জানুয়ারি ৩১, ২০২৪ ১৭:৩০ Asia/Dhaka

গত এক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের রাখাইনে,সেনাবাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির তীব্র লড়াইয়ে আতংক বাড়ছে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে।মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। মর্টারশেল ও বুলেট এসে আঘাত করছে বাংলাদেশের ভূখন্ডে।

নিরাপত্তার স্বার্থে,সীমান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে নতুন কোরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন কোরে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।

মায়ানমারের রাখাইনে দেশটির সামরিক জান্তা নিয়ন্ত্রিত সামরিক বাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে, চলমান সংঘর্ষের কারনে চলছে মর্টারশেল নিক্ষেপ ও ভারী গুলি বর্ষন। ফলে টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের মাঝে বিরাজ করছে. চরম আতংক। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় গুলি বর্ষণে মিয়ানমার থেকে প্রায় ১৩টি মর্টারশেল ও ১ রাউন্ড বুলেট এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশকে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়।

টেকনাফের হোয়াইকং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এই বাড়িটিতে মিয়ানমার থেকে একটি গুলি এসে পড়েছে বলে জানা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে জনচলাচলে সতর্কতা জারীর পাশাপাশি, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বসবাসকারীদের অনেকে দূর আত্নীয়ের বাসায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। সীমান্তে চাষাবাদ ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে জীবনের নিরাপত্তা চায় স্থানীয়রা। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তে গোলাগুলিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি টেকনাফেরর হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী।

এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন  করে সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক।#

 

পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/বাবুল আখতার/৩১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ