ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান/ আল হুথি-গাজায় মানবিক বিপর্যয় নজিরবিহীন

ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী আবারও অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

শুক্রবার সকালে ইয়েমেন থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ফলে দক্ষিণ থেকে মধ্য তেল আবিব পর্যন্ত অধিকৃত ফিলিস্তিনের বিশাল এলাকা জুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। হামলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়েমেনিরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে যার ফলে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে তৎপরতা চালানো বিমান সংস্থাগুলোকে আনসারুল্লাহ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

শুক্রবার ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলন আবারও বেন গুরিওন বিমানবন্দরে তৎপরতা চালান বিমান সংস্থা এবং হাইফা বন্দরে উপস্থিত জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছে। ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী যতদিন গাজার জনগণের দুর্ভোগ ও অবরোধ অব্যাহত থাকবে ততদিন ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

আনসারুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযানগুলো শত্রু সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হয়

ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ আল-ফারাহ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের উপর ইয়েমেনের আক্রমণ সম্পর্কে বলেন,  "আমরা এই শত্রুকে ভালোভাবে জানি এবং আমরা সতর্কতার সাথে হিসাব না করে কোনো আক্রমণ করি না।" আমরা প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনের প্রভাব সামরিক, নিরাপত্তা এবং এমনকি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরীক্ষা করি।

আল-হুথি: গাজার মানবিক বিপর্যয় নজিরবিহীন

ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মহাসচিব সাইয়্যেদ আব্দুল মালিক বদরেদ্দিন আল-হুথি বৃহস্পতিবার জোর দিয়ে বলেছেন যে গাজার মানবিক বিপর্যয় নজিরবিহীন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন যে মুসলিম উম্মাহর নীরবতা ইহুদিবাদীদের অপরাধ করার জন্য আরো সাহস জোগাচ্ছে।

ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মহাসচিব বলেন যে, ফিলিস্তিনি জনগণকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর একটি মহান ও গুরু দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আরও বলেন: "এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার পরিণতি খুবই বিপজ্জনক কারণ এই দায়িত্ব  আল্লাহর প্রতি।"

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের সমর্থনে ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে, একই সাথে ইহুদিবাদী সরকারের ওপর নৌ অবরোধ আরোপ করেছে।

ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অবরোধ এবং আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যতক্ষণ না ইহুদিবাদী সরকার গাজার উপর তাদের আক্রমণ বন্ধ না করে।#

পার্সটুডে/এমবিএ/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।