জানুয়ারি ১৫, ২০২৪ ১৪:৫৮ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি আশরাফুর রহমান। ১৫ জানুয়ারি (সোমবার) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই শিরোনামগুলো জানিয়ে দেবো। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুটি খবরের বিশ্লেষণ শুনব সহকর্মী সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে।

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবস: মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কঠোর বার্তা-যুগান্তর
  • সরকার ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে : রিজভী- নয়াদিগন্ত
  • আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ. আফ্রিকার পদক্ষেপে বাংলাদেশের সমর্থন- দৈনিক বাংলা
  • জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের নৈতিকতা নিয়ে দলেই প্রশ্ন- প্রথম আলো
  • খতনার সময় মৃত্যু: আয়ানের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল- ইত্তেফাক
  • ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি- সমকাল

কোলকাতার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • হিংসায় মোদীর নীরবতায় প্রশ্ন ছুঁড়ে মণিপুরে যাত্রা শুরু কংগ্রেসের- গণশক্তি
  • লোকসভায় ‘একলা চলো’র ডাক মায়াবতীর, তবে ‘অন্য সম্ভাবনা’র পথও খুলে রাখলেন বিএসপি নেত্রী- আনন্দবাজার অনলাইন
  • গো-রক্ষার নামে রাজ্যে রাজ্যে আবারও হিংসা, তাণ্ডব-পূবের কলম
  • গঙ্গাসাগরে স্নান সারলেন রাজ্যের মন্ত্রীরা, ২৪ ঘন্টা নজরদারি পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের- আজকাল

বিশ্লেষণের বিষয়

১. জাপা’র সভায় পরাজিত প্রার্থীদের প্রশ্ন- সরকার কৃপণতা করেনি, বরাদ্দের টাকা গেল কোথায়? এটি দৈনিক মানবজমিনের শিরোনাম। কি বলবেন আপনি?

২. গাজা-ইসরাইল যুদ্ধের ১০০ দিন পার হয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হচ্ছে কিন্তু ইসরাইলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই যুদ্ধে ইসরাইলের অর্জন কি?

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবস: মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কঠোর বার্তা-যুগান্তর

দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে নিজ নিজ সেক্টর নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। অনিয়ম-দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, মজুতদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার ঘোষণা দেন তারা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। উন্নয়ন প্রকল্প শেষে পরিবহণ পুলে গাড়ি জমা না দিলে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি জানান, ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেছেন, দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। পণ্যের মজুতদারদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের দুর্নীতি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। তিনি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলে জানান।

সরকার ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে- রিজভী- নয়াদিগন্ত

ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে ওবায়দুল কাদেররা এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের পর বিএনপি আবারো নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার যাতে ক্ষমতায় থাকতে না পারে, সে জন্য তারা বিদেশী বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা কম্বোডিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞা আশা করছে। আমি ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলতে চাই, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।

গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ. আফ্রিকার পদক্ষেপে বাংলাদেশের সমর্থন- দৈনিক বাংলা

অধিকৃত গাজা উপত্যকায় গণহত্যা সংঘটনের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ১৯৪৮ সালের কনভেনশন অন দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড পানিশমেন্ট অব জেনোসাইড (জেনোসাইড কনভেনশন)-এর আওতায় ইসরাইল তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি কার্যক্রম শুরুর আবেদনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ অস্থায়ী পদক্ষেপের ইঙ্গিতের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধকেও সমর্থন করে, যার মধ্যে গাজার অভ্যন্তরে ও গাজার বিরুদ্ধে সমস্ত সামরিক অভিযান স্থগিত করা এবং গাজার সমস্ত এলাকায় নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অনুরোধকৃত সাময়িক পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় এবং গাজায় উদ্ভূত মানবিক বিপর্যয়ের অবসান ঘটাতে দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।

জাপার শীর্ষ নেতৃত্বের নৈতিকতা নিয়ে দলেই প্রশ্ন- প্রথম আলো

তৃণমূলের অমত সত্ত্বেও নির্বাচনে যাওয়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) শীর্ষ নেতৃত্বের ‘নৈতিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলটির নেতাদের একটি অংশ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাপার পরাজিত প্রার্থীদের এক সভায় নেতারা এ প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা মন্তব্য করেন, নির্বাচনে গিয়ে জাপা জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছে। নির্বাচনে অংশ না নিলে জি এম কাদের জাতির কাছে নায়ক হতেন।

গতকাল রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাপার পরাজিত কয়েকজন প্রার্থীর নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের মতবিনিময় সভায় কয়েকজন নেতা এসব মন্তব্য করেন।

নির্বাচনে জাপার ভরাডুবির পর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগে পরাজিত প্রার্থীদের কয়েকজন এই সভার আয়োজন করেন। সভায় অন্তত ১০ জন প্রার্থী বক্তব্য দেন। তাঁরা জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতাসহ নির্বাচনে জাপার অংশগ্রহণ কতটা নৈতিক ছিল, সে প্রশ্ন তোলেন।

খতনার সময় মৃত্যু: আয়ানের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল- ইত্তেফাক

রাজধানীর সাঁতারকুলে ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনার সময় মারা যাওয়া শিশু আয়ান আহমেদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেনো দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) শিশু তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে শিশু আয়ানের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের সনদ বাতিল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি- সমকাল

চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাদিকুর রহমান তমাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। এদিন আসামিরা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ মার্চ মামলার বাদী তানভীর হোসেন বিজ্ঞাপন দেখে একটি মোটরসাইকেল কেনা বাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। এরপর চেকটি নগদায়নের জন্য একাধিক ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়।

হিংসায় মোদীর নীরবতায় প্রশ্ন ছুঁড়ে মণিপুরে যাত্রা শুরু কংগ্রেসের- গণশক্তি

মণিপুরের মানুষ অন্যায়ের শিকার। বিজেপি এবং দেশের সরকার পাশে নেই। প্রধানমন্ত্রী নীরবতা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু দেশের মানুষ রয়েছেন। অন্যায়ের বিহিত চাইবেন দেশবাসী।

রবিবার এই বার্তা দিয়ে মণিপুরের থৌবল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করল কংগ্রেস। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের নেতা রাহুল গান্ধী শুরু করেছেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব।

রাজধানী ইম্ফল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই প্রয়াস বাতিল করে দেয়। কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের কর্মসূচিকে বাধা দিতে সব নোংরা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাতে জনসমর্থন ঠেকানো যায়নি। ইম্ফলের প্যালেস গ্রাউন্ডের বদলে যাত্রার শুরুতে সমাবেশ হয়েছে খোঙজোমের ন্যায় ময়দান থেকে। জনসভা শুরু হওয়ার আগে ভরে গিয়েছে মাঠ।’’

লোকসভায় একলা চলোর ডাক মায়াবতীর, তবে অন্য সম্ভাবনার পথও খুলে রাখলেন বিএসপি নেত্রী- আনন্দবাজার অনলাইন

ইঙ্গিত ছিল আগেই। নিজের জন্মদিনে সে কথা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তাঁর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)। তবে ভোট-পরবর্তী জোটের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি তিনি।

সোমবার ৬৮ বছরে পা দিলেন ‘বহেনজি’। লখনউতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে মায়াবতী বলেন, “বিএসপি কোনও দলের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন পরবর্তী জোটের সম্ভাবনা খোলাই থাকছে।” কেন তিনি কোনও দলের সঙ্গে জোট করছেন না, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই দলিত নেত্রী। তিনি জানান, যখনই উত্তরপ্রদেশের অন্য কোনও দলের সঙ্গে বিএসপি জোট করেছে, তখনই লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে একদা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল মায়াবতীর দল।

গো-রক্ষার নামে রাজ্যে রাজ্যে আবারও হিংসা, তাণ্ডব-পূবের কলম

ঘটনা অনেক। গুণে শেষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রাজস্থান থেকে ওড়িষা, হরিয়ানা থেকে কর্নাটক— সর্বত্র একই ছবি। গোরক্ষার নামে একের পর হামলা। সংখ্যালঘুদের উপরে, বিশেষত মুসলিমদের উপরে হামলা করাকে বীরত্বের কাজ বলে মনে করা হয়। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অজুহাতে কট্টর সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠা। এসব চলছেই। চলতি সপ্তাহ জুড়ে গো-রক্ষার নামে হিংসার বেশ কিছু ঘটনা আবার রাজ্য রাজ্যে দেখা যাচ্ছে।

১৩ জানুয়ারি রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় গবাদি পশু পরিবহনের জন্য একটি মিনি ট্রাক চালককে বেধড়ক মারধোর করা হয়েছে।১৩ জানুয়ারি ওড়িষার কুয়াখিয়া সেতুতে দুই ব্যক্তিকে গবাদি পশু পরিবহনের সময় হামলা করা হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে একদল মানুষ দুই চালককে ধরে রেখেছে এবং জনসমক্ষে তাদের মারধর করছে৷ অন্য একটি ঘটনায়, হরিয়ানার ঝাজ্জার জেলায় গো- রক্ষকরা গরু পরিবহনকারী একটি ট্রাককে তাড়া করেছে৷ গাড়িটিতে দিল্লির নামফলক ছিল। ৫ জানুয়ারি, গোরক্ষকরা গবাদি পশু পরিবহনকারী একটি ট্রাককে ১২ কিলোমিটার পথ বিপজ্জনক গতিতে তাড়া করে নিয়ে যায়।  গোরক্ষকদের হাত এড়াতে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলে ট্রাক থেকে গরু পড়ে যাওয়ার দৃশ্যের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ট্রাকটিকে শেষ পর্যন্ত ধরা হয় এবং ট্রাকের দুজন যাত্রী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের পাঁচগাঁও চকে।

গঙ্গাসাগরে স্নান সারলেন রাজ্যের মন্ত্রীরা, ২৪ ঘন্টা নজরদারি পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের- আজকাল

অন্যান্য বছরের মত এবারেও গঙ্গাসাগরে এসে স্নান করলেন রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু থেকে শুরু করে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, প্রত্যেকেই ডুব দিলেন গঙ্গায়। গত বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে যাবে বলেই আশাবাদী রাজ্যের মন্ত্রীরা। স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানালেন, বিজেপি যে ধর্মের রাজনীতি করে সেই রাজনীতি বাংলায় টিকবে না। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু গঙ্গায় ডুব দিয়ে মঙ্গল কামনা করলেন রাজ্যবাসীর। পুণ্যার্থীদের কোনোরকম অসুবিধার মুখে যেন পড়তে না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। ২৪ ঘন্টা মেগা কন্ট্রোলরুম থেকে নজরদারি চালাচ্ছেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। ১১৫০টি সিসিটিভি এবং একাধিক ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কচুবেড়িয়া, কলকাতার আউট্রাম ঘাট সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ভেসেল থেকে শুরু করে বাস এবং চার চাকার গাড়িতে লাগানো রয়েছে পিলগ্রিম ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ