"ওয়াশিংটন মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে"
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i35114-ওয়াশিংটন_মুসলিম_উম্মাহকে_ধ্বংসের_ষড়যন্ত্র_করছে
ইয়েমেনের জনপ্রিয় বিপ্লবী আন্দোলন আনসারুল্লাহ'র মহাসচিব আব্দুল মালেক বদরউদ্দিন আল হুথি বলেছেন, ইয়েমেনে আগ্রাসনের মূল পরিকল্পনাকারী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং সৌদি আরব হচ্ছে তাদের প্রধান হাতিয়ার। তিনি আজ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আগ্রাসনের বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে আমেরিকা, ইসরাইল ও আরো কয়েকটি দেশ মুসলিম বিশ্বকে হামলার টার্গেটে পরিণত করেছে উল্লেখ করে বলেছেন, ওয়াশিংটন মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ২৬, ২০১৭ ১৮:৫১ Asia/Dhaka

ইয়েমেনের জনপ্রিয় বিপ্লবী আন্দোলন আনসারুল্লাহ'র মহাসচিব আব্দুল মালেক বদরউদ্দিন আল হুথি বলেছেন, ইয়েমেনে আগ্রাসনের মূল পরিকল্পনাকারী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং সৌদি আরব হচ্ছে তাদের প্রধান হাতিয়ার। তিনি আজ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আগ্রাসনের বার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বক্তব্যে আমেরিকা, ইসরাইল ও আরো কয়েকটি দেশ মুসলিম বিশ্বকে হামলার টার্গেটে পরিণত করেছে উল্লেখ করে বলেছেন, ওয়াশিংটন মুসলিম উম্মাহকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

আনসারুল্লাহ'র মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংসের জন্য আমেরিকার নানা ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সঙ্গে দখলদার ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ইয়েমেনে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপস্থিতি দখলদার ইসরাইলের স্বার্থকে রক্ষা করবে।

আমেরিকা ও ইসরাইলের সমর্থন ও সাহায্য নিয়ে সৌদি আরব গত ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনে ব্যাপক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইয়েমেনের পদত্যাগকারী ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ফের ক্ষমতায় বসানোর অজুহাতে সেদেশে আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরব। এর ফলে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এ যুদ্ধ কেবল সৌদি আরবের সঙ্গে ইয়েমেনের সেনা ও জনগণের যুদ্ধ নয় বরং ইয়েমেনের জনগণকে আমেরিকা ও ইসরাইলের মত শক্তিধরদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। যেমনটি ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও বিপ্লব পরবর্তী যুদ্ধের সময়ও হয়েছিল।

ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্প্রতি সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ায় তাদের অনুগত সশস্ত্র গ্রুপকে ব্যবহার করে লোহিত সাগরে বাব-আল মান্দাব প্রণালীর কাছেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ দখল করে করেছে। অন্যদিকে মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাইলি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাজতান্ত্রিক আরব সরকারগুলো এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ বাব-আল মান্দাব প্রণালীকে ইসরাইলের কর্তৃত্বে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।

বাব-আল মান্দাব প্রণালী ইয়েমেন, ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। ওই প্রণালীর মধ্য দিয়ে ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করা যায় এবং ভূকৌশলগত দিক দিয়ে এটি ইয়েমেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া, ইসরাইলের নিরাপত্তা, ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোর সুরক্ষা এবং সৌদি আরবের তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতের জন্য বাব-আল মান্দাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ইয়েমেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য বৃহৎ শক্তিগুলো ও ইসরাইল সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সৌদি আরব এ জন্য চিন্তিত যে, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা যদি পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে নেয় তাহলে বাব-আল মান্দাব প্রণালীর ওপরও তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে সৌদি, ইসরাইল ও মার্কিন স্বার্থ। এ কারণেই আমেরিকা, ব্রিটেন, ইসরাইল ও সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে এবং তাদের প্রধান লক্ষ্য বাব-আল মান্দাব প্রণালীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। তারা চায় না হরমুজ প্রণালীর মতো বাব-আল মান্দাব প্রণালীও তাদের হাত ছাড়া হোক। এ কারণে আনসারুল্লাহ মহাসচিব তার বক্তব্যে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে শত্রুদের ষড়যন্ত্রের নানা দিক তুলে ধরেছেন। #

পার্সটুডে/মো. রেজওয়ান হোসেন/২৬