসা মসজিদের ওপর হামলা ও এর অবমাননার পদক্ষেপ তথা আল-আকসার ইহুদিকরণের তৎপরতা সাময়িকভাবে স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল মাত্র।

বাবুর রাহমা এলাকায় ইসরাইলি হামলায় এই পবিত্র স্থানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় হামাস এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে স্পষ্ট হল যে ইহুদিবাদীরা আলকুদস শহরে ধর্মীয় যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিচ্ছে। কিন্তু আল-আকসার ইসলামী, আরব ও ফিলিস্তিনি পরিচয় ধরে রাখা হবে বলে দলটি দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা উল্লেখ করেছে। 

ইসলামী জিহাদও বাবুর রাহমাকে আল-আকসা মসজিদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, আল-আকসার পবিত্রতার ওপর যে কোনো আঘাত গোটা অঞ্চলের জন্য বড় ধরনের পরিণতি বয়ে আনবে।

এদিকে ফিলিস্তিনিরা রমজান মাসের পরও নামাজ ও এতেকাফে অংশ নিয়ে আল-আকসা মসজিদে তাদের উপস্থিতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে এই পবিত্র স্থানকে যে ইহুদিবাদীদের কোনো আগ্রাসন ও ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা যায়। একজন ফিলিস্তিনি নেতা আল-আকসার ইহুদিকরণের ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় সেখানে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের স্থায়ী উপস্থিতিকে ফরজ বলে ঘোষণা করেছেন।

রমজান মাসে চল্লিশ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রমজান মাসে এই পবিত্র স্থানে উপস্থিত থেকেছে ইসরাইলি দখলদারদের নানা বাধা সত্ত্বেও।তাই এটা স্পষ্ট ফিলিস্তিনিরা আল-আকসা মসজিদসহ পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহর তথা কুদস শরিফের মর্যাদা রক্ষার জন্য সংগ্রামের সম্মুখ ফ্রন্টে রয়েছেন এবং ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ ফ্রন্টের সেনারা দূর থেকে তাদের রক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন।    #

পার্সটুডে/এমএএইচ/২৩  

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

ট্যাগ