ভারতের উপরে বিরক্ত ট্রাম্প! : মার্কো রুবিও
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কারোপ করেছে আমেরিকা: আজ থেকে কার্যকর
ভারতের ওপর বিরক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই দাবি মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। যা ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে মস্কোকে রসদ জুগিয়ে গিয়েছে। তবে এটাই তার বিরক্তির একমাত্র কারণ নয়। রুবিওর দাবি, কারণ আরও রয়েছে।
ফক্স রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, অন্য দেশ থাকতেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি। যা পুতিনের দেশকে ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াই জুগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তহবিল ভরাতে সাহায্য করেছে। রুবিওর কথায়, 'ভারতের প্রচুর জ্বালানি-চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তেল, কয়লা, গ্যাস এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার ক্ষমতাও যা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য অন্যান্য দেশের মতোই প্রয়োজন।
তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনে, কারণ রাশিয়ার তেল অনুমোদিত এবং সস্তা। নিষেধাজ্ঞার কারণেই ওরা বিশ্ববাজারের দামের নিচেই বিক্রি করছে। দুর্ভাগ্যবশত, এটা রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে টিকিয়ে রাখতেই সাহায্য করছে। তবে এটাই ভারতের প্রতি আমাদের একমাত্র বিরক্তির একমাত্র কারণ নয়।'
আজ ১ আগস্ট থেকে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এদিকে বাণিজ্য চুক্তিও থমকে রয়েছে। এর কারণ আমেরিকা চায় কৃষি, দুগ্ধসহ খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রে ঢুকে পড়তে। কিন্তু বিশেষ করে কৃষি যদি মার্কিন পুঁজিপতিদের হাতে চলে গিয়ে কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেটাইজেশন হয়ে যায় তাহলে ভারতীয় কৃষিজীবীদের গ্রাসাচ্ছেদনই সমস্যায় পড়ে যাবে। আর এটা মোদি সরকারও ভালোই জানেন। অতীতে কৃষি বিল নিয়ে কী ঘটেছে সেটাও কেন্দ্র ভোলেনি। ফলে কোনওভাবেই এই চাপে মাথা নত করতে রাজি নয় তারা। আর এটাও বিরক্তি বাড়াচ্ছে ট্রাম্পের।
ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে কিছু বিকল্প ভাবছে

এদিকে, ভারত এখন যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে কিছু বিকল্প ভাবছে। যেমন সে দেশ থেকে পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি করা। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে হঠাৎ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন, তার তাৎক্ষণিক পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা এখন ভারতের নেই। এমনটাই জানিয়েছেন আলোচনার সঙ্গে যুক্ত ভারতের কয়েক কর্মকর্তা।
নয়াদিল্লির কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় তারা বিস্মিত ও হতাশ হয়েছেন। সরকার এখন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ঠিক রাখতে আগ্রহী এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি পণ্য কেনার উপায় খুঁজছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগাযোগ সরঞ্জাম এবং সোনা আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে। এতে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যঘাটতি কিছুটা কমবে। তবে তারা বলছে, কোনো নতুন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনা নেই।#
পার্সটুডে/জিএআর/১