মার্চ ২৭, ২০২৩ ১৭:০৯ Asia/Dhaka
  • 'ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে বিদেশী এজেন্টরা জড়িত'

মানবাধিকার বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ কাউন্সিল (এইচসিএইচআর) একটি নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যাতে ইরানে সাম্প্রতিক দাঙ্গার সময় ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পরিস্থিতি এবং সেই সঙ্গে কিছু পশ্চিমা দেশ এবং তাদের অনুচররা নৃশংস দাঙ্গা ও বিশৃঙ্খলা সংগঠিত করার ক্ষেত্রে যে স্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছিল তা তুলে ধরেছে।

আজ (সোমবার) ইরানের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক প্রেস টিভির মাধ্যমে পাওয়া ৮৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি এই সত্যটি স্বীকার করে শুরু করেছে যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সর্বদা পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে এবং অন্যদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অ-হস্তক্ষেপমূলক কৌশল অনুসরণ করেছে।  একইভাবে অন্যদেশ তেহরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক ইরান কখনোও সেই অনুমতি দেয় না। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে বলদর্পী শক্তিগুলো নিজেদের অধিকার বলে বিবেচনা করে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই এসব দেশ বিদ্বেষী ও আক্রমানত্মক মনোভাব নিয়ে বিভিন্ন  ধ্বংসাত্মক পদ্ধতির মাধ্যমে ইরানে অস্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দিতে চায় এবং ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর শত্রুরা তেহরানের  বিরুদ্ধে যেসব কৌশল ব্যবহার করেছে তার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ অন্যতম।

ইরানের মানবাধিকারের সর্বোচ্চ কাউন্সিল বলেছে, গত চার দশকে ১৭ হাজারেরও বেশি ইরানীকে হত্যা করা হয়েছে।  শত্রুরা ইরানের মধ্যে অস্থিতিশীলতা এবং বিশৃ্ঙ্খলা সৃষ্টি করতে এমন কোনো কৌশল নেই যা তারা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে নি। কিন্তু ইরানের স্বাধীনতা তারা হরণ করতে পারে নি এবং বলদর্পী শক্তিগুলোর অশুভ ইচ্ছার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইরানি জনগণের প্রতিরোধকামীতায় কোনো চিড় ধরাতে পারে নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৭  সেপ্টেম্বর ইরানী তরুণী মাহসা আমিনির মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে শত্রুরা ইরান জুড়ে বিশৃঙ্খলা এবং দাঙ্গা ছড়িয়ে দিতে একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।#

পার্সটুডে/ এমবিএ/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ