মমতার বিরুদ্ধে তোলা আঙুল ভেঙে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি
আরজি কর হাসপাতালে ১৪৪ ধারা জারি: বিচার চেয়ে রাস্তায় জুনিয়র ডাক্তারেরা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য আরজি কর হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকায় সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওই এলাকায় পাঁচজন বা তার বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে।
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালে গতকাল রাতে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, উল্টোডাঙা ও টালা পুলিশ স্টেশনের অধীনে বেলগাছিয়া রোড, জে কে মিত্র রোড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। বেলগাছিয়া রোডের উত্তর ও দক্ষিণ অংশেও পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবেন না।
বিচার চেয়ে রাস্তায় জুনিয়র ডাক্তারেরা
এদিকে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার চেয়ে এবার পথে নেমেছে রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। আজ (রোববার) দুপুরে কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরেই মিছিল শুরু হয়। ছাতা মাথায় জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মিছিলে শামিল হন বহু স্থানীয় মানুষও। মিছিলে যোগ দেন আরজি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকেরাও। মিছিলের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে শ্যামবাজার।

মমতার বিরুদ্ধে তোলা আঙুল ভেঙে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি
অন্যদিকে, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে কলকাতা পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সমালোচকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
তিনি বলেছেন, “এই ঘটনায় যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করছেন, যাঁরা আঙুল তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন, সেই আঙুলগুলোকে চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। না হলে এরা বাংলাকে বাংলাদেশ তৈরি করবার চেষ্টা করবে।
উদয়ন গুহ বলেন, "ওরা জানেন না হাসিনা যে ভুল করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল করবেন না, করেননি। তাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ওই ভাবে ভাঙচুর করার পরেও পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশ এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। সরকার এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। তৃণমূল কর্মীরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাকে বাংলাদেশ করতে দেবেন না।”
৯ আগস্ট ভোরে আর জি কর হাসপাতালের চারতলায় এ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দায়িত্ব পালন শেষে সেমিনার রুমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই চিকিৎসকদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি চলছে। গতকাল বিজেপি নেতা ও রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার ওই নারী চিকিৎসকের ভিসেরা বদল করা হয়েছে প্রমাণ লোপাটের জন্য। যদিও লালবাজার পুলিশ হেডকোয়ার্টার বলছে, ভিসেরা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্যাকিং, সিল বা লেবেল লাগানোর কাজ পুলিশ করে না। সুতরাং এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৮