জুলাই ২৭, ২০২৩ ১৮:২৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ  ২৭ জুলাই শুক্রবার কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রেজওয়ান হোসেন। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ খবরের বিশ্লেষণে যাবো।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • থমথমে নয়াপল্টন, কঠোর অবস্থানে পুলিশ: মানবজমিন
  • রাজধানীতে ধরপাকড়, বিএনপির ৩৬৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার-দৈনিক প্রথম আলো
  • দুই দলকেই মাঠে সমাবেশের পরামর্শ ডিএমপির অন্যদিকে নয়াপল্টনেই হবে বিএনপির মহাসমাবেশ: বলেছেন রিজভী–যুগান্তর।
  • গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভ: হাইকোর্ট-নয়াদিগন্ত

 

  • ভারতের শিরোনাম:
  • নাবালিকা ছাত্রির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক, ফের খবরের শিরোনামে যোগিরাজ্য -- দৈনিক পুবের কলম
  • বিধানসভায় নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ উঠতেই অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখিয়ে ওয়াকআউট BJP’র - সংবাদ প্রতিদিন  
  • দু’ঘণ্টা আলো বন্ধ করে নন্দীগ্রামে জিতে নিয়েছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন! বিধানসভায় মমতার খোঁচা -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে গুরুত্বপুর্ণ খবরের বিশ্লেষণে যাওয়া যাক।

থমথমে নয়াপল্টন, কঠোর অবস্থানে পুলিশ - শীর্ষক খবরে দৈনিক মানবজমিন লিখেছে, বিএনপির শুক্রবারের মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর নয়াপল্টনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে নয়াপল্টন সড়কে কঠোর অবস্থান নিয়ে তাদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। কাউকেই নয়াপল্টনে জড়ো হতে দিচ্ছে না। নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সরজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১১টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েক শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী। এসময় কঠোর অবস্থানে যায় পুলিশ। নয়াপল্টন সড়কে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে। অলিগলিতেও সাদা পোশাকের পুলিশ অবস্থান নেয়। প্রস্তুত রাখা হয় সাঁজোয়া যান, জলকামান ও প্রিজন ভ্যান। বিএনপির নেতাকর্মীদের নয়াপল্টন ত্যাগ করার জন্য ১০ মিনিটের আলটিমেটাম দেয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

রাজধানীতে ধরপাকড়, বিএনপির ৩৬৬ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার শীর্ষক খবরে দৈনিক প্রথম আলো লিখেছে, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার রাতেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ধরপাকড় চালিয়ে কয়েক শ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে কেবল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি মিডওয়ে হোটেল থেকেই দলটির ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেককে আটক করলেও সে সংখ্যা কত, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুলিশ তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। আজ দুপুরে ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মোট ৪১১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

দুই দলকেই মাঠে সমাবেশের পরামর্শ ডিএমপির অন্যদিকে নয়াপল্টনেই হবে বিএনপির মহাসমাবেশ: বলেছেন রিজভী - শীর্ষক খবরে দৈনিক যুগান্তর লিখেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে। তারা যথাক্রমে বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে ও নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দুই দলকেই মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, আগামী ২৯ জুলাই শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আশুরায় নিরাপত্তা ও ভিভিআইপি মুভমেন্ট থাকায় দুই দলকে মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকায় মহাসমাবেশ ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নয়াপল্টনেই হবে বিএনপির মহাসমাবেশ।

এ সময় সারা দেশের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা ও গ্রেফতার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীদের বিক্ষোভ শীর্ষক খবরে দৈনিক নয়াদিগন্ত লিখেছে, বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্যে ঢাকাসহ বেশব্যাপী গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে সারাদেশ থেকে ঢাকায় মহাসমাবেশে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থান থেকে গণগ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান আইনজীবীরা। দুপুরে দেড়টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে বিক্ষোভ মিছিলে কয়েক শ’ আইনজীবী অংশ নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মুক্তিকামী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করার আহ্বান জানান। তারা প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, জনতা এবং আইনজীবীদের দফা এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

শ্রোতাবন্ধুরা এবারে চলুন কোলকাতার বাংলা দৈনিকগুলোর দিকে নজর দেয়া যাক।

নাবালিকা ছাত্রির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় শিক্ষক, ফের খবরের শিরোনামে যোগিরাজ্য -শীর্ষক খবরে দৈনিক পুবের কলম লিখেছে, খুন, ধর্ষণ, তথাপি অপরাধের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। একের পর এক ঘটনা সেই কথায় প্রমাণ করে দিচ্ছে। এবার নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের চুম্বনের দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে।  ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে বাহারাইচের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত  করেছে জেলার শিক্ষা আধিকারিক।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একজন শিক্ষক ওই স্কুলেরই এক নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে লিপ্ত হচ্ছে।  আর সেই ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেছে অজ্ঞাত পরিচয় একজন। ঘটনাটি এক সপ্তাহ আগে ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই খবর।

বিধানসভায় নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ উঠতেই অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখিয়ে ওয়াকআউট BJP-শীর্ষক খবরে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন নজিরবিহীন ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই কালো পতাকা দেখিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ, ওয়াকআউট। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভা অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে ‘কারচুপি’র প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। নাম না করে বিরোধী দলনেতাকেই নিশানা করেন। আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

দুঘণ্টা আলো বন্ধ করে নন্দীগ্রামে জিতে নিয়েছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন! বিধানসভায় মমতার খোঁচা শীর্ষক খবরে আনন্দবাজার লিখেছে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বৃহস্পতিবার উঠে এল ২০২১ সালের ২ মের কথা। বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনার ওই দিনের কথা তুলে তিনি খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সরাসরি প্রশ্ন তুললেন, ‘‘নন্দীগ্রামে দু’ঘণ্টা আলো বন্ধ করে দিয়ে কী হয়েছিল ভুলে গেলেন?’’ পরে সাংবাদিক বৈঠক করে এর জবাব দেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘আমি যখন নন্দীগ্রামের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চেয়েছিলাম, আমায় বাধা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এটা বিচারাধীন বিষয়। আজকে সেই বিচারাধীন বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করলেন এবং তা বিধানসভার কার্যবিবরণীতে ঠাঁই পেল।’’

কথাবার্তার আজকের আসর এখানেই শেষ করছি। আমাদের সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ