আফগান সংকট
তালেবানের মন্ত্রিসভা ঘোষণা হতে পারে আজ! স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাজ্য
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৩ সেপ্টেম্বর কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- যে কারণে দুই বিচারকের ব্যাখ্যা ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব-প্রথম আলো
- বড়দের আশকারায় ছোটরা ভয়ংকর-কালের কণ্ঠ
- বাংলাদেশকে ১ কোটি করোনার টিকা দেবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত-মানবজমিন
- দৈনিকটির অপর একটি খবরের শিরোনাম-নিবন্ধন করে অপেক্ষায় প্রায় দুই কোটি মানুষ
- রাজধানীর ১১০ সিগন্যালের সচল মাত্র একটি-যুগান্তর
- সম্পর্ক রাখলেও তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাজ্য -ইত্তেফাক
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দাবি, হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা -সংবাদ প্রতিদিন
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
আফগানিস্তান সংকট: তালেবানের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হতে পারে আজ-প্রথম আলো

আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার তিন সপ্তাহ হতে যাচ্ছে। এখনো নতুন সরকার ঘোষণা করেনি তারা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার গঠনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আজ শুক্রবার তালেবানের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হতে পারে। আগেই অবশ্য চারজন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে পানশিরে গতকাল তালেবান ও প্রতিরোধযোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছে। অন্যদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই কাজের অধিকারের দাবিতে হেরাতে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা।

তালেবান বাহিনী গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। পূর্ব চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধের। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয় তালেবানের।
তালেবানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, আজ পবিত্র জুমার নামাজের পর পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার ঘোষণা আসতে পারে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, সরকার ঘোষণা নিয়ে তালেবানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এখনো মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ রয়টার্সকে বলেছেন, সরকার ঘোষণার দিনক্ষণ তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারবেন না। তবে এটা মাত্র কয়েক দিনের বিষয়।
সম্পর্ক রাখলেও তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাজ্য-ইত্তেফাক
তালেবানের সঙ্গে ‘সরাসরি যোগাযোগ’ রাখলেও তাদের স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাজ্য, এমনটাই জানিয়ে দিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দোহায় কূটনৈতিক সফরকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এদিন দোহায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখা জরুরি।
করোনা ভ্যাকসিন আসা নিয়ে সুখবরে প্রায় সব দৈনিকে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশকে ১ কোটি করোনার টিকা দেবে ইইউ: রাষ্ট্রদূত।খবরটিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ১ কোটি ডোজ টিকা দিবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় বলেন, আমরা জানি, ১ কোটি ডোজ বাংলাদেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তাই চেষ্টা করছি আরও বেশি দেয়ার।
তবে মানবজমিনের একটি খবরের শিরোনাম এরকম-নিবন্ধন করে অপেক্ষায় প্রায় দুই কোটি মানুষ-বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, করোনার টিকা পেতে মানুষের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে টিকা পেতে নিবন্ধিতদের সংখ্যা। কিন্তু সেই তুলনায় টিকার মজুত না থাকায় টিকার এসএমএস পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে টিকাপ্রত্যাশীকে। অনলাইনে নিবন্ধনকারীদের প্রায় ২ কোটি লোক এখনো পর্যন্ত এক ডোজ ভ্যাকসিনও পাননি। টাকা দিলে আগে আগে এসএমএস পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে অহরহ। সরবরাহের তুলনায় এ বিপুল সংখ্যক টিকাপ্রত্যাশীর তাই পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। কেউ কেউ বলছেন দালালদের দৌরাত্ম্যে ভেঙে পড়েছে টিকার এসএমএস ব্যবস্থা। এখনই কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে এ অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
পরীমনির রিমান্ড-যে কারণে বিচারকদের ব্যাখ্যা চাওয়া, তদন্তকারীকে তলব-প্রথম আলো

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। কিসের ভিত্তিতে ওই দুই দফা রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়ে ঢাকার দুটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নথিসহ (কেস ডকেট) ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। দেরিতে জামিন আবেদন শুনানির তারিখ নির্ধারণ নিয়ে পরীমনি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। এর শুনানিতে পরীমনিকে রিমান্ড নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ওই মামলায় দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস এবং তৃতীয় দফায় ১৯ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। হাইকোর্ট বলেছেন, ব্যাখ্যার জবাব সন্তোষজনক না হলে তাঁদের আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। আদালত বলেছেন, রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে আসতে হবে।
যে কারণে দুই বিচারকের ব্যাখ্যা ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
আদালত বলেন, নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ও আইন লঙ্ঘন করে বেআইনি পন্থায় অভিযুক্ত পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এভাবে নাগরিকের অধিকার বেআইনি পন্থায় খর্ব করা যায় না। একইভাবে প্রতিটি নাগরিকের আইন ও আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি অনুগত থাকতে হয়। বর্তমান মামলায় যে পন্থায় তাঁকে (পরীমনি) গ্রেপ্তার, আদালতে হাজির এবং হাজিরের পর চার দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়, তাতে অভিযুক্তর নিরাপত্তা ও অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করে আদালত বলেন, কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না কিংবা কারও সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না।
আদালত বলেন, সুষ্ঠু ও স্বাধীন তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই স্বীকার করতে হয়। বর্তমান মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডের আবেদন করেন। গত ১০ ও ১৯ আগস্ট রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুরের আগে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কীভাবে সন্তুষ্ট হলেন? প্রথম দফায় চার দিন রিমান্ডের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এমন কী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাদান পেলেন যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সংবিধান ও অন্যান্য আইনি বিধিবিধান লঙ্ঘন করে তদন্ত কর্মকর্তার করা রিমান্ড আবেদনে ম্যাজিস্ট্রেট কীভাবে রিমান্ড মঞ্জুর করলেন, তা বোধগম্য নয়।
ঘটনা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে ঘোষিত আদেশে বলা হয়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (দুজন) কারণ ব্যাখ্যা করবেন, কিসের ভিত্তিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলো।
বেহাল ট্রাফিক-যানজটে নাকাল নগরবাসী-রাজধানীর ১১০ সিগন্যালের সচল মাত্র একটি-যুগান্তর

রাজপথে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা প্রায় ২ বছর ধরে অচল। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১০টি সিগন্যাল পয়েন্টের মধ্যে সচল মাত্র একটি। ৬৫৪টি সিগন্যাল পোস্টের প্রায় তিন হাজার রঙিন বাতি মৃত প্রায়।
এ পরিস্থিতিতে হাতের ইশারায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কাজ হচ্ছে না। ফলে অনেক পোস্টে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের খোঁজ মেলে না। এতে যানজট দীর্ঘ হয়।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে- এ শহরে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের চলাচল। এদের জন্য ট্রাফিক পুলিশ থাকার কথা প্রায় ১০ হাজার। কিন্তু আছে মাত্র ৩৮০০। এসব কারণে শত চেষ্টা করেও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না বিভাগটির সদস্যরা। প্রায় যানজট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সঙ্গে বাড়ছে মানুষও। প্রায় ২ বছর ধরে পুরো ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ১১০টি সিগন্যাল পয়েন্টে শত শত লাইট নষ্ট হচ্ছে। ২-১টা ছাড়া সবকটি অচল। ২-১টি পয়েন্টে বাতি জ্বললেও হাতেই সিগন্যালগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে।তিনি বলেন, রাজধানীতে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা খুব একটা কাজে আসছে না। একেকটি পোস্টে-এলাকার অবস্থার ভিত্তিতে-টাইম সেট করতে হয়। কোনো পয়েন্টে ৩ মিনিট আবার কোথাও ১০ মিনিট পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ রাখতে হয়। ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে গবেষণা করাচ্ছি। এতে বের হয়ে আসবে, কি করতে হবে-কি পরিমাণ লোকবল ও বরাদ্দ প্রয়োজন। তবে, এজন্য বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আড়াই কোটি মানুষের শহরে ট্রাফিক সদস্য আছেন ৩৮০০। প্রয়োজন আরও অনেক বেশি।
বড়দের আশকারায় ছোটরা ভয়ংকর-কালের কণ্ঠ
শরীর প্রায় পুরোটাই মোড়ানো সাদা ব্যান্ডেজে। বুকের নিচে ছুরিকাঘাতের গভীর ক্ষত নিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে মাঝেমধ্যেই চিৎকার করে উঠছিল কিশোর সোহানুর রহমান সোহান। কে তাকে ছুরি মেরেছে জানতে চাইলে সোহানের বাবা ইকবাল হোসেন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। আপনার ছেলেকে কেন টার্গেট করল—প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জানি না, তয়, আমার পোলার কোনো দোষ নাই, যারা মারছে তারা খারাপ ছেলে।’
সারা দেশে, বিশেষত রাজধানী ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডব প্রকট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই রাজধানীর কোনো না কোনো এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডবের শিকার হচ্ছে কেউ না কেউ। অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে দুর্নীতি, অপরাধ ও অপরাধের নানা উপাদান রয়েছে, কিশোররা তার বাইরে নয়। পারিবারিক বন্ধন ভেঙে পড়া, কিশোরদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ না থাকার কারণেই থামানো যাচ্ছে না এই গ্যাং কালচার।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
৭ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দাবি, হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা-সংবাদ প্রতিদিন
ভবানীপুর-সহ রাজ্যের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দাবিতে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে । আগামী সপ্তাহে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাকারী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি, কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকলে সেখানে ছ’মাসের মধ্যে ভোট করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর প্রায় চার মাস কেটে গেলেও উপনির্বাচন নিয়ে কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। অবিলম্বে নির্বাচন করতে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, সেই দাবিও জানানো হয়েছে মামলার বয়ানে। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনই নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে মামলায় পক্ষ করার আবেদন জানাবেন মামলাকারী।
উপনির্বাচন নিয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল কমিশন । সেই মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মতামত জানিয়েছে। বুধবার বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যের মোট ১৭টি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্যের আধিকারিক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, উপনির্বাচন নিয়ে একেক রাজ্য একেক রকম মতামত দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ রাজ্যে এখনই ভোট করালে ভাল হয়।
শুক্রবারের নমাজের পরেই সরকার গঠনের পথে তালিবান! আফগানিস্তানে তুঙ্গে জল্পনা-সংবাদ প্রতিদিন
কাবুল (Kabul) দখলে চলে এসেছে গত মাসেই। কিন্তু এখনও সরকার গঠন হয়নি আফগানিস্তানে। নতুন সরকার গঠনের আগেই তালিবান (Taliban) সংসারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ার পর থেকে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সমস্ত জল্পনার সমাপ্তি। আগামিকাল, শুক্রবারের নমাজের পর নতুন সরকার গঠন নিয়ে ঘোষণা করতে চলেছে তালিবান। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র থেকে তেমনই দাবি করা হচ্ছে। সেই ঘোষণাতেই জানানো হবে, সরকারের বিভিন্ন পদে কারা থাকবে। এদিকে বুধবারই জানা গিয়েছে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে হাক্কানি (Haqqani) গোষ্ঠী এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলেছে তালিবানকে। তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩