বাংলাদেশে করোনায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i84542-বাংলাদেশে_করোনায়_আরও_১৬_জনের_মৃত্যু
বাংলাদেশে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত বাড়লেও মৃত্যু কমেছে। এই সময় ১ হাজার ৬৯৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
(last modified 2025-10-11T13:22:26+00:00 )
নভেম্বর ১০, ২০২০ ১৯:২৫ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে করোনায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী শনাক্ত বাড়লেও মৃত্যু কমেছে। এই সময় ১ হাজার ৬৯৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

একই সময়ে করোনায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার করোনায়  মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ জনের এবং  নতুন  রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৬৮৩ জনের। 

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৩ হাজার ৬২০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪১৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ৫২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও একজন নারী। দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে সরকার আশঙ্কা করছে, শীতে আবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। 

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে   বলেছেন, ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ঐ দেশগুলো একাধিকবার লক-ডাউন ও কারফিউ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। তবে আমাদের দেশে শীত প্রধান দেশের মতো অবস্থা হবে না। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সরকারের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সার্বিক বিষয় মনিটরিং করছে এবং সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। 

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সবার মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য ঢাকা শহরের ৮০ ভাগ মানুষ মাস্ক পরেন না। আর গ্রামের ৯৯ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেন না। মাস্ক পরা অবশ্যই  বাধ্যতামূলক করা উচিত।

সরকারের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নো-মাস্ক, নো-সার্ভিস এই বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ শীতকালে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাস মহামারির ছোবল অনেকটাই সামলে নিতে পারলেও যে কয়েকটি দেশ বেশি সময় ধরে ধুঁকছে তার একটি বাংলাদেশ। সংক্রমণের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এখানকার লোকজনের একটি বড় অংশই বাইরে মাস্ক পরতেও চাচ্ছেন না। সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।#

পার্সটুডে/এআরকে/এমএএইচ/১০