আমেরিকার ৩ শহরে ‘গণহত্যার প্রতীক’ কলম্বাসের ভাস্কর্য ভাংচুর
আমেরিকার মিনেসোটা, বোস্টন ও ভার্জিনিয়ায় ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের তিনটি ভাস্কর্যের মূলোৎপাটন করেছেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মিনেসোটা রাজ্য কংগ্রেস ভবনের সামনে একদল আন্দোলনকারী ১০ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের একটি ভাস্কর্য দড়ি দিয়ে টেনে এর গ্রানাইটের ভিত্তি থেকে ফেলে দেন। আলোকচিত্র সাংবাদিক ও টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসনরা এ ঘটনার ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এরপর ভিতের কাছে ভেঙে যাওয়া ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেন সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা।
![](https://media.parstoday.ir/image/4bvaa0b92997401o6dj_800C450.jpg)
মঙ্গলবার রাতে ভার্জিনিয়া রাজ্যের রিচমন্ডের বির্ড পার্কে অবস্থিত কলম্বাসের ভাস্কর্যটিকে আন্দোলনকারীরা আমেরিকার একটি পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপর পার্শ্ববর্তী একটি লেকে ফেলে দেয়া হয়।
ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের বোস্টনে অবস্থিত কলম্বাসের একটি ভাস্কর্যের মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমেরিকার শতাব্দী প্রাচীন দাসপ্রথার জন্য কলম্বাস দায়ী। তাই তার ভাস্কর্য তারা রাস্তায় দেখতে চান না। সমালোচকদের অনেকেই তাকে আমেরিকায় 'ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের হোতা' এবং স্থানীয় আদিবাসীদের ওপর চালানো 'গণহত্যার প্রতীক' হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
![](https://media.parstoday.ir/image/4bva2b783881bb1o6db_800C450.jpg)
আমেরিকায় ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার’ আন্দোলনের পথ ধরে ঔপনিবেশিক আমলের নিপীড়কদের প্রত্যাখ্যান করার এই ঢেউ লেগেছে ইউরোপেও। গত রোববার ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে সপ্তদশ শতকের দাস ব্যবসায়ীর এডওয়ার্ড কোলস্টোনের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে সাগরে ফেলে দেয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এরপর মঙ্গলবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারা থেকে ব্রিটিশ দাস ব্যবসায়ী রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য সরানো হয়।
২৫ মে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস শহরে প্রকাশ্যে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনে ৪৬ বছর বয়সী কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকাজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ চলছে। পুলিশি নির্যাতন, বর্ণবাদ ও অসাম্যের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। #
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।