আর কোন অনুপ্রবেশ নয়- বিজিবি মহাপরিচালক
কড়া নিরাপত্তায় ফেরত পাঠানো হলো মিয়ানমারের বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ নাগরিককে দেশটির কাছে হস্তান্তর করা হলো। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে গত ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসে দেশটির ৩৩০ নাগরিক।
বৃহস্পতিবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন স্কুল থেকে ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয় তাদের। প্রথম দফায় ১৬৫ জন এবং ২য় দফায় আরো ১৬৫ জনকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কক্সবাজারের ইনানীতে নৌবাহিনী ঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রক্রিয়া। যা কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাটে সম্পন্ন হয়।
এ সময় আশপাশের এলাকায় বিজিবি ও র্যাগব সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকে। নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়, কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক।
উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার প্রেক্ষিতে তাদের ফেরত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, বিজিবির মহাপরিচালক। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধৈর্য ধারণ করে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রেখে বিজিবিকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে বিজিবির তত্ত্বাবধানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী সদস্যদের সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ করে এবং তাদের নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় আগত ৯ বিজিপি সদস্যকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতঅং কিউ মোয়েও উভয় দেশের সম্পর্ক সুরক্ষায় আরো বেশি কাজ করার কথা বলেন। উল্লেখ্য,গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম ও বাইশফাঁড়ী সীমান্তের বিপরীতে বিজিপির তুমব্রু রাইট ও লেফট ক্যাম্পে আক্রমণ করে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী, পালংখালী এবং টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের বিপরীতে ওপারে কাইচিং রং, মইদু, গদুদ্ধজ্য ও মংডু এলাকায়ও গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, পুলিশ, ইমিগ্রেশন ও বেসামরিক সদস্যরা প্রাণভয়ে পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে অস্ত্রসহ বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করে।#
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/বাবুল আখতার/১৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।