আদানির হাতেই থাকছে মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তি পুনর্গঠনের কাজ
(last modified Fri, 07 Mar 2025 10:42:44 GMT )
মার্চ ০৭, ২০২৫ ১৬:৪২ Asia/Dhaka
  • আদানির হাতেই থাকছে মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তি পুনর্গঠনের কাজ

ভারতের মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তির পুনর্গঠন প্রকল্পের দায়িত্ব আদানি গোষ্ঠীর হাতেই থাকছে। ওই প্রকল্পে বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্থা সেকলিঙ্ক টেকনোলজিস কর্পোরেশন। তবে আজ (শুক্রবার) সুপ্রিম কোর্ট সেকলিঙ্কের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

২০২২ সালে বিজেপি-শিন্ডেসেনা জোটের সরকার ধারাভি বস্তির পুনর্গঠন প্রকল্পের পুরনো বরাদ্দ বাতিল করেছিল। ৫০৭০ কোটি টাকার নতুন দরপত্র দিয়ে বরাদ্দ পেয়েছিল গৌতম আদানির সংস্থা আদানি প্রপার্টিজ।

তবে ২০১৮ সালের বরাদ্দ বাতিলকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সেই বরাদ্দ পেয়েছিল দুবাইয়ের সংস্থা সেকলিঙ্ক টেকনোলজিস কর্পোরেশন। এর আগে বম্বে হাই কোর্টেও স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে বিফল হয়েছিল তারা। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু রেলওয়ে আবাসন ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাই স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়।

২০২২ সালে বরাদ্দ বাতিলকে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দের সরকার। সে সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, আদানিদের স্বার্থে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন, ধারাভি প্রকল্পের বরাদ্দ আদানিরা পেয়েছে-এ যেন ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারত দখলে’র মতো। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেতা উদ্ধব ঠাকরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ক্ষমতায় ফিরলে আদানির হাত থেকে ধারাভি প্রকল্প কেড়ে নেওয়া হবে।

যদিও অনিয়মের অভিযোগ উড়িয়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোটের সরকার দাবি করেছিল, করোনার পরে অর্থনীতির পরিস্থিতি বদলের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আদানিদের দাবি, কাজ শেষ হলে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আদর্শ বস্তি পুনর্গঠন প্রকল্প হয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুযায়ী, প্রায় ৬২০ একর জমির  ওপর সাখ লাখ মানুষের পুনর্বাসন করবে। ধারাভিতে ১০ লক্ষ মানুষ থাকলেও ২০০০ সালের ১ জানুয়ারির আগে বসবাসের প্রমাণপত্র যাদের রয়েছে, তারাই এখানে পুনর্বাসন পাওয়ার যোগ্য।#

পার্সটুডে/জিএআর/৭