জার্মানি জেলেনস্কিকে বিশ্বাস করে না: দার স্পিগেল
(last modified Mon, 06 Jun 2022 11:21:19 GMT )
জুন ০৬, ২০২২ ১৭:২১ Asia/Dhaka
  • সংবাদ সম্মেলনে ওলাফ শোলজ (বামে) জেলেনস্কি (ফাইল ফটো)
    সংবাদ সম্মেলনে ওলাফ শোলজ (বামে) জেলেনস্কি (ফাইল ফটো)

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে মোকাবেলার জন্য ইউক্রেনে ট্যাঙ্ক পাঠানোর ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে জার্মানি। দেশটি মূলত ঐতিহাসিক কারণে এই দ্বিধায় পড়েছে এবং চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সরকার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেস্কির ওপর সেইভাবে আস্থাশীলও নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জার্মান সরকারের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্যা স্পিগেল বলছে, ওলাফ সরকার এই আশঙ্কা করছে যে, জার্মানির ট্যাঙ্ক পেয়ে জেলেনস্কি যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছু জয় পায় তাহলে তিনি হয়তো রাশিয়ার ভেতরে অভিযান চালানোর ব্যাপারে উৎসাহিত হয়ে উঠবেন যা হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই ধরনের বিব্রতকর ঘটনা এড়াতে চায় ওলাফ শোলজের সরকার।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলার সময় ১৯৪১ সালে জার্মানির নাৎসি বাহিনী সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরে অভিযান চালায়।

বিমানবিধ্বংসী জেপার্ড ট্যাঙ্ক

এই সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে যে, অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নের জেলেনস্কি সরকারের ওপরে জার্মানির বর্তমান সরকারের তেমন কোনো আস্থা নেই; এই কারণে জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে এখনো পর্যন্ত অনেকটা উদাসীন।

প্রকৃতপক্ষে শুধু জার্মানি নয় বরং আমেরিকা, ব্রিটেন  ও ফ্রান্স এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে কোনো ট্যাঙ্ক দেয় নি। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র পোল্যান্ড এবং চেক প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দিয়ে সাহায্য করেছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনের ওপরে অনানুষ্ঠানিকভাবে এক রকমের ট্যাংক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখা হয়েছে।

দার স্পিগেল আরো বলছেন, ওলাফ শোলজের সরকার এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে যে সমস্ত অস্ত্র দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে তা মূলত এক রকমের চাপের মুখে কিন্তু সেই সমস্ত অস্ত্র সরবরাহ করার ব্যাপারে শোলজের সরকার বিলম্ব করছে।

ইউক্রেনকে ত্রিশটি বিমানবিধ্বংসী জেপার্ড ট্যাঙ্ক, ৭টি পাঞ্জের হবিৎজ ২০০০ সেলফ প্রপেলড হাউয়িৎজার এবং চারটি মার্স-টু মাল্টিপল রকেট সিস্টেম সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু এ পর্যন্ত এসমস্ত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের কিছুই কিয়েভকে সরবরাহ করা হয়নি।

গত সপ্তাহে চ্যান্সেলর শোলজ ইউক্রেনকে সর্বাধুনিক আইআরআইএসটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সরবরাহের ঘোষণা দিলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে- তাদের হাতে এই মুহূর্তে এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। জার্মান গণমাধ্যমগুলো বলছে, নভেম্বরের দিকে এই অস্ত্র হাতে পেতে পারে বলে আশা করতে পারে ইউক্রেন। জার্মান গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, তার আগেই আগস্ট মাসের দিকে দোনবাস এলাকাকে রাশিয়ার সেনারা পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৬

ট্যাগ