কথাবার্তা: রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১ অক্টোবর শনিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ‘জিয়াউর রহমান দেশে হত্যা-গুম সংস্কৃতির রাজনীতির সূচনা করেছিলেন’-প্রধানমন্ত্রী-ডেইলি স্টার
- বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে -নয়া দিগন্ত
- ইউক্রেন-রাশিয়ার-সংঘাত, উত্তেজনা আরো বাড়বে-কালের কণ্ঠমতামত-
- নির্বাচন নিয়ে পূর্বাভাস-প্রথম আলো
- ১৩ বছরের সাজায় ৩৪ বছর আত্মগোপনে-মানবজমিন
- বড় ঝুঁকির মুখে শিল্প খাত- যুগান্তর
- রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা -যুক্তরাষ্ট্রের-বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে এসএসসি-র বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তি-ভুল স্বীকার করে কারণ জানালেন চেয়ারম্যান-আনন্দবাজার পত্রিকা
- দেশে 5G পরিষেবার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-আজকাল
- অতীতে সফল হয়েছে বহু রাজনৈতিক পদযাত্রা, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় ভাগ্য খুলবে রাহুলের?-সংবাদ প্রতিদিন
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
নয়া দিগন্ত,প্রথম আলো, যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে।তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করেছি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ গতকাল ওয়াশিংটন ডিসির একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতা-কর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
প্রথম আলোর মতামত কলামে নির্বাচন নিয়ে পূর্বাভাস শিরোনামে
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ লিখেছেন, অতীতের ঘটনাগুলোর ধারা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস দেওয়া হয়। হরহামেশাই আমরা এটা করে থাকি। তবে পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ বা অনিশ্চয়তা থাকলে নিই কৌশলের আশ্রয়ও। তাতে শ্যাম-কুল দুই-ই বজায় থাকে। আমাদের দেশে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে এটা অহরহ দেখা যায়। যেমন আগামীকাল বৃষ্টির সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ। বৃষ্টি হলে পূর্বাভাস সঠিক, না হলেও সঠিক।
ইংরেজিতে একটা কথা আছে—মর্নিং শোজ দ্য ডে। এই বাক্যের নানা মাজেজা। আবহাওয়া ছাড়াও মানুষের খাসলতের ব্যাপারেও এটি বলা যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে এটা খাটে না। সকালে রোদ্দুর দেখে ছাতা ছাড়া বের হয়ে বিকেলে কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা আমাদের কমবেশি আছে। আবার কৈশোরে বখে যাওয়া কাউকে হয়তো অনেক বছর পরে বড় বিজ্ঞানী হিসেবে দেখা যায়।
তবে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া বড় বিপজ্জনক। একটা সময় ছিল, সহজেই বলে দেওয়া যেত কী হবে। এখন আর বলা যাচ্ছে না। মানুষের মন বোঝা বড় কঠিন। নিকট অতীতে এমনটি দেখা গেছে অনেকবার। উদাহরণস্বরূপ ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের কথা বলা যায়।
বেশির ভাগ পর্যবেক্ষক, বিশ্লেষক, গণমাধ্যমের ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ জিতবে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও দিন শেষে জয়ের আনন্দ নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেছেন। পরদিন সবার চোখ ছানাবড়া। ওই সময় আওয়ামী লীগ ছিল অনেক সংগঠিত। বিএনপি ছিল অগোছালো, দল হিসেবে সক্ষমতা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু সব পূর্বাভাস ভুল প্রমাণ করে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়। এই ফলাফল বিএনপিরও অনেকের ধারণার বাইরে ছিল।
ভোটের এ রকম ফলাফল আওয়ামী লীগ আশা করেনি। আবিষ্কার হলো সূক্ষ্ম কারচুপির তত্ত্ব। ভোট ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করায় ড. কামাল হোসেন দলে অচ্ছুত হয়ে গেলেন। আসল কাজটি করে দিয়েছিলেন ভোটাররা। আওয়ামী লীগ তো বটেই, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরাও ভোটারের মন বুঝতে পারেননি। এটা ছিল জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতি আর বুদ্ধিজীবিতার উদাহরণ। ভোটাররা সুযোগ পেলে গণেশ উল্টে দেন।
রাজনীতিবিদেরা মানুষকে দেখেন নিছক ভোটার হিসেবে। ভোটের আগে তাঁদের কাছে ধরনা দিতে হয়। হাতজোড় করে ভোট ভিক্ষা করতে হয়। দেশটাকে দুধ আর মধুর সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। কিন্তু যিনি ভোট দেবেন, ভোট তাঁর কাছে এক মূল্যবান অস্ত্র। আগে সুবচন শুনে অনেকবার ভোট দিয়েছেন। কিন্তু প্রতারিত হয়েছেন বারবার।
দুটি কথা বেশ প্রচলিত। প্রথমত, রাজনীতিবিদেরা যা ভাবেন, তা করেন না। দ্বিতীয়ত, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তার মানে, ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে, তার পূর্বাভাস দেওয়া এ মুহূর্তে খুব মুশকিল। কার মনে কী আছে, কে জানে। পুরোনো কৌশল তেমন কাজে দেবে না। নতুন কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে। সে জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতো করে বলতে হয়, নির্বাচন যথাসময়ে হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ। নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ।
এখন তাঁরা আগের চেয়ে অনেক বেশি আকলমন্দ। নেতার কথায় কলাগাছকে ভোট দেওয়ার দিন আর নেই। আগে অনেক ভোটার তাঁদের প্রার্থীকে চিনতেন না। এখন চেনেন। তিনি দেখেন, এই লোক নির্বাচনের আগে কী বলেছিলেন, আর পরে কী কী করেছেন।
দলীয় রাজনীতিতে মানুষ দল করবেন, এটা স্বাভাবিক। দলে ভালো লোক, মন্দ লোক দুই-ই আছেন। মানুষ যাঁকে ভালো লোক মনে করেন, দলের কাছে তিনি ততটা ভালো না-ও হতে পারেন। দল দেখে, প্রার্থী জিততে পারবে কি না। একটা সময় ছিল, যখন এলাকার সবচেয়ে সম্মানিত লোকটি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। সে যুগ আর নেই।
দল এখন তাঁকেই মনোনয়ন দেয়, যাঁর জেতার ক্ষমতা আছে। রাজনীতিবিদেরা এর একটি প্রতিশব্দ বের করেছেন—উইনেবল ক্যান্ডিডেট। জিততে হলে এখন ভোটারের মর্জির ওপর ভরসা করে থাকলে চলে না। দরকার টেঁকের জোর আর মাস্তান।
প্রায় সবখানে দেখা যায়, এলাকার ষন্ডা-গুন্ডাগুলো কোনো না কোনো নেতার চারপাশে ঘুরছে, তাঁর নামে ‘জিন্দাবাদ’ দিচ্ছে। তাদের আর কোনো পেশা নেই। পেশা থাকলে দিনের পর দিন তারা নেতার পেছনে ঘুরঘুর করতে পারত না।
কাজের লোকের এত সময় কোথায়। তাহলে তাদের চলে কী করে? কী খায়, কী পরে? উত্তর খুব সোজা। তাদের দেখভাল করেন নেতা। তারা এলাকায় নেতার প্রশ্রয়ে চাঁদাবাজি করে। নির্বাচনের সময় টাকা পায়, মোটরবাইক পায়। নেতা নির্বাচনে জিতলে এলাকায় নানা কাজের ঠিকাদারি পায়।
মানুষ ভাবে, একটা দল একটা এলাকা থেকে বেছে বেছে শুধু মন্দ লোককে নির্বাচনে প্রার্থী করে কেন। জবাব খুব সহজ। তাঁরা উইনেবল। একবার এক ছোট নেতা তাঁর বড় নেতা সম্পর্কে আমাকে বলেছিলেন—তাঁর সামনে যদি ১০ জন দাঁড়িয়ে থাকেন, তিনি তাঁদের মধ্য থেকে সবচেয়ে খারাপ দুজনকে বেছে নেবেন। কথাটা আমার মনে ধরেছিল। একসময় নির্বাচন ছিল উৎসবের উপলক্ষ।
এখন এটা আতঙ্ক। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসে, মাঠ তত গরম হয়। গরম এমনি এমনি হয় না। রাজনীতিবিদেরা নানা কথাবার্তা বলে মাঠ গরম রাখেন। মাঠ ছেড়ে দেব না, মাঠ দখলে রাখব। এ রকম হম্বিতম্বি, আস্ফালন চলতে থাকে প্রতিদিন। রোজ রোজ এসব কথা বলতে হয়। না বললে নিজেদের দৃশ্যমান রাখা যায় না।
নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। ঠিক সময়ে হলে বাকি আছে কমবেশি ১৫ মাস। আবহাওয়া ইতিমধ্যে গরম হতে শুরু করেছে। মারামারি, লাঠালাঠি চলছে। লাশ পড়া শুরু হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে, সবে তো শুরু। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, মারামারি কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে বলা মুশকিল।
মাঠে প্রকৃতপক্ষে দল এখন দুটো, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে আওয়ামী লীগকে ওয়াকওভার দিয়েছিল। ২০১৮ সালে বিএনপি ও সমমনাদের দেওয়ানে খাসে ডেকে নিয়ে চিজ কেক খাইয়ে গুড হিউমারে রেখে একটা ভোজবাজি করে আওয়ামী লীগ কিস্তিমাত করেছিল। এবার কী হবে?
বিএনপি বারবার বলছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীন তারা নির্বাচনে যাবে না। সম্প্রতি তাদের ওপর আওয়ামী লীগের আচরণ দেখে মনে হয়, তারা বিএনপির এ কথায় আস্থা রাখতে পারছে না। অর্থাৎ বিএনপি এবার নির্বাচনে যাবে বলেই আওয়ামী লীগ ধরে নিয়েছে।
সে জন্য তাদের মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। একদিকে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে বিএনপিকে রাস্তা থেকে হটিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের লোকেরা চড়াও হচ্ছে বিএনপির ওপর এবং কখনো কখনো তা পুলিশের সামনেই। বিএনপিও বেশ মরিয়া। তারা পণ করেছে, মাঠে থাকবেই। এটা আওয়ামী লীগের জন্য ভাবনার বিষয়।
ইভিএম নিয়ে বেশ কথা–চালাচালি হচ্ছে। আমার মনে হয়, এটা আসল সমস্যা নয়। বিএনপির জন্য তো নয়ই; যেখানে তারা বলছে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন তারা নির্বাচন করবে না, সেখানে ইভিএমের বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। বিএনপির আসল চিন্তা, নির্বাচনের সময় কেমন সরকার থাকবে। এটা আওয়ামী লীগের জন্যও খুব ভাবনার বিষয়। বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচনে গেলে তাদের কপালে দুঃখ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করে, তারা ক্ষমতায় না থাকা অবস্থায় নির্বাচন হলে তাদের কপাল পুড়বে।
দুটি কথা বেশ প্রচলিত। প্রথমত, রাজনীতিবিদেরা যা ভাবেন, তা করেন না। দ্বিতীয়ত, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তার মানে, ভবিষ্যতে কী হতে যাচ্ছে, তার পূর্বাভাস দেওয়া এ মুহূর্তে খুব মুশকিল। কার মনে কী আছে, কে জানে। পুরোনো কৌশল তেমন কাজে দেবে না। নতুন কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে। সে জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতো করে বলতে হয়, নির্বাচন যথাসময়ে হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ। নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সম্ভাবনা শতকরা ৫০ ভাগ।
ভালো নেই প্রবীণরা! মানবজমিনের এ প্রতিবেদনে তিন শ্রেণির প্রবীণ-তরুণ প্রবীণ-৬০ থেকে ৭০ বছর,মধ্যম প্রবীণ ৭০ থেকে ৮০ বছর এবং এবং অতি প্রবীণ ৮০ উর্ধ্ব-তাদের বেশ কয়েকজনের জীবনের করুণ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।শুকুর মিয়া। পরিবার নিয়ে উত্তরায় থাকেন। বয়স ৬৭ বছর। ছেলে মাদকাসক্ত। নিজের নামে বাবার ব্যবসা এবং ফ্ল্যাট লিখিয়ে নিয়ে এখন স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বসবাস করেন। সম্প্রতি শুকুর মিয়া একা বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেখার কেউ নেই।ছেলে বাবার খোঁজ নেয় না। একবার মারাত্মক অসুস্থ হলে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।
মান্নান হাওয়ালাদার একজন সরকারি চাকরিজীবী। বয়স ৭০ বছর। চার ছেলেমেয়ে নিয়ে একান্নবর্তী সংসার। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, প্রতিবেশীদের নিয়ে বেশির ভাগ সময় মেতে থাকতেন। বিপত্তি বাধে চাকরি থেকে অবসরে আসার পরে। পেনশনের টাকা ভাগবাটোয়ারা এবং জমিজমাকে কেন্দ্র করে ছেলেমেয়েরা একসময় তার চিরশত্রুতে পরিণত হয়। ভেঙে যায় তার একান্নবর্তী সংসার।জীবদ্দশায় সন্তানদের নামে জমি লিখিয়ে নিতে তারা রীতিমতো বাবার গায়ে হাত তুলতো। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শামীম মিয়া, প্রবীণ রাজনীতিবিদ মো. আমির হোসেন। ৭৫ বছর বয়সি মর্জিনা বিবির জীবনের করুণ ও অসহায় অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
বৃদ্ধ অবস্থায় পিতা-মাতাকে সন্তানের কাছ থেকে সুরক্ষা দেবার জন্য ২০১৩ সালে ‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন’ প্রণয়ন করে সরকার। এই আইনে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কোনো সন্তান তার পিতা-মাতাকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বৃদ্ধ নিবাস বা অন্য কোথাও আলাদাভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না। ধর্মেও স্পষ্ট করে বলা আছে শেষ বয়সে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের কতোটা দায়িত্ববান হতে হবে।এখন আমি সন্তান হয়ে যদি নিজের মা-বাবার খোঁজ না নেই পরবর্তীতে জীবনে সেটা আমার ওপরই বর্তাবে।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে গণভোটের পরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় সব দৈনিকে নানা খবর পরিবেশিত হয়েছে। প্রথম আলোসহ কযেকটি দৈনিকের খবর-ইউক্রেনের চার এলাকা অন্তর্ভুক্তি
জাতিসংঘে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দেয়নি ভারত ও চীন।দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন তাঁর দেশ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেপরোয়া হুমকির পরোয়া করে না। ইউক্রেনের চার অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন বাইডেন। কালের কণ্ঠের খবর-রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের মহাপরিচালক আন্দ্রে কর্চুনফ বলেছেন, সংঘাত, উত্তেজনা আরো বাড়বে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, উক্রেনের চারটি অঞ্চল রুশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সময় শুক্রবার এই নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ব্যবস্থা নিচ্ছে, রাশিয়াকে যার কড়া মূল্য দিতে হবে।
এক বিবৃতিতে বাইডেন জানিয়েছেন, ‘জালিয়াতের মাধ্যমে ইউক্রেনের স্বাধীনভূমি রাশিয়ার আত্তীকরণের বিষয়েও নিন্দা জানাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়া এখানে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, জাতিসংঘের সনদও লঙ্ঘন করেছে মস্কো এবং তারা সবখানেই শান্তিপূর্ণ দেশগুলির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সীমান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব, যাতে তারা আবারও নিজেদের ভূমি সামরিক ও কূটনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’
বড় ঝুঁকির মুখে শিল্প খাত-দৈনিক যুগান্তরের অর্থনীতি বিষয়ক এ খবরে লেখা হয়েছে, বৈদেশিক বাণিজ্যের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের ব্যবধান বেড়েই চলেছে। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে ব্যবধান ছিল ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। ছয় বছরে এ খাতে ব্যবধান দ্বিগুণেরও বেশি।
রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হারে বেড়ে যাওয়ায় দেশের শিল্প খাতে আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে। দীর্ঘদিনেও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি শিল্প খাত। ফলে এখন এসে খাতটি বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে গেলেই শিল্প খাত বড় সংকটে পড়ে। যেমনটি পড়েছে বর্তমান বৈশ্বিক কারণে।
এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
অতীতে সফল হয়েছে বহু রাজনৈতিক পদযাত্রা, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় ভাগ্য খুলবে রাহুলের?-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ১৯৩০ সালে ভারতে প্রথম পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।সেই থেকেই ভারতের রাজনীতিতে পদযাত্রা ঢুকে পড়ে। এবং রাজনৈতিক পদযাত্রার ইতিহাস ঘাঁটলে সাফল্যের খতিয়ানই উঠে আসে।বর্তমান সময়েও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও যে পদযাত্রা কর্মসূচিকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন তার টাটকা উদাহরণ কংগ্রেসের ভারত জোড়ো কর্মসূচি।কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ পদযাত্রা অবশ্য দেশের বারোটি রাজ্য, দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হবে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে।
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ বিভ্রাট নিয়ে ভুল স্বীকার করে নিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁর দাবি ‘তড়িঘড়ি’ আদালতের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে এই ভুল হয়েছে। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য দেড় হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডেকে পাঠিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই জারি করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।৩০ সেপ্টেম্বর জারি করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু দেখা যায়, বিজ্ঞপ্তিতে লেখা আছে, চাকরিপ্রার্থীরা পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য ‘ইনটিমেশন লেটার’ ডাউনলোড করতে পারবেন ১৪.০৯.২০২২ থেকে। অর্থাৎ যা পেরিয়ে গেছে। হবে ১৪ অক্টোবর।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১