জানুয়ারি ১৫, ২০২২ ১৮:১৬ Asia/Dhaka
  • করোনার জন্য পিছিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের ৪ পৌরসভার ভোট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে ৪ পৌরসভার নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ (শনিবার)রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়।

ওই ইস্যুতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী নির্বাচন কমিশনকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আরও একবার স্পষ্ট করে দিল, তার  সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতায় কোনও আগ্রহই নেই। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল যেহেতু বলেছে, তাই ভোট পিছিয়ে দিয়েছে কমিশন। এতদিন যেহেতু তৃণমূল বলেনি, তাই পিছিয়ে দেয়নি। যখন ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল তখন আমরা স্পষ্ট ভাবে বলেছিলাম সর্বদলীয় কমিটির বৈঠক ছাড়া এই নির্বাচনের ঘোষণা হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি কোনোভাবেই নির্বাচন করা উচিত নয় কারণ, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। ২৫ জানুয়ারি ন্যাশনাল ভোটার্স ডে। আমরা বলেছিলাম সময়টা সমীচীন নয়। আমরা বলেছিলাম কোভিড যেভাবে বাড়ছে সেজন্য এটা অনেক বিবেচনা করে করা উচিত।’  

সুজন বাবু আরও বলেন, ‘সারা সময় যখন নির্বাচন করার দরকার ছিল, তখন তা না করে ভোটের নামে লুঠ করেছে। বেআইনিভাবে পৌরসভা চালিয়েছে। আর এখন যখন কোভিড বাড়ছে সেজন্য নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনা করতে বিমান বসু চিঠি দিয়েছিলেন একাধিকবার। মানুষ যখন নির্বাচন পিছোনোর কথা বলেছে, আদালত যখন  বলেছে, তখন নির্বাচন কমিশন চুপ ছিল। যখন তৃণমূল বলেছে তখন লাফিয়ে উঠেছে। এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশন তার যোগ্যতা হারাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত।’      

আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে এই নির্বাচনে আপত্তি জানিয়ে কেউ কেউ কোলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (শুক্রবার) কোলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ  জানায়। কোভিড আবহে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে কমিশনকে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে বলে হাইকোর্ট।   

এরপর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় কমিশনের কাছে। কমিশন ওই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাইলে আজ রাজ্য সচিবালয় নবান্নের পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সায় দেওয়া হয়। এরপরেই আজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। 

ওই ইস্যুতে তৃণমূলের সিনিয়র নেতা সৌগত রায় এমপি বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানাব। নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা আগেই দাবি জানিয়েছিলাম। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন সংক্রমণের হার বাড়ছে, তখন মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোটাররা ভোট দিতে আগ্রহী হবেন না।’  

নির্বাচন কমিশন যে বুঝতে পেরেছে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বলেও মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।#  

পার্সটুডে/এমএএইচ/ আবুসাঈদ/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ