জুন ১৩, ২০২০ ১৭:১১ Asia/Dhaka
  • মিশেল ব্যাচলেট
    মিশেল ব্যাচলেট

মার্কিন সমাজে সবসময়ই কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে ব্যাপক সহিংসতা ও বর্ণ-বৈষম্য চলে আসছে। কৃষ্ণাঙ্গরা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম প্রতিবাদ চালালেও বিশেষ করে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে এলেও কোনো কাজ হয় নি।

আমেরিকার বিচার বিভাগের সহায়তায় পুলিশের পক্ষ থেকে তারা যথারীতি বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার হয়েই চলেছে। এ বিষয়টি জাতিসংঘকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে গত ২৫ মে'তে আমেরিকার মিনিসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে পাশবিক কায়দায় হত্যা করার পর জাতিসংঘের টনক নড়ে। জাতিসংঘের 'বর্ণবাদ অপসারণ কমিটি' গতকাল মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা যেন জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনে কাঠামোগত বর্ণবাদ ও বর্ণবৈষম্য দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

এই কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমেরিকার সরকার এবং স্থানীয় ও সরকারি কর্মকর্তারা যেন তাদের বিচার বিভাগ ও পুলিশ বিভাগে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক পদক্ষেপগুলো অপসারণ করে। বিশেষ করে যারা বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছে তাদের অধিকার বাস্তবায়নে যেন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি এমন একটি নির্বাহী আদেশ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে "বিরাজমান স্ট্যান্ডার্ড" কাজে লাগাতে উত্সাহিত করবে। এর আগেও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচলেট আমেরিকায় বর্ণবাদকে "কাঠামোগত" বলে অভিহিত করে এর নিন্দা করেছিলেন।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যা

ব্যাচলেট বলেন: আমেরিকায় নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যা বন্ধ করা উচিত এবং তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া উচিত। কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যেই কাঠামোগত বর্ণবাদ মার্কিন সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে সেই বর্ণবাদ বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ না করে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো শুনতে হবে। জাতিসংঘের এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের দাবিদার আমেরিকার সমাজে বিদ্যমান প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে জাতিগত, শিক্ষামূলক, পেশাগত এবং সামাজিক বৈষম্যের পাশাপাশি কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাগুলি আমেরিকার সমাজে এখন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার বিগত তিন শতাব্দীর ইতিহাসে কৃষ্ণাঙ্গরা সবসময়ই দাসত্ব, ব্যাপক নির্যাতন, হত্যা এবং সহিংসতার টার্গেট ছিল। প্রশাসনিক মদদে ঘাড়ে হাঁটু চেপে ফ্লয়েডকে হত্যা করার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো সেই বৈষম্য এখনও সমানভাবে বিদ্যমান রয়েছে। বৈষম্য নিরসনে জাতিসংঘের আহ্বানে কতোটা সাড়া দেয় আমেরিকা সেটাই এখন দেখার বিষয়।#

পার্সটুডে/এনএম/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ