‘নিজস্ব প্রযুক্তিতে সামরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইয়েমেন’
ইয়েমেনের হুথিদের অস্ত্র সাহায্য দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল ইরান
-
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী মিশন
লোহিত সাগরে ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদেরকে ইরান সমরাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে ওয়াশিংটন যে অভিযোগ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
মার্কিন সেনাবাহিনী বুধবার দাবি করেছিল, গত ডিসেম্বরে আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা লোহিত সাগরে নরওয়ের ‘স্ট্রিন্ডা’ জাহাজে যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল সেটি ইরান সরবরাহ করেছে। মার্কিন বাহিনী আরো দাবি করে, হামলার শিকার জাহাজটি থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিনের যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয় সেটি কেবলমাত্র ইরানই তৈরি করে।
মার্কিন বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এ সংক্রান্ত যে খবর দিয়েছিল বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী মিশন তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ওই মিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সামরিক শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের যুদ্ধের কারণে তারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তির ওপর ভর করে সামরিকভাবে দক্ষ ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করার পর লোহিত সাগরে ইসরাইলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ঘোষণা দিয়ে হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনী।
পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনীর হামলার জের ধরে তারা আমেরিকা ও ব্রিটেনের জাহাজগুলোকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে অন্তর্ভুক্ত করে। সেইসঙ্গে লোহিত সাগরের পাশাপাশি আরব সাগর, ভারত মহাসাগর এমনকি ভূমধ্যসাগরেও হামলার ব্যাপ্তি বিস্তৃত করেছে ইয়েমেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১২