কোনো শঙ্কা নেই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন
‘বিশ্বাসযোগ্যতার মোড়কে’ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে চলেছে' পশ্চিমা প্রতিবেদন
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১ জানুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- পশ্চিমা একটি মিশনের প্রতিবেদন: ‘বিশ্বাসযোগ্যতার মোড়কে’ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে চলেছে-প্রথম আলো
- ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড-মানবজমিন
- কোনো শঙ্কা নেই, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন: আইজিপি-ইত্তেফাক
- জনগণের আন্দোলনের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হবে 'ডামি' নির্বাচনি মঞ্চ-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- বছর শুরুতেই মহাকাশে বড় পদক্ষেপ ভারতের-সংবাদ প্রতিদিন
- বারাণসি ধর্ষণে গ্রেপ্তার বিজিপির ৩ কর্মী–গণশক্তি
- ভারতের শত্রুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পুরনো বন্ধুর!-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বিহারে মাঝ রাস্তায় দলিত মহিলাকে বেধড়ক মারধর পুলিশের-আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
২. গাজা অধিবাসীদের সরিয়ে অন্য কোথাও নেয়ার প্রস্তাব করেছে দখলদার ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী। কী বলবেন এই প্রস্তাব সম্পর্কে?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর
পশ্চিমা একটি মিশনের প্রতিবেদন: ‘বিশ্বাসযোগ্যতার মোড়কে’ প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে চলেছে-প্রথম আলো
প্রথম আলোর কূটনৈতিক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, নির্বাচনকে ঘিরে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে স্পষ্ট হয়েছে যে ‘বিশ্বাসযোগ্যতার মোড়কে’ আয়োজিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আরও প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে। আর সরকার ‘বাংলাদেশে বিশেষ এই নির্বাচন কার্যক্রম’ বাস্তবায়নে মরিয়া।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ব্যালট পেপারে ‘সত্যিকার কোনো বিরোধী প্রার্থীর’ উপস্থিতি থাকছে না; বরং ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অসংগঠিত প্রার্থীদের মধ্য থেকে ভোটারদের একজনকে বেছে নিতে হবে। প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচনের এমন পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতিতে তার প্রতিফলন ঘটবে।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে পশ্চিমা একটি মিশন সম্প্রতি তাদের সদর দপ্তরে পাঠানো এক পর্যবেক্ষণে এমনটা মূল্যায়ন করেছে। ঢাকায় পশ্চিমা এক কূটনৈতিক সূত্র ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা থেকে পাঠানো পশ্চিমা মিশনের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোট গ্রহণের দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের মানুষ ক্রমেই নির্বাচনকে ‘বিশেষ নির্বাচন কার্যক্রম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে গত ১৭ ডিসেম্বর একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলকে দেওয়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি ওই মূল্যায়নে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সাক্ষাৎকারে আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপির নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। দেশে অস্থিতিশীলতা এড়াতে সরকারের কাছে আর কোনো বিকল্প ছিল না বলেও আব্দুর রাজ্জাক উল্লেখ করেছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁর সহকর্মী আব্দুর রাজ্জাকের ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি ওই বক্তব্যকে আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত পর্যবেক্ষণে প্রার্থী মনোনয়নকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও শরিকদের অসন্তোষের বিষয়টি তুলে ধরেছে ওই মিশনের ঢাকা দপ্তর—৭০ জন সংসদ সদস্যের মনোনয়ন না পাওয়া, ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের মাত্র ৬টি আসন দেওয়া, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ‘ডামি বিরোধী প্রার্থীদের’ সমর্থনে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ইত্যাদি।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের একটি বড় অংশ ওই ডামি বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দলীয়ভাবে মনোনীত প্রার্থীর পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনের হার ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। গোয়েন্দা সংস্থার চাপে পড়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ২৫ আসন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছেন। ওই আসনগুলোয় আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ডামি প্রার্থীদের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
জানা গেছে, প্রতিবেদনটিতে ১৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আহূত হরতালের প্রসঙ্গটি এসেছে। নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন এবং বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের বিষয়গুলোও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের অন্তত ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গাদাগাদি করে জেলে আটক রাখা, কারাবন্দী অবস্থায় নির্যাতনে বিএনপির ছয়জন কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ ইত্যাদি প্রসঙ্গ।
নির্বাচন ঘিরে যেসব সহিংসতা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন যেসব সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে, তা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই চালাচ্ছে না; দুই রাজনৈতিক শিবিরের সদস্যরাই নিজেদের শক্তিমত্তা দেখানোর জন্য বল প্রয়োগ করে চলেছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকামুখী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। বিয়োগান্ত ওই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অন্যকে দোষারোপ করলেও প্রকৃত অপরাধী এখনো আড়ালেই থেকে গেছে।
ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, নির্বাচন ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা বা অন্য কোনো পরিস্থিতি নেই জানিয়ে পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ভোটাররাও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন। তবুও আইনশৃঙখলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। যে কোনো ধরনের নাশকতা এবং নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা সক্ষমতা বাংলাদেশ পুলিশের আছে।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, পরিবহনের অগ্নিসংযোগ ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক্স-এ এক স্ট্যাটাসে তিনি এই কথা বলেন।
ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড-মানবজমিন
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এতে ড. ইউনূসকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এর রায় ঘোষণা করেন।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া। আদালতে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা ও জরিমানা দাবি করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলা চলাকালীন ড. মুহাম্মদ ইউনূস আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন। ন্যায়বিচার দাবি করে তিনি আদালতকে বলেন, আমি যা করেছি সবই মানুষের জন্য করেছি। ব্যক্তিগত লাভের জন্য কোনো কিছু করিনি। আমি যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছি কোনোটিতেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য করিনি। সেটা গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা অন্য বড় কোনো প্রতিষ্ঠানই হোক। ড. ইউনূস বলেন, মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে মুনাফা করার জন্য। আমরাও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে বড় করেছি।
কিন্তু এসব কার্যক্রমকে আমরা সামাজিক ব্যবসা বলি। যেখানে ব্যবসার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপকার হয়। এর মূল বিষয়টি হলো- এসব ব্যবসায় যিনি বিনিয়োগ করছেন তিনি কোনো মুনাফা নেবেন না। কাজেই আমি হচ্ছি এই সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা। বিশ্বব্যাপী এটি আমি প্রচার করার চেষ্টা করেছি। এসব কার্যক্রমের ভেতরে আমার ব্যক্তিগতভাবে মুনাফা করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। মানুষের উপকার করাটাই আমাদের লক্ষ্য। কোনোটাতেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবো- এ রকম কোনো উদ্দেশ্য আমাদের মধ্যে ছিল না। সুতরাং যেটার উদ্দেশ্য লাভবান হওয়া না সেটা আমি কার জন্য নেবো, কাকে দেবো? ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মালিকানা মুক্ত থেকেছেন দাবি করে ড. ইউনূস বলেন, আমার উদ্দেশ্য ছিল আমি মালিকানা মুক্ত থাকবো। সে জন্য কোনো কিছুতেই আমি মালিক হইনি। আমি সেটাই ফলো করে যাচ্ছি। যেখানে আমি নিজেই মালিকানামুক্ত থাকতে চাই- সেখানে আমি আরেকজনের কাছ থেকে কেড়ে আনবো কেন?
ইউনূস ছাড়াও এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। আদালতে তারাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
মামলা বাতিলের আবেদন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন ইউনূস। কিন্তু গত মে মাসে তার আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে গেলে মামলা চালানোর বাধা দূর হয়।
এরপর চলতি বছরের ৬ই জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
গত ২২শে অগাস্ট থেকে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বাদীসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ই নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আসামিরা। ২৪শে ডিসেম্বর চলে দুইপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের আইনি বাহাস। ইতি টানা হয় ১১ কার্যদিবসের শুনানির, যা শুরু হয়েছিল ২১শে নভেম্বর।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও সৈয়দ হায়দার আলী।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভারতের শত্রুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পুরনো বন্ধুর!-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ভারতের উদ্বেগ এবং চিন্তা বাড়িয়ে এ বার চিন সফরে যেতে চলেছেন মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ়ু। বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না-হলেও, শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই বেজিংয়ে গিয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।ইজ়ুর চিন সফর অন্য একটা দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। গণতন্ত্রের রাস্তা ধরে পথচলা শুরু করার পর মলদ্বীপের সব প্রেসিডেন্টেরই প্রথম গন্তব্য হয়েছে ভারত। এমনকি ভারত-বিরোধী বলে পরিচিত প্রেসিডেন্টরাও শপথ নেওয়ার পর প্রথম বিদেশসফরে ভারতেই এসেছেন।ইজ়ুর চিন সফর অন্য একটা দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। গণতন্ত্রের রাস্তা ধরে পথচলা শুরু করার পর মলদ্বীপের সব প্রেসিডেন্টেরই প্রথম গন্তব্য হয়েছে ভারত। এমনকি ভারত-বিরোধী বলে পরিচিত প্রেসিডেন্টরাও শপথ নেওয়ার পর প্রথম বিদেশসফরে ভারতেই এসেছেন।মলদ্বীপের নয়া প্রেসিডেন্টের এই চিন সফরকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে দিল্লি। সীমান্তে সংঘাত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেজিংয়ের প্রভাব বৃদ্ধির চেষ্টা— সব কিছুর নিরিখেই ভারত এবং চিনের সম্পর্ক একাধিক উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে।
বছর শুরুতেই মহাকাশে বড় পদক্ষেপ ভারতের-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, নতুন বছরের সূচনাতেই মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত (India)। ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট (XPoSat) সফলভাবে পাড়ি দিল মহাকাশে। মহাশূন্যের অসীম রহস্যে ভরা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের (Black Hole) সন্ধান করবে এই XPoSat. সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তার আগের কয়েক মুহূর্ত একেবারে দমবন্ধ করে ইসরোর (ISRO) কন্ট্রোল রুমে অপেক্ষার প্রহর কাটান বিজ্ঞানীরা। অবশেষে এক্সপোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণে তার অবসান ঘটে। বছর শুরুতেই খুশির হাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, এ ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান পাকা করে নিল। এর আগে একমাত্র আমেরিকার (USA) দখলে ছিল এই সাফল্য।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১