জ্বলছে ফ্রান্স: তৃতীয় দিনেও প্রবল বিক্ষোভ, ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন
(last modified Fri, 30 Jun 2023 10:08:16 GMT )
জুন ৩০, ২০২৩ ১৬:০৮ Asia/Dhaka
  • জ্বলছে ফ্রান্স: তৃতীয় দিনেও প্রবল বিক্ষোভ, ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ৩০ জুন শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • মা–বাবার কলহ, ক্ষোভ, অভিমানের বলি হচ্ছে শিশুরা- প্রথম আলো 
  • সরকারের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে: রিজভী-যুগান্তর/প্রথম আলো
  • সরকারের সঙ্গে জামায়াতের যোগাযোগ সুস্পষ্ট : ফখরুল-কালের কণ্ঠ
  • বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী সৌদি যুবরাজ-ইত্তেফাক
  • যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন ভিসা নীতি গ্রহণ করছে সরকার?-মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ইস্তফার পথে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী?-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল আসন্ন! গুরুত্ব পাবেন ভোটমুখী চার রাজ্যের নেতারা-সংবাদ প্রতিদিন
  • পুলিশের বাধা উড়িয়েই সন্ত্রস্তদের কাছে রাহুল- গণশক্তি

 এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

রাজনীতির খবর-প্রথম আলোর শিরোনাম- সরকারের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত চলছে, মন্তব্য বিএনপির রিজভীর। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, চারদিক থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধকার ধেয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সরকারের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত চলছে। শেখ হাসিনার হুংকার আর কাজে আসবে না।  এবারে আর যেনতেন নির্বাচন করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।  রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় আশ্রয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ভেঙেচুরে তছনছ করেছে সরকার।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে যে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দী করে রাখা হয়েছে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রতিহিংসামূলক, তা আজ বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার। এবারে আর যেনতেন নির্বাচন করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি এই নেতা মনে করেন, আজকে অবহেলিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত জনগণ গ্রাম থেকে শহরে সব পর্যায়ে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছে। স্বৈর রুদ্রশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়েও জনগণ নিপীড়কদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে। দেশের মানুষ অধিকার ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের দুঃশাসনে বিশ্ববিবেকও জাগ্রত হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব

এদিকে কালের কণ্ঠের খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মানুষের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। তাই বিএনপির সাথে সকল রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু সরকারের সাথে জামায়াতের যোগাযোগ সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। রাজনীতিতে সুস্পষ্ট ও শেষ কথা বলে কিছু নেই।যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মা–বাবার কলহ, ক্ষোভ, অভিমানের বলি হচ্ছে শিশুরা-প্রথম আলো

১৪ বছরের সংসার ছিল এস এম সেলিম (৩৪) ও মাহামুদা হকের (৩৩)। সংসার আলো করে এসেছিল দুই সন্তান। সম্প্রতি স্ত্রী মাহামুদা ও বড় মেয়ে সানজা মারওয়াকে (১০) দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে সেলিমের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় এরই মধ্যে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রথম আলোয় প্রকাশিত সন্তানসহ হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত ২৩টি খবর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর কলহ থেকে নৃশংসভাবে প্রাণ যাচ্ছে সন্তানের। কখনো রাগ-ক্ষোভ-অভিমান, একে অপরকে ‘শিক্ষা দেওয়া’ বা ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার প্রবণতা, কখনো পরকীয়ার জের কিংবা অপরাধমূলক মনোভাব থেকে মা-বাবা নিজ সন্তানকে হত্যা করেছেন।

কিছু মানুষ বিচ্ছিন্নতাবোধে আক্রান্ত। এই বোধের কারণে সন্তান বা পরিবারের কারও প্রতি তাঁদের মায়া থাকে না। শিশুরাই এই ব্যক্তিদের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয়। মানসিক নৈরাজ্য থেকেও স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ঘায়েল করতে সন্তানকে আঘাত করেন।

ওই সব হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে তিনটি ঘটনা ছিল পরকীয়ার কারণে স্ত্রীসহ সন্তান হত্যা। সন্তানসহ আত্মহত্যা বলে সন্দেহ করা হয়েছে পাঁচটি ক্ষেত্রে। আর্থিক সংকট থেকে হতাশা ও কলহ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার ঘটনা তিনটি। স্ত্রীকে সন্দেহ করে সন্তানসহ হত্যার ঘটনা দুটি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যার ঘটনা একটি। আর অন্য কলহ থেকে সন্তানসহ হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৯টি। পারিবারিক বিরোধে শিশু হত্যা হয় বেশি। ২০২২ সালে শিশু হত্যা বেড়েছে ৩ গুণ।

জ্বলছে ফ্রান্স, জরুরি বৈঠকের ডাক ম্যাক্রোর-ইত্ফোক

ফ্রান্স জ্বলছে

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী আলজেরিয়-বংশোদ্ভূত তরুণ নিহত হবার পর উত্তাল দেশটি। টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে বিক্ষোভ। এতে এখন পর্যন্ত ৪২১ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হয়েছে ১৭০ জন পুলিশ। বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো আরেকটি জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এর আগে গতকাল বিক্ষোভ সামলাতে ফ্রান্সজুড়ে নতুন করে ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বাহিনী মার্সেই, লিয়ন, পাউ, টুলুস এবং লিলে শহরে আগুন এবং বিক্ষোভকারীরা আতশবাজি নিক্ষেপসহ নতুন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু প্যারিস নয় গত মঙ্গলবারের পর বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিছু রাস্তা। আক্রান্ত হয় পুলিশ স্টেশনও। এছাড়া লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে। বিক্ষোভ হটাতে দেশটির দাঙ্গা পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
এর আগে ঘটনার বিবরণে বলা হয়, প্যারিসের পশ্চিমদিকে নান্তেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই তরুণ মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছে। এরপর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তারপর গাড়িটি থেমে যায়। বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলিবর্ষণকারী অফিসারটিকে হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত কিশোরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া এর আগে ম্যাক্রো এ ঘটনাকে ক্ষমার অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল আসন্ন! গুরুত্ব পাবেন ভোটমুখী চার রাজ্যের নেতারা-সংবাদ প্রতিদিন

চলতি বছরেই একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। বছর পার করলেই আবার লোকসভা নির্বাচন। এই প্রতিটি নির্বাচনেই জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। সেই কারণেই সংগঠন মজবুত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই বৈঠকের পরই বিজেপির সংগঠন, এমনকী মন্ত্রিসভাতেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।

রাজস্থানে জাঠ ও গুজ্জর নেতাদের তুলনায় নতুন ব্রাহ্মণ মুখকেই দলের নেতৃত্বে এবং মন্ত্রিসভায় তুলে আনতে পারে বিজেপি। ছত্তিশগঢ়ের ক্ষেত্রে যেমন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংয়ের কাজে খুশি নয় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। নতুন মুখ হিসেবে তাই ওপি চৌধুরীকে তুলে আনার চেষ্টা করা হতে পারে। যে রাজ্যগুলির সংগঠনে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশেই সবথেকে বেশি পরিবর্তন আনা হতে পারে। এরমধ্যে যে রাজ্যগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল আশাপ্রদ হয়নি, সেখানকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজ্য সংগঠনে নিয়ে আসা হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হলে, ভোটমুখী রাজ্যের নেতাদের ঠাঁই হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।

ইস্তফার পথে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী?-আনন্দবাজার পত্রিকা

হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁর উপরেই আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও বিরোধী দলগুলি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের ইস্তফার দাবি জানিয়ে আসছে গত কয়েক দিন ধরেই। এই আবহেই পদত্যাগের জল্পনা উস্কে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই। শুক্রবার দুপুরের দিকে মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বীরেন। রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন, নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিতে পারেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্ত এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে, এমন জল্পনাও ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশের বাধা উড়িয়েই সন্ত্রস্তদের কাছে রাহুল-গণশক্তি

রাহুল গান্ধী (ফাইল ফটো)

আশঙ্কাই সত্যি হলো। দিনভর চাপানউতোর, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফরে বাধা তৈরি করল রাজ্যের বীরেন সিং সরকারের পুলিশ। কংগ্রেস নেতাকে স্বাগত জানাতে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ। 

তবে দিনভর উত্তেজনার মধ্যেই হেলিকপ্টার করে চুরাচাঁদপুর জেলায় পৌঁছে ত্রাণশিবিরের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। রাতে ইম্ফলে ফিরেও আরেকটি ত্রাণশিবিরে যান তিনি। 

সেখানে গিয়ে বলেন,‘‘সরকারের সব বাধা সত্ত্বেও আপনাদের রাহুল গান্ধী মণিপুরে হিংসায় বিপন্নদের কাছে পৌঁছেছেন।’’ অপেক্ষমাণ মানুষের কাঁধে হাত রেখে তাঁদের আশ্বস্ত করতেও দেখা যায় কংগ্রেস নেতাকে। সন্ত্রস্ত মানুষকে বলেন,‘‘আপনাদের পাশে আমি সবসময় আছি। একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। নিভে যাবে ঘৃণার আগুন, ফুটবে ভালোবাসার বাগান।’’  

দু’দিনের মণিপুর সফরে বৃহস্পতিবার সকালে ইম্ফল এসে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। সেখান থেকে সড়কপথে বিষ্ণুপুর জেলা হয়ে চুরাচাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর কনভয়। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার যাওয়ার পরে বিষ্ণুপুরে ঢুকতে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৩০

ট্যাগ