ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আজও উত্তাল বাংলাদেশ
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আজও উত্তাল রয়েছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সাজা দেবার দাবি জানান।
এ ছাড়া, ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারী সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানী শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে থেকে এ ঘোষণা দেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। এ সময় তিনি বলেন, নারী নির্যাতনকারীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সক্রিয় রয়েছে। আর তাই, দেশে করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নারী নির্যাতনের মহামারিও। ঘরে বাইরে সর্বত্র এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিচারহীনতার জন্যই বিদ্যমান এ পরিস্থিতির সৃষ্টি। আবার রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতাও রয়েছে এর পেছনে। কেউ বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। এর মাধ্যমে মানবরূপী দানবদেরই উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।
পরিবারেরও দায়িত্ব রয়েছে- প্রতিমন্ত্রী
ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকারের পাশাপাশি পরিবারেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
শনিবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এক অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিতরাই ধর্ষণের সাথে জড়িত। ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সরকার তৎপর তবে পরিবারেরও দায়িত্ব রয়েছে। নিজেদের শিশুদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবার থেকেই নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন তৈরী হচ্ছে।#
পার্সটুডে/আব্দুর রহমান খান/বাবুল আখতার/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।