‘ধর্মীয় উন্মাদনা-উচ্ছৃঙ্খলতা’ বন্ধ না করলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার 
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i89306
হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের চলমান আন্দোলন ঘিরে ‘ধর্মীয় উন্মাদনা ও উচ্ছৃঙ্খলতা’ বন্ধ না করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
(last modified 2025-07-24T06:12:35+00:00 )
মার্চ ২৮, ২০২১ ২৩:১১ Asia/Dhaka
  • ‘ধর্মীয় উন্মাদনা-উচ্ছৃঙ্খলতা’ বন্ধ না করলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার 

হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের চলমান আন্দোলন ঘিরে ‘ধর্মীয় উন্মাদনা ও উচ্ছৃঙ্খলতা’ বন্ধ না করলে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁশিয়ার করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ (রোববার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “গত দুই দিন যাবত কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ধর্মীয় উন্মাদনায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। যার মধ্যে উপজেলা পরিষদ, থানা ভবন, সরকারি ভূমি অফিস, পুলিশ ফাঁড়ি, রেল স্টেশন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাড়িঘর, প্রেসক্লাবসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে। এ জাতীয় ক্ষয়ক্ষতিসহ সব ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। অন্যথায় জানমাল ও সম্পদ রক্ষায় সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সরকার আরও উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে স্বার্থান্বেষী মহল এতিম ছাত্র ও শিশুদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামিয়ে সরকারি সম্পত্তিসহ জনগণের সম্পদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের অপকর্মে নিয়োজিত করায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য, গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব গুজব রটনাকারীসহ আইন অমান্য করে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে  জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”

আসাদুজ্জামান খান কামাল

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, "হরতাল ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দেশ পরিচালনা ব্যহত করতেই এই অপচেষ্টা। শুধু হেফাজত নয়, বাঁশের কেল্লার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে, যারা আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠন করেছিল তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে।" এতে জামায়াত-শিবির, হরকাতুল জিহাদ ও বিএনপির মদদ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন মন্ত্রী।

আজ (রোববার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। তিনি বলেন, "সরকার চুপ করে রয়েছে বলে নমনীয়তার পরিচয় দিচ্ছে এমন নয়, সরকার ধৈর্য ধরে আছে। কিন্তু এ অবস্থা আর থাকবে না। দ্রুতই স্বাভাবিক হবে। সরকার পর্যবেক্ষণ করছে যে, স্বার্থান্বেষী মহল এতিম ছাত্র ও শিশুদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামিয়ে সরকারি সম্পত্তিসত জনগণের সম্পদ ও রাজনৈতিক নেতাদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ দেওয়াসহ নানা ধরনের অপকর্ম এমনকি প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসত্য, গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে।এসব গুজব রটনাকারীসহ আইন অমান্য করে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।"

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি সংগঠন। আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে আজ দেশব্যাপী হরতাল পালন করেছে হেফাজতে ইসলাম। হরতাল শেষে দোয়া ও বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে সংগঠনটি। আগামীকাল সোমবার হবে দোয়া, এরপর শুক্রবার সারা দেশে তারা দেখাবে বিক্ষোভ।#
 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।