ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ ১৭:০১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • নির্বাচনে না এসেই বিএনপি জিতে গেলো, প্রশ্ন কাদেরের-ইত্তেফাক
  • একুশ মাথানত না করতে শেখায়: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ প্রথমবারের মতো ৪০০ কোটি ডলার ছাড়াল-ডেইলি স্টার বাংলা
  • যেভাবে রোহিঙ্গারা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিক-মানবজমিন
  • ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ২০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মহারাষ্ট্রে পাশ ঐতিহাসিক মারাঠা সংরক্ষণ বিল, সংরক্ষণ পেরোল ৬০ শতাংশ-সংবাদ প্রতিদিন
  • পুলিশ মনে হয় শাহজাহানকে রক্ষা করছে : হাইকোর্ট-গণশক্তি
  • ‘জেলে অন্তঃসত্ত্বা হলে মহিলা বন্দিরা আরও কলঙ্কিত হন’,-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • লোকসভা ভোটে উপত্যকায় একা লড়ার ইঙ্গিত দিলেন মুফতি-আজকাল
  • আদিনা মসজিদে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা ব্যর্থ-পুবের কলম

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. ২১ আমাদের শিখিয়েছে মাথানত না করতে। একথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কীভাবে দেখবেন এ বক্তব্যকে?

২. গাজার গণহত্যার সঙ্গে হলোকাস্টের তুলনা করে বক্তব্য দেয়ায় ব্রাজিলের সাথে ইসরাইলের ব্যাপক টানাপড়েন দেখা দিয়েছে। ব্রাজিলের এই অবস্থানকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন আপনি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

একুশ মাথানত না করতে শেখায়: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশ মাথানত না করতে শিখিয়েছে। তাই মাথা উঁচু করে জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে ‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদানকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাঁদের স্বজনেরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথানত না করতে। কাজেই আমরা মাথানত করে নয়, মাথা উঁচু করেই চলব এবং বিশ্বদরবারে মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাব।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের শুধু স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, তিনি সেই সঙ্গে আমাদের একটা মর্যাদাবোধ দিয়ে গেছেন। বিজয়ী জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করেই চলতে চাই। এই কথাটা সকলকে মনে রাখতে হবে।’

১৯৭২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে জাতির পিতা যখন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, সে সময় তাঁর দেওয়া ভাষণের চুম্বকাংশ উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবলমাত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; এই আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের যে মর্যাদা দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই মর্যাদাটা পঁচাত্তরের পর বাঙালি জাতি হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু আজ আমি অন্তত এইটুকু দাবি করতে পারি, আবার বাঙালি বিশ্বের দরবারে এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারে। সেই মর্যাদা আমরা ফিরিয়ে এনেছি। আর এই মর্যাদা আমাদের সমুন্নত রেখেই আগামীর দিনে এগিয়ে যেতে হবে।’

যেভাবে রোহিঙ্গারা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি নাগরিক-মানবজমিন

পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করে মেয়র এবং চেয়ারম্যানের আইডি ব্যবহার করে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্মনিবন্ধন তৈরি করে দিচ্ছিল একটি চক্র। বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে চক্রের সদস্যরা ৩০ হাজার টাকা করে নিতো। আর এই জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে রোহিঙ্গারা নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় দিয়ে এনআইডি কার্ড ও পাসপোর্ট তৈরি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশ-বিদেশে। তারা ব্যাংক ঋণসহ দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মতো নানান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। রোহিঙ্গা ছাড়া অনেক দাগি, খুনি ও সন্ত্রাসীরাও মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ করে এই চক্রের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে তাদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করছে। তারাও নতুন করে এনআইডি, পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। নতুন জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড হওয়াতে তাদের পূর্বের অপরাধ পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে না। তাই তারা সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেয়ে যাচ্ছে। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (দক্ষিণ) এসব অভিযোগের তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে পাঁচ জন আসামিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. শহিদুল ইসলাম মুন্না, মো. রাসেল খান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আব্দুর রশিদ ও সোহেল চন্দ্র। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন ও ৮টি সিম উদ্ধার করা হয়।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন-যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ২০ কোটি পাউন্ডের সম্পদ-যুগান্তর

২০২২ সালে লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। রিজেন্ট পার্ক থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই প্রপার্টির অবস্থান। বিখ্যাত লর্ডস ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অবস্থানও এর ঠিক পাশেই। লন্ডনের সবচেয়ে দামি এলাকাগুলোর মধ্যে এটি একটি। এই প্রপার্টিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু সাদা রংয়ের বাড়ি। বাড়িগুলোতে যে জানালা আছে, এর বিস্তার মেঝে থেকে একেবারে ছাদ পর্যন্ত। সর্পিলাকৃতির সিঁড়িগুলো উঠে যায় উপরের কয়েক তলা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে আছে সিনেমা হল ও জিমনেসিয়ামও।

এই প্রপার্টির মালিক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ হাজার ৭৬৮ কোটি ৮০ লক্ষ প্রায়) ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে তিনি গড়ে তুলেছেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। 

মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত রোববার প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

রাজ্যের জেলে মহিলা বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনার মামলায় যুক্ত সব পক্ষকে বৈঠক করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সব পক্ষকে নিয়ে রাজ্যকে বৈঠকে বসতে হবে। সেখান থেকে কী উঠে এল, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি)-কে তা নিয়ে আগামী ৮ মার্চ রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। পাশাপাশি, বিচারপতি এ-ও জানিয়েছেন, গর্ভধারণ সংক্রান্ত কোনও পরীক্ষা নিয়ে আদালত নির্দেশ দেবে না।

এই মামলায় বিচারপতির বাগচীর পর্যবেক্ষণ, ‘‘এমন ঘটনায় সমাজে কী প্রভাব পড়ে, তা আমরা জানি। এমনিতেই ওই মহিলারা জেলে রয়েছেন। সেই অবস্থায় এমন ঘটনা তাঁদের আরও বেশি কলঙ্কিত করে। ওই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যক্তিদের এটা মাথায় রাখা জরুরি।’

মঙ্গলবার আদালত বান্ধব তাপস ভঞ্জের সওয়াল, জেলে ঢোকার পরে মহিলাদের পুরুষ বন্দিদের সেলের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলাদের জন্য আলাদা রাস্তা বা প্রবেশ পথ নেই। এর ফলে অনেক সময় পুরুষ বন্দিরা হায়নার মতো আচরণ করেন। এটা আটকানো দরকার। আর মহিলা কয়েদিদের নিয়মিত ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট’ করানো হোক।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, সন্দেশখালিতে বাধা দিতে আসা এক পাগড়িধারী আইপিএস অফিসারকে ‘খলিস্তানি’ বলে আক্রমণ করলেন বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। মঙ্গলবারের এই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডলে মমতা লিখেছেন, ‘‘বিজেপি তা হলে মনে করছে, যারা পাগড়ি পড়ে তাদেরই খলিস্তানি বলে মনে করে! ওদের বিভাজনের রাজনীতি এ বার সাংবিধানিক সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’’ অন্য দিকে, শিখ আইপিএসকে অপমানের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বাংলার শিখ ধর্মাবলম্বীরাও। কলকাতা এবং আসানসোলের পথে নেমেছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

লোকসভা ভোটে উপত্যকায় একা লড়ার ইঙ্গিত দিলেন মুফতি-আজকাল

‘‌ইন্ডিয়া’‌ জোটে ফের ধাক্কা। লোকসভা ভোটে একা লড়ার ইঙ্গিত দিলেন জম্মু–কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (‌পিডিপি)‌‌ প্রধান মেহবুবা মুফতি। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই উপত্যকার ছয়টি আসনে প্রার্থী নির্বাচিত করে ফেলবে তাঁর দল। দলের মুখপাত্র সুহেল বুখারি বলেছেন, ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স ইতিমধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। আমরাও আলোচনা করছি। দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’‌ 

এক সপ্তাহ আগেই ফারুক আবদুল্লা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স উপত্যকায় নিজের শক্তির উপর ভরসা রেখে লড়বে।

আদিনা মসজিদ মালদহে সুলতানদের আমলের রাজধানী পান্ডুয়াতে অবস্থিত।টি ১৩৭৩ সালে নির্মাণ এই সুবিশাল মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন সুলতান সিকান্দর শাহ। আর মসজিদটি চালু হয় ১৩৭৫ সালে। 

এই মসজিদটি এত বিশাল যে একে ভারতীয় উপমহাদেশের সব থেকে বড় মসজিদ বলে স্বীকৃতি লাভ করে।

কিছুদিন থেকেই এই বিরাট মসজিদটিকে নিয়ে কিছু লোক বিতর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। হয়তো বা তাদের ইচ্ছা, আর একটি বাবরি মসজিদ বা জ্ঞানভাপী মসজিদের মতো পরিস্থিতি তৈরি করা। কথা নেই বর্তা নেই, হঠাৎই দেখা যায় উত্তরপ্রদেশ থেকে আগত জনৈক হিরন্ময় মহারাজ নামে এক ব্যক্তি আদিনা মসজিদের অঙ্গনে পুজোপাঠ শুরু করে দিলেন। হিন্দি ভাষী এই ভদ্রলোক একা আসেননি। সঙ্গে ছিল তাঁর কিছু স্থানীয় ও ভিন রাজ্যে সাঙ্গপাঙ্গ। আদিনা মসজিদ ভারতীয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এখানে কোনও ধরনের ধর্মাচারণ নিষিদ্ধ। বছর ৩০ পূর্বে একবার মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদে নামায পড়ার চেষ্টা করায় নামাযিরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন ছিল বাম আমল।

হিরন্ময় মহারাজজির পুজোপাঠ দেখে স্থানীয় কিছু মুসলিম এবং এএসআই-র আধিকারিকরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাঁদের অবশ্য গ্রেফতার করেনি। কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনাটির ঘনঘটা আপাতত এখানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে এই প্রচেষ্টা যে নির্বাচনের আগে পশ্চিমবাংলায় সম্প্রীতির ঐতিহ্য একটি জেলায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টায় করা হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃত্ব বলেছেন, দোষীদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু যেন কোনও মতেই শান্তি, শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত না হয়।

মহারাষ্ট্রে পাশ ঐতিহাসিক মারাঠা সংরক্ষণ বিল

মহারাষ্ট্রে পাশ ঐতিহাসিক মারাঠা সংরক্ষণ বিল, সংরক্ষণ পেরোল ৬০ শতাংশ-সংবাদ প্রতিদিন

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল ঐতিহাসিক মারাঠা সংরক্ষণ বিল (Maratha Reservation Bill)। একনাথ শিণ্ডে সরকারের আনা বিলকে সমর্থন করল বিরোধীরাও। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে ঐতিহাসিক ওই বিল পাশ হয়ে গেল। রাজ্যপাল সই করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

মারাঠা সংরক্ষণ আইন পাশ হয়ে গেলে মহারাষ্ট্রে চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন মূলনিবাসী মারাঠার। মহারাষ্ট্র স্টেট সোশ্যালি এবং ইকোনমিক্যালি ব্যাকওয়ার্ডস বিল ২০২৪-এ বলা হয়েছে, আগামী ১০ বছর বাদে এই সংরক্ষণের পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে। মারাঠা রাজ্য ওবিসি কমিশনের রিপোর্টের পরই এই বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মহারাষ্ট্র সরকারের (Maharastra)।

এর আগে রাজ্যে মোট ৫২ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। নতুন বিল পাশ হওয়ায় তা গিয়ে দাঁড়াল ৬২ শতাংশে। অথচ, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ী কোনও রাজ্যেই ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ বাঞ্ছনীয় নয়। আপাতত মহারাষ্ট্র সরকার সেই নির্দেশ শিকেয় তুলে রাখল। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মাস্টার স্ট্রোক হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং ওড়িশাতেও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ শিকেয় তুলে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। পরে আবার সেই সংরক্ষণ খারিজ হয়ে গিয়েছে।

ভারত সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন কৃষকেরা

বুধবার থেকে আবার শুরু ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ-আনন্দবাজার পত্রিকা

ডাল, তুলা বা ভুট্টা চাষে সরকারের দেওয়া প্রস্তাবগুলো নাকচ করে আবারও দিল্লি অভিমুখে রোডমার্চ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এত দিন বন্ধ থাকা ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ্আগামীকাল বুধবার থেকে আবার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কেন্দ্রীয় সমবায় সংস্থাগুলি কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে (এমএসপি) পাঁচ বছরের জন্য বেশ কয়েকটি ফসল কিনবে। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত চলা চতুর্থ দফার বৈঠকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কৃষক সংগঠনগুলিকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কৃষি ও কৃষককল্যাণ মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বৈঠকে বসেন কৃষক নেতাদের সঙ্গে। 

বৈঠকের পরে পীযূষ জানিয়েছেন, সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এনসিসিএফ, নাফেডের মতো সমবায় সংস্থা কৃষকদের থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ডাল, ভুট্টা কেনার জন্য পাঁচ বছরের চুক্তি করতে পারে। কটন কো-অপারেশন অব ইন্ডিয়াও পাঁচ বছরের জন্য একই রকম চুক্তি করতে পারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে তুলো কেনার জন্য।

আজ কেন্দ্রের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। সেখানে ওই প্রস্তাব কার্যত খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা আজ বিকেলে ওই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, কেন্দ্রকে সমস্ত (মোট ২৩টি) ফসল ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কিনতে হবে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও সেই প্রতিশ্রুতি ছিল। আলোচনায় কেন্দ্রের তরফে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলেও মত কৃষক নেতাদের।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২০

ট্যাগ