মাত্র ৪ ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ। কি হচ্ছে, কি হলো টাইটান সাবমারসিবলের যাত্রীদের!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২২ জুন বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, বেঁচে আছেন তো অভিযাত্রীরা? -মানবজমিন
- ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম-যুগান্তর
- সাংবাদিক রব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১ দূতাবাস–হাইকমিশনের উদ্বেগ -প্রথম আলো
- সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন পেছালো ৯৯ বার -ইত্তেফাক
- বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী ইরান : রাষ্ট্রদূত -কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- আর মাত্র ১ ঘন্টা! শেষ হতে চলেছে অক্সিজেন, ডুবোজাহাজ খুঁজতে মরিয়া প্রশাসন-গণশক্তি
- পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য, কমিশনও, শুনানি কবে?-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার’, বিতর্কের মধ্যে মুখ খুললেন রাজ্যপাল -সংবাদ প্রতিদিন
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবদুল জলিল খন্দকার। তিনি ভোট পেয়েছেন ছয় হাজার ৯২৭ ভোট। বাকি ৫ প্রার্থী মিলে পেয়েছেন চার হাজার ৩০৩ ভোট। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে।
২. আমেরিকা সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের তিন কংগ্রেসওম্যান মোদির ভাষণ বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন। কী বলবেন আপনি?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন - প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম-মানবজমিন
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানি শেষে এ তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
এর আগে গত রোববার বাছাইয়ে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নির্বাচন কমিশনে সশরীর হাজির হয়ে আপিল করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ নিয়ে শুনানি হয়। এতে প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম। আপিল শুনানিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন তিনি। আগামী রোববার এ নিয়ে আদেশ জারি হবে।
এর আগে গত রোববার বাছাইয়ের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন তালিকায় প্রয়োজনীয় ভোটারদের খোঁজ না পাওয়ায় বাতিল হয়ে যায় হিরো আলমের মনোনয়নপত্র।
সাংবাদিক রব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১ দূতাবাস–হাইকমিশনের উদ্বেগ-প্রথম আলো
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানির (নাদিম) ওপর ১৫ জুনের ভয়াবহ হামলা ও হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকায় ১১টি দূতাবাস ও হাইকমিশনের সংগঠন বাংলাদেশে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি)। আজ বুধবার এমএফসির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা রব্বানির পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, ঘটনার বিবরণ প্রকাশ ও তথ্যের অবাধ প্রবাহকে উৎসাহিত করে সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।প্রতিশোধ বা ক্ষতির ভয় ছাড়াই সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে দায়িত্বশীল সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এমএফসি। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
মতামত বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের রশি টানাটানি, ভারতের অবস্থান কী-প্রথম আলো
ভারত-চীনের দ্বন্দ্ব এখন ভারতের ‘ভেতর বাড়ির উঠান’ বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে সরকারের সমালোচকদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর বিরুদ্ধে মাস কয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীন খোলাখুলিভাবে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় যে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তাঁর ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হবে—যুক্তরাষ্ট্রের এমন হুমকির প্রেক্ষাপটেও চীনের এই সমর্থন এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সাম্প্রতিক’ বক্তব্য এবং হাসিনা সরকারকে ফেলে দেওয়ার মার্কিন সক্ষমতা নিয়ে গত ১৪ জুন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অফিসিয়াল সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসের একজন সাংবাদিক চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনের মন্তব্য জানতে চেয়েছিলেন।
এ সময় ওয়াং ওয়েনবিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) বহুদিন ধরেই বাংলাদেশ ও অন্য অনেক উন্নয়নশীল দেশের ঘরোয়া বিষয়ে নাক গলিয়ে থাকে।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই ধরনের অন্যান্য দেশকে আধিপত্যবাদ ও পেশিশক্তির রাজনীতির চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করতে চীন প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিয়ে যাব।’
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন ও ভারতের প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধে বাংলাদেশ নতুন লড়াই-ক্ষেত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। অবশ্য চীনের সাম্প্রতিক এই বাড়াবাড়ি রকমের বাগাড়ম্বরের তাৎপর্য এখনো অস্পষ্ট। কোনো দেশই অপর দেশকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার ব্যাপারে আশ্বাস দিতে পারে না, যদি না সেই দেশের ভূখণ্ডে আশ্বাসদাতা দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাজ করার ব্যবস্থা না থাকে।
মনে রাখা দরকার, বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি নয়। আবার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুবিধার্থে যুক্তরাষ্ট্র যে চেষ্টা করছে সেটিও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য কোনো হুমকি নয়। সুতরাং চীন যা বলছে, মোটা দাগে তার অর্থ হলো, ২০২৪ সালের নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন, চীন শেখ হাসিনার পাশে থাকবে।
আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করে এসেছে, ততদিন ভারত বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে তুলনামূলকভাবে নীরব ছিল। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ ভারতকে নিরাপত্তা ইস্যুতে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের লোকদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করে দিল্লিকে সহায়তা করে এসেছে।
এ ছাড়া হাসিনা সরকার ভারতকে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি রাজ্য—ত্রিপুরা, মেঘালয় ও আসামে সড়ক, রেল, নদী ও সমুদ্রপথে ট্রানজিট রুটের অনুমতি দিয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা—এই দুটি সমুদ্রবন্দর এবং চারটি নদীবন্দর কলকাতা ও মুর্শিদাবাদকে আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের সঙ্গে যুক্ত করবে। এর বাইরে আন্তসীমান্ত ট্রাক চলাচল এখন বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর (ত্রিপুরা), আখাউড়া হয়ে আগরতলা (ত্রিপুরা), শেওলা হয়ে সুতারকান্দি (আসাম) এবং তামাবিল হয়ে ডাউকি (মেঘালয়) পর্যন্ত চালাচল করতে পারে।
বাংলাদেশ এসব জায়গায় ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে ট্রানজিট ফি বাবদ অর্থ আদায় করবে এবং রপ্তানি বাড়াতে ভারতীয় ঋণের আওতায় নির্মিত পরিবহন অবকাঠামো ব্যবহার করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে তাঁর সরকারের বিদ্যমান সম্পর্ককে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর ‘সুবর্ণ অধ্যায়’ বলে যে অভিধা দিয়েছেন, তাতে মোটেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
যদিও বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের সাধারণ অবস্থান হলো, বাংলাদেশে নির্বাচিত যে সরকারই আসুক, সে সরকারের সঙ্গে ভারত সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যেনতেনপ্রকারেণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও গত তিনটি নির্বাচনে মোদি সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সরকারের প্রতি দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিয়ে গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কথিত ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছে।
প্রশ্ন হলো, এখন শেখ হাসিনাকে চীনের জোরালোভাবে সমর্থন দেওয়া দেখে ভারতের কি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু আছে? বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমিন বলেছেন, আগামী আগস্টে ব্রিকস সম্মেলনে ঢাকা অতিথি হিসেবে যোগ দেবে। ওই সময় বাংলাদেশকে আরও আটটি দেশের সঙ্গে ব্রিকসে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে কথা রয়েছে। এই ব্রিকসের প্রধান মোক্ষ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ডলারের আধিপত্যমুক্ত একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা বিনির্মাণ।
উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাকি ভারতের যোগাযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া চিকেন’স নেকখ্যাত শিলিগুড়ি করিডর সুরক্ষিত রাখতে পারছে। কিন্তু তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, আখাউড়া-সিলেট রেললাইন এবং সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিনিয়োগের সুবাদে এই অঞ্চলে চীনের যে অবাধ আনাগোনা নিশ্চিত করবে, তা ভারতের নিজ ভূখণ্ডের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে দেশটির নিজস্ব যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ব্রিকসে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা যে কেউ আন্দাজ করতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডরের একটি অংশ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ভারতের বাংলাদেশে অনেক বেশি এবং প্রত্যক্ষ কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত তার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সেই রাজ্যগুলোতে সরকার চলাচল সুগম করেছে।
এছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাকি ভারতের যোগাযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া চিকেন’স নেকখ্যাত শিলিগুড়ি করিডর সুরক্ষিত রাখতে পারছে। কিন্তু তিস্তা নদী সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, আখাউড়া-সিলেট রেললাইন এবং সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিনিয়োগের সুবাদে এই অঞ্চলে চীনের যে অবাধ আনাগোনা নিশ্চিত করবে, তা ভারতের নিজ ভূখণ্ডের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে দেশটির নিজস্ব যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
মণিপুর রাজ্যে যখন বিক্ষোভের আগুন ছড়াচ্ছে, মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত পারাপার থাকা চীনের ইউনান প্রদেশের রুইলি এলাকায় যখন নাগা বিদ্রোহীরা অভয়াশ্রম গড়ে তুলছে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপের নেতারা যখন মিয়ানমারের সাগাইং বিভাগে লুকিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন, তখন এই অঞ্চলে বিদেশি শক্তিগুলোর ও তাদের প্রতিনিধিদের সম্ভাব্য তৎপরতা ভারতের জন্য বিরাট ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনএস শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটিতে (যেখানে চীনের তৈরি তিনটি সাবমেরিন নোঙর করা হবে) চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির নাবিকদের অনুমিত উপস্থিতিও ভারতকেও উদ্বিগ্ন করবে।
স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে ভারত দাবি করতে পারে, ঢাকাস্থ বন্ধুত্বপূর্ণ শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন দেওয়া ছাড়া তার কোনো বিকল্প নেই।
যা হোক, আগামী সাধারণ নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স হবে ৭৬ বছর। বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের সঙ্গে কীভাবে কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক লেনদেন হবে—সে বিষয়ে ভারতকে এখনই একটি নীতি ঠিক করতে হবে। এছাড়াও ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের উত্তরোত্তর ভারতবিরোধী মেজাজকে বিবেচনায় নিতে হবে এবং ভারত যদি আবারও একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী ফলাফলকে সমর্থন দেয় তাহলে সেই ভারতবিরোধী জন-মেজাজকে ভারতমুখী করে তোলার সম্ভাবনা থাকবে না।
শেখ হাসিনাকে দেওয়া বন্ধুত্বের প্রতিশ্রুতির কারণে ভারত হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে দাঁড়াতে চায় না, কিন্তু একই সঙ্গে ভারত বাংলাদেশে চীনের আধিপত্য বিস্তার মেনে নিতে পারে না। সুতরাং, ভারতকে বাংলাদেশ প্রশ্নে আরও সৃজনশীল কূটনৈতিক নকশা প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু ভারতকে বেকায়দায় ফেলার জন্য চীন যখন তার দাবার ঘুঁটি নতুন করে সাজাচ্ছে, তখনো ভারতের কূটনীতিকে আলস্য ও ঝিমিয়ে পড়া ভাব গ্রাস করছে বলে মনে হচ্ছে।
ভারতের সংবাদপত্র বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ
• ভারত ভূষণ ভারতীয় লেখক ও সাংবাদিক
মোদির সঙ্গে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলতে বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে-প্রথম আলো
ভারতের স্খলিত গণতন্ত্র, মানবাধিকার কিংবা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ও কতটা তুলবে, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আগে সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যতম প্রধান জল্পনার বিষয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এসব প্রসঙ্গের উত্থাপন যে হতে চলেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু তা কতটা প্রকাশ্যে, কতটা গোপনে এবং কীভাবে, হোয়াইট হাউস সে বিষয়টি কিছুটা ঊহ্য রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ভারত ঘুরে গেছেন। গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যখন দেখে কোথাও গণতান্ত্রিক অধিকার, সংবাদপত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে, তখন আমরা নিজেদের অভিমত প্রকাশ করি। তবে সেটা আমরা করি এমনভাবে, যা ভাষণ বলে মনে হবে না। আবার এমনও, যাতে মনে না হয়, আমাদের দেশে এসব চ্যালেঞ্জ নেই।’
সুলিভান এ কথাও মনে করিয়ে দেন, ভারতের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি ঠিক করবেন ভারতীয়রাই। যুক্তরাষ্ট্র তা নির্ধারণ করবে না। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি পাঁচবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। কিন্তু পূর্ণ কূটনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সফর এটাই প্রথম। যদিও সে দেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
এই সফরে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ জোরালোভাবে তোলার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। গতকাল মার্কিন কংগ্রেসের ৭৫ ডেমোক্রেটিক সদস্য চিঠি লিখে বাইডেনকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এর আগে একই কথা লেখা হয়েছে সে দেশের প্রভাবশালী ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সম্পাদকীয়তে। সফর শুরুর চার দিন আগে সেই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই উচিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির আমলে গণতান্ত্রিক ভারতের উদ্বেগজনক ক্রমাবনতিতে যুক্তরাষ্ট্র নীরব থাকতে পারে না।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার’, বিতর্কের মধ্যে মুখ খুললেন রাজ্যপাল-সংবাদ প্রতিদিন
নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রাজ্যপালের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনার বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার গ্রহণ না করার কারণ এক লাইনে ব্যাখ্যা করে গেলেন রাজ্যপাল।
রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার গ্রহণ না করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার সংক্ষেপে বলেন,”আমি নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু বাংলার মানুষকে হতাশ করেছেন তিনি।” রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার রাজ্যপাল ফিরিয়ে দেওয়ায় এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত ভোটের পরতে পরতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সেই অনিশ্চয়তার মধ্যেই সি ভি আনন্দ বোস বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট নন।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, ফের কলকাতা হাই কোর্টের স্ক্যানারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন! বিচারপতি অমৃতা সিনহার সোজাসাপ্টা প্রশ্ন, “পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) কি হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার পদে কি তিনি (রাজীব সিনহা) এখনও বহাল আছেন? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!”
আনন্দবাজার পত্রিকা-পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য, কমিশনও, শুনানি কবে?
মাত্র ৪ ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি, শেষ পানীয় জল-খাবার, বিপাকে আটলান্টিকে নিখোঁজ সাবমেরিন-সংবাদ প্রতিদিন
মাত্র কয়েক ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত রয়েছে। প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছে খাবার ও পানীয় জলও। টাইটানিকের (Titanic) ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া ডুবোজাহাজের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক বলেই মত উদ্ধারকারীদের। একাধিক দেশের নৌসেনা, যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে রোবটকেও। উদ্ধারকাজের দ্বিতীয় দিনে আরও বেশি পরিমাণে জাহাজ কাজে লাগানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এখনও সাবমেরিনে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে বলেই উদ্ধারকারীদের অনুমান।গত রবিবার থেকেই টাইটান নামে ওই সাবমেরিনটির (Titan Submarine) কোনও খোঁজ মিলছে না। ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেনের ভাণ্ডার নিয়ে জলের তলায় ডুব দিয়েছিল সাবমেরিনটি। তারপরে টানা তিনদিন ধরে ব্যাপক তল্লাশি সত্ত্বেও এখনও উদ্ধারকারীরা বুঝতেই পারেননি, জলের তলায় ঠিক কোন জায়গায় সাবমেরিন আটকে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেক খানি সময় কেটে গিয়েছে জলের তলায়। ফলে উদ্ধারকারীদের অনুমান, মজুত থাকা অক্সিজেন, খাবার, পানীয় জল- সব কিছুই ফুরিয়ে আসছে সাবমেরিনে।
এহেন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে গতি আনতে বুধবার থেকে আরও বেশি সংখ্যক জাহাজ নামানো হয়েছে। জলের তলায় পাঠানো হয়েছে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন রোবটও। মঙ্গলবারই উদ্ধারকারীরা দাবি করেছিলেন, প্রতি আধঘণ্টা অন্তর নিখোঁজ সাবমেরিন থেকে আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সেই আওয়াজ অনুসরণ করে সাবমেরিনের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। এহেন পরিস্থিতিতে আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদই অক্সিজেনের পরিমাণ একেবারে শেষ হয়ে যাবে।
সাবমেরিনের এই বিপর্যয়ের পরেই প্রশ্ন উঠছে এই অভিযানের আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে। বিপুল অর্থের বিনিময়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওশানগেট নামে একটি সংস্থা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে উত্তর আটলান্টিকের (Atlantic Ocean) প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই বিপজ্জনক থাকে। জলের তলায় ব্যাপক কুয়াশার কারণে প্রায় কিছুই দেখা যায় না। সব জেনেও কেন এই সময়ে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ। কি হচ্ছে, কি হলো ওইসব অভিযাত্রীর! উদ্বেগাকুল বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছেন খবরের দিকে। আহা, যদি এমন খবর শোনা যেতো টাইটান সাবমারসিবলের যাত্রীদের সবাই বেঁচে আছেন! যদি শোনা যেতো নির্দিষ্ট এলাকা থেকে অন্য স্থানে আটলান্টিকের কোথাও ঠিকই ভেসে উঠেছে তাদেরকে বহনকারী যান! কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে শিরদাড়া হিম হয়ে আসার মতো সতর্কতা দিচ্ছেন। বলছেন, তাদেরকে বহনকারী যানের ভিতর এরই মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়ে থাকতে পারেন সবাই অথবা কেউ কেউ। কারণ, ওই যানের ভিতর যে অক্সিজেনের মজুদ ছিল তা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা বা ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। রয়েল নেভি ক্লিয়ারেন্সের সাবেক ডাইভার রে সিনক্লেয়ার মনে করছেন, এরই মধ্যে মারা গিয়ে থাকতে পারেন অভিযাত্রীদের সবাই। তবু সবার প্রত্যাশা, তার এ সতর্কবাণী যেন মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মুখে যে যত যা-ই বলুন, সবার মধ্যেই আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে আটলান্টিকের তলদেশে। তা প্রত্যক্ষ করতে ১৮ই জুন ৫ অভিযাত্রীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে ওশিনগেট এক্সপ্লোরেশন।
কিন্তু এক ঘন্টা কয়েক মিনিট পড়েই এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে ঐতিহাসিক এক উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশান্বিত হওয়ার মতো কোনো খবর মেলেনি। ওদিকে ওই সাবমারসিবলে যে অক্সিজেন আছে, তা ৯৬ ঘন্টা সাপোর্ট দিতে পারে। এরই মধ্যে সেই সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। ফলে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ছেই।
মণিপুর নিয়ে সরব, বাংলার ভোট হিংসা নিয়ে কেন নীরব রাহুল-খাড়গেরা? এবার প্রশ্ন বিজেপির-সংবাদ প্রতিদিন
বাংলার পঞ্চায়েত ভোট হিংসা নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের নীরবতাকে এবার কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি। বস্তুত, বাংলায় কংগ্রেস কর্মীরা আক্রান্ত, এই অভিযোগ তুলে দিনরাত রাজ্য সরকারের মুন্ডপাত করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অথচ রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা এ নিয়ে পুরোপুরি নীরব। এই দ্বিচারিতা কেন? টুইট করে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
বৃহস্পতিবার এক টুইটে অমিত মালব্য দাবি করেন, “বাংলায় আগুন জ্বলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্ত ঝরছে। শাসকদলের গুন্ডারা নির্বিকারে বিরোধী কর্মীদের মারধর করছে। আক্রান্তদের মধ্যে কংগ্রেস কর্মীরাও রয়েছেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত, কংগ্রেসের এক জন নেতাও এ নিয়ে একটা কথাও খরচ করছে না। সোনিয়া গান্ধীরা (Sonia Gandhi) মণিপুর হিংসা নিয়ে কথা বলছে অথচ বাংলা নিয়ে চুপ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে নাকি?” মালব্যর বক্তব্য,”মণিপুরের ঐতিহাসিক সংঘাত নিয়ে সুর চড়ানো আর বাংলার হিংসায় চোখ বন্ধ করে থাকা, এই দ্বিচারিতা সুযোগ সন্ধানী রাজনীতির নিকৃষ্টতম উদাহরণ।”
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, থামছে না হিংসা, মণিপুরে শান্তি ফেরাতে আলোচনা চান শাহ, ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠক।
সংবাদ প্রতিদিন-শুক্রবার পাটনায় বিরোধী শিবিরের মহাগুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তার আগেই ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর ইঙ্গিত মিলল শরদ পওয়ারের এনসিপির অন্দরে। প্রকাশ্যেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে চাইলেন শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিরোধী দলনেতার পদ নয়, তিনি চান সংগঠনের ক্ষমতা।
সদ্যই দলের রাশ ঘুরিয়ে নিজের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এবং ঘনিষ্ঠ প্রফুল্ল প্যাটেলের হাতেই তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার (Sharad Pawar)। এনসিপির কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুলে এবং প্যাটেলকে। সেই সঙ্গে সুপ্রিয়াকে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লোকসভার সমন্বয়ের দায়িত্বও তাঁকেই দেওয়া হয়েছে। প্রফুল্ল প্যাটেলকেও একাধিক রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অজিত পওয়ারকে (Ajit Pawar) কোনও দায়িত্বই দেওয়া হয়নি। শরদের এই ঘোষণার পরই এনসিপিতে অজিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, পওয়ার হয়তো আগামী দিনে বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন।
বামেদের ইস্তাহারেও কড়া সমালোচনার মুখে ইডি আর সিবিআই, মমতার লাইনেই কি চলছে সিপিএম?-আনন্দবাজার পত্রিকা
কড়া সমালোচনা সিবিআই এবং ইডির। সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের ভোটের ইস্তাহারে। বুধবার প্রকাশিত পঞ্চায়েত ভোটে ইস্তাহারের একটি অংশে প্রত্যাশিত ভাবেই আক্রমণ করা হয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে। কিন্তু পাশাপাশিই অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ চরিতার্থ করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাদের বর্ণনা করা হয়েছে ‘দমনপীড়নের হাতিয়ার’ বলে। ঘটনাচক্রে, যা দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল। বলছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক শিবিরের অন্যতম শীর্ষনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২২