মির্জা ফখরুল বললেন
'ক্ষমতাসীনদের শোষণ আর লুণ্ঠনে দেশে দুঃসহ এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে'
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনদের শোষণ আর লুণ্ঠনে দেশে দুঃসহ এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আজকে বাংলাদেশে শোষণ ছাড়া কিছু নেই। প্রতি ক্ষেত্রে শোষণ আর লুণ্ঠন। আগেরকার বর্গীদের মত এখনও লুটপাট চলছে। এইরকম শোষন, লুন্ঠন, যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আজ মুক্তির পথটাকে খুঁজে বের করতে হবে। প্রথম যে দরকারটা হচ্ছে আমাদের অধিকারটাকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। সেই নির্বাচনে যদি যেতে চাই, তাহলে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দরকার।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, চীনের মতো একটা বিপ্লব আমাদের গড়ে তুলতে হবে। তাতে হয়তো সমস্ত মানুষের মুক্তির পথ হবে না কিন্তু জাতীয় মুক্তির পথ তৈরি করা হবে। এদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,‘নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্য বিএনপিকে আর জনগণ চায় না, এটা বুঝতে পেরেই তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আজ রোববার ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘দেখেশুনে মনে হয়, বিএনপির অবস্থা এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। তারা কখন যে কী বলে, সেটা নিজেরাও জানে না।’
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে খুশি, তাই তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে। বিএনপি এখন থেকেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচার করছে। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিচিতি পেয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণের ওপর আমাদের আস্থা শতভাগ। কাজেই নির্বাচন নিয়ে খেলার প্রয়োজন নেই। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’ ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের ওপর আস্থা রাখুন, নির্বাচনে আসুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণ যাকে চাইবে, সে-ই ক্ষমতায় আসবে।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।