‘প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে’
২৪ সেনার মৃত্যু গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পরাজয়ের প্রমাণ: জিহাদ আন্দোলন
গাজা উপত্যকার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরের দু’টি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একসঙ্গে ২১ ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করার ভূয়সী প্রশংসা করেছে ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। এটি বলেছে, মাত্র একদিনে এত বিশাল সংখ্যক ইসরাইলি সেনার নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে, তেল আবিব গাজা উপত্যকায় তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
হামাসের সিনিয়র পলিটব্যুরো সদস্য ইহসান আতাইয়্যা ফিলিস্তিন আল-ইয়ায়োম চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। সোমবার গাজা উপত্যকায় একটি হামলার ঘটনায় ২১ জনসহ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে মোট ২৪ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়।
আতাইয়্যা বলেন, “ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে নিজের সেনাদের ব্যাপকভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় দখলদার সরকার হতচকিত হয়ে পড়েছে।”
৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলি সেনারা গাজায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে সবগুলো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন নিজেদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইসরাইলি সেনাদের প্রতিরোধ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। ইসলামি জিহাদের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, যুদ্ধের দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে কাজ করছে হামাস ও ইসলামি জিহাদসহ সবগুলো প্রতিরোধ সংগঠন।
তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা যুদ্ধ জয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ইসলামি জিহাদ এক্ষেত্রে হামাসসহ সকল প্রতিরোধ সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
গত সোমবার গাজার খান ইউনুস শহরে দুটি ভবনে হামাস যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটালে ভবন দুটি ধ্বংস হয় এবং ২১ হানাদার সেনা নিহত হয়। এই ২১ সেনা নিহত হওয়ার পর গাজায় স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে ইসরাইলের স্বীকারোক্তি মতে নিহত দখলদার সেনার সংখ্যা ২১৯ এ পৌঁছায়। সোমবার নিহত ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে কয়েকজন সার্জেন্ট মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছে।
এদিকে, ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মুখপাত্র মুসাব আল-বেরিম বলেছেন, আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে নিহতের সংখ্যা অর্ধেক করে বলেছে দখলদার সেনারা। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।